প্রতিনিধি ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৯:১৫:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ জহুরুল ইসলাম-কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি:
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সবুজের ভাই আরিফুল হোসেন সজিব কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে সদর থানা পুলিশকে এফআইআর হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন। জানা যায়, কুষ্টিয়া সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ ও তার চাচাতো ভাই শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সহ-সভাপতি হাজী রবিউল ইসলাম, শহর আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান মোমিজ সহ ১২ জন আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এ মামলায় জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের তৎকালীন সভাপতি আক্তারুজ্জামান লাবুকে প্রধান আসামী করা হয়।
এবিষয়ে সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে শেখ সাজ্জাদ হোসেন সবুজের পরিবারের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করে এই মামলার বাদী আরিফুল হোসেন সজিব বলেন ২০১৫ সালের ১৫ই আগষ্ট শহরের মজমপুর গেইটে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে গেলে সেখানে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে ছিলেন এই মামলার দুই নাম্বার আসামী শহর আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান মোমিজ ও তার দলবল সেখানে তাদের গুলিতে একজন নিহত হয়। এঘটনায় আমার ভাইকে আসামীদ্বয় শহরের পিটি আই রোডে অবস্থিত হানিফ এমপির বাসভবনে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাকে দ্রুত কুষ্টিয়া ছেড়ে চলে যেতে বলেন। ওই সময় হানিফ মোবাইলে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন। তাদের কথা মতো আমার ভাই সবুজ সহ মামলার প্রধান আমামী লাবু ঢাকা গাজীপুরে একটি রিসোর্টে অবস্থান করে। পরে সেখান থেকে রিসোর্টের মালিক, আক্তারুজ্জামান লাবু সহ আমার ভাই সাজ্জাদ হোসেন সবুজকে আটক করে র্যাব-১। সেদিন থেকে আমার ভাইয়ের আর কোন সন্ধান পায়নি। তবে ফিরে এসেছিলো আক্তারুজ্জামান লাবু। আমরা ৯ টি বছর অনেক চেষ্টা করেছি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যন্ত গিয়েছি তিনিও স্থানীয় এমপির সাথে কথা বলতে বলেন। এতোদিন তাদের ভয়ে মামলাও করতে পারিনি। আমরা শুধু জানতে চাই আমার ভাই জীবিত না মৃত?
মতবিনিময়কালে শেখ সাজ্জাদ হোসেন সবুজের ভাই, ছেলে, স্ত্রী, মেয়ে ও মা উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকদের কাছে সবুজের মা আকুতি করে বলেন আমার ছেলেকে একবার দেখতে চাই তাকে একবার দেখলেই আমি সুস্থ্য হয়ে যাবো। আমার কোন চাওয়া পাওয়া নেই। শুধু জানতে চাই আমার ছেলে কোথায়। এছাড়া পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ৫ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর ঢাকায় সন্ধান মেলে আয়না ঘর। এ আয়না ঘর থেকে অনেকে ফিরে যায় তার পরিবারের কাছে। এমন তথ্য পেয়ে আয়না ঘরের সামনে যান সবুজের খোজে তার পরিবার। সেখানেও মেলেনি সবুজের সন্ধান। এবং সবুজকে গুম করার ঘটনায় যারা জড়িত তাদের শাস্তি চান।