• রাজনীতি

    তানোর বিএনপি নেতা মিজানের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা জনমনে ক্ষোভ

      প্রতিনিধি ২৪ আগস্ট ২০২৪ , ১০:১৬:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ মমিনুল ইসলাম মুন বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি:

    রাজশাহীর তানোর  উপজেলা বিএনপির সাবেক  সম্পাদক, তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র, সেরা সংগঠক, আদর্শিক, পরীক্ষিত ও তরুণ নেতৃত্বের আইডল মিজানুর রহমান মিজানের বিরুদ্ধে গায়েবী অভিযোগ ও প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে।স্থানীয়রা বলছে, বিএনপির একশ্রেণীর আদর্শচ্যুৎ জনবিচ্ছিন্ন ও বিপদগামী নেতার ইন্ধনে একশ্রেণীর গণমাধ্যমে কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়া মিজানের বিরুদ্ধে মানহানিকর খবর প্রচার করা হয়েছে।  এদিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিএনপির নেতাকর্মীসহ  সাধারণ মানুষের মাঝে তীব্রক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে, দেখা দিয়েছে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিজানুর রহমান মিজানের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ তিনি বিএনপি নেতা হলেও দীর্ঘ ১৫ বছর তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে ‘আঁতাত’ করে চলেছেন।

    যা সম্পুর্ন মিথ্যা-ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত ও মানহানিকর। প্রকৃত  ঘটনা হলো মিজান একমাত্র নেতা যিনি দীর্ঘ ১৫ বছর বলতে গেলে  প্রায়  একক প্রচেষ্টায় রাজনীতির মাঠে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কর্মসুচি দিয়ে মাঠে ছিলেন।

    যেকারণে  এই ১৫ বছরে মিজানের বিরুদ্ধে ২৭টি মামলা হয়েছে, এবং এখানো ১৩টি মামলা  চলমান রয়েছে, এসব রাজনৈতিক মামলায় তাকে দীর্ঘদিন কারাভোগও  করতে হয়েছে। এমনকি তানোর পৌর মেয়রের দায়িত্ব পালনের সময় সাবেক এমপি ফারুক চৌধুরীর কথা মতো কাজ না করায়, তার বিরুদ্ধে ৭০ কেজি চাল চুরির কথিত অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদুক) মামলা করা  হয়েছে।

    তাহলে কি বিবেচনায় মিজানের  বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলো মিজান বিগত ১৫ বছর সাবেক এমপি ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে সমঝোতা করে চলেছে এটা হাস্যকর নয় কি ? দ্বিতীয় অভিযোগ,  মিজান আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক হয়েছেন।

    এটাও সম্পুর্ণ মিথ্যা-ভিত্তিহীন-বানোয়াট ও মানহানিকর। কারন বিগত ১৯৯৮ সালে মিজান ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক এবং ২০০৩ সালে পুকুর ইজারা নিয়ে বানিজ্যক মাছ চাষ ও  জমি ভাড়া নিয়ে আমবাগান তৈরী এবং আলু চাষ করে আসছেন। এছাড়াও তিনি  ইলেক্টনিক্স ও সুপার সপ ব্যবসা করেছেন। তার স্ত্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাহলে তিনি অবৈধ সম্পদের মালিক হলেন কি ভাবে ? তৃতীয় অভিযোগ মিজান শিবির নেতা ছিলেন এটাও প্রোপাগান্ডা ছড়ানো ব্যতিত কিছু নয়। কারণ

    মিজানের রাজনীতি তার মামা প্রযাত এমরান আলী মোল্লার হাত  ধরে। এমরান আলী মোল্লা ছিলেন তানোর বিএনপির প্রাণ পুরুষ বা কর্ণধার। তাহলে মিজান শিবির নেতা কিভাবে হয়, তাদের কথায় যদি শিবির নেতা হয় তবে তার পদ কি সেটা বলা হোক ? চতুর্থ অভিযোগ, গত  ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর  মিজানের আরো পোয়াবারো অবস্থা।

    বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) চার শতাধিক গভীর নলকূপের দখল নিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি টাকা। এটাও মনগড়া, উদ্দেশ্যে প্রণোদিত ও কুরুচিপুর্ণ। কারণ ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে আর ৭ আগস্ট কারগার থেকে মিজান মুক্ত হয়েছেন। এর পর ৮ আগস্ট উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন এবং পরবর্তীতে মিজান প্রতিটি ইউপিতে নেতাকর্মী ও সুশিল সমাজের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে সকলের প্রতি আহবান জানান, কেউ যেনো গভীর নলকুপ দখল, ভাঙচুর বা আইনশৃংখলাবিরোধী কাজ না করেন।যারা করবে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

    অথচ মিজানের বিরুদ্ধে এমন মানহানিকর প্রচারণা করা হচ্ছে। পঞ্চম অভিযোগ, মিজান  তার ছোট ভাই-বোন, ভগ্নিপতি,  ভাইয়ের ছেলে এবং তার স্ত্রীর চাকরি বাগিয়ে নিয়েছেন কিনেছেন ২৫ বিঘা  জমি। রাজশাহী শহরে নামে-বেনামে বেশ কয়েকটি প্লট ও ফ্ল্যাট কিনেছেন। সম্প্রতি তিনি ৭০ লাখ টাকা দিয়ে টয়োটা ব্র্যান্ডের একটি হ্যারিয়ার গাড়ি কিনেছেন।

    তাদের এসব অভিযোগও ভিত্তিহীন, মনগড়া ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত। কারণ মিজানের কোনো ভাই নাই, আবার এসব চাকরি নেয়ারক্ষেত্রে মিজানের কোনো হাত নাই, যদি থাকতো তাহলে তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিস্ঠানে নিয়োগ বানিজ্যে করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে পারতেন। তাহলে তিনি চাকরি দিলেন কি ভাবে ? এছাড়াও মিজান তার ব্যবহৃত পুরাতন গাড়ী বিক্রি করে আবারো পুরাতন গাড়ি কিনেছেন। আবার রাজশাহী শহরে তার একাধিক প্লট-ফ্ল্যাট তো দুরের কথা ভাড়া বাড়িও নাই, এমনকি শশুরের কাছে থেকে তিনি কোর্ট এলাকায় যে জায়গা পেয়েছেন সেখানেও বাড়ি করতে পারেননি।

    তাহলে তার বিরুদ্ধে এসব প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর হেতু কি ? ষষ্ঠ অভিযোগ, গত ৮ আগস্ট কলমা ইউনিয়নে মিজান চোরখৈর গ্রামের ডিশ ব্যবসায়ী ফয়সাল আহমেদের কন্ট্রোল রুমে হামলার পর লুট করেছেন। এটাও স্ববিরোধী মিজান যদি আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে চলেন, তাহলে তিনি ওই ডিসের কন্ট্রোল রুমে হামলা করবেন কেন ? ওই ডিসের মালিক উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না।

    স্থানীয়রা জানান, কলমা ইউপির কিছু দুর্বৃত্তরা চৌরখৈর গ্রামের ডিসের কন্ট্রোল রুমে ভাঙচুর করেছে। যেদিন এই ঘটনা ঘটে সেদিন মিজান উপজেলা সভাকক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন। অথচ একটি জনবিচ্ছিন্ন অশুভ চক্র মিজানের নামে এসব প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে হেতু কি ? এদিকে স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের ভাষ্য,দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর।

    তানোরের সর্বক্ষেত্রে মিজানুর রহমান মিজানের গুরুত্ব বেড়ে গেছে। এটা বিএনপির একশ্রেনীর জনবিচ্ছিন্ন ও বিপদগামী নেতা মানতে পারছেন না। মুলত তারাই মিজানকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয়ওপ্রতিপন্ন করতে মিজানের প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।এবিষয়ে জানতে চাইলে মিজানুর রহমান মিজান বলেন, তার কোনো অবৈধ সম্পদ নাই।তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন,কেউ যদি প্রমান দিতে পারেন তিনি কোনো পুকুর-ডিপ দখল বা ভাঙচুর করেছেন তাহলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দিবেন। তিনি বিএনপির সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজনীতি করার আহবান জানান।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ