• আইন ও আদালত

    তানোর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রায় ৭০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

      প্রতিনিধি ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৮:১৪:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ মমিনুল ইসলাম মুন বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি:

    রাজশাহীর তানোর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক এমপির কথিত ভাই মাইনুল ইসলাম সেলিমের বিরুদ্ধে প্রায় ৭০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।স্থানীয়রা তার দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে দুর্নীতি দমন কমিশনে(দুদুক) প্রেরণ করেছেন। এঘটনায় এই শিক্ষকের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে অভিভাবক-শিক্ষার্থীরা বিক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।এদিকে লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, স্কুল সরকারীকরণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে
    সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীকে ইফতার করানোর নামে স্কুল ফান্ডের ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা তছরুপ করা হয়।

    বিগত ২০১৯ সালের ১৩মে থেকে স্কুলের দোকানঘর ভাড়ার প্রায় ১১ লাখ টাকা স্কুল ফান্ডে জমা দেননি। এছাড়াও প্রশংসাপত্রের জন্য ছাত্র প্রতি পাঁচশ’ টাকা করে গ্রহন করেন যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৩ লাখ এসব টাকার কোনো হদিস নাই।অন্যদিকে বিগত ২০১৯ সাল থেকে জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন,ফরমপূরণে ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন যার পরিমাণ প্রায়
    ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। প্রধান শিক্ষক  এসব টাকা নয়ছয় করেছেন।এদিকে ২০১৯, ২০২০, ২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সালে দুইটি করে পরীক্ষায়  শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে ৩০০ টাকা করে সেশন চার্জ এবং ২০০ টাকা বেতন নিয়েছেন যার পরিমাণ ৩ লাখ টাকা। যা স্কুল ফান্ডে জমা দেয়া হয়নি। এছাড়াও সরকারি অনুদানের প্রায় ৬ লাখ টাকা  তারা আত্মসাৎ করেছেন।

    এদিকে পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে প্রতি পরীক্ষা যেমন জেএসসি এবং এসএসসি হইতে বিদ্যালয়ের আয়ের সমুদয় অর্থ প্রায় ৬ টাকা তারা আত্মসাৎ করেছেন।অন্যদিকে বিদ্যালয়ের ভেন্যু ব্যবহারকারীদের কাছে  প্রাপ্ত অর্থ যার পরিমাণ দেড় লাখ টাকা। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান  আত্মসাত করেছেন।ওদিকে  উপজেলা ও জেলা পরিষদ থেকে বরাদ্দকৃত প্রায় ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়াও এফডিআর ফান্ডের কোনো হদিস নাই। অন্যদিকে স্কুলের  দোকান ঘরের জামানত বাবদ ১৫ লাখ টাকার কোনো হদিস নাই তিনি আত্মসাৎ করেছেন। অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম সেলিম সাবেক এমপি ফারুক চৌধুরীর ছোট ভাই পরিচয় দিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর নানা অত্যচার নির্যাতন করেছেন।

    আবার পাশ করা ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশংসাপত্র-সার্টিফিকেট ও মার্কসীট প্রদানে  ৩০০ টাকা করে আদায় করা হয়। যার পরিমাণ প্রায় ৪ লাখ টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন। অন্যদিকে সেলিম নিজে প্রধান শিক্ষক হবেন বলে সাবেক এমপির কাছে তিনিপ্রতিশ্রুতি প্রদান পূর্বক সরকারী করনের জন্য কোনরূপ ব্যবস্থা না গ্রহন করা হয় এই মর্মে অঙ্গীকার করে তিনি বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পান।স্থানীয়রা এসব বিষয়ে সরেজমিন তদন্তের পুর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদুক) জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।এবিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম সেলিম বলেন, তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।তিনি বলেন,তাকে লোক সমাজে হেয়ওপ্রতিপন্ন করতে এমন অপপ্রচার করা হচ্ছে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ