• আইন ও আদালত

    নোয়াখালীতে প্রতারণার মাধ্যমে ভূমিহীনের বন্দোবস্ত বাতিল

      প্রতিনিধি ২১ জুন ২০২৪ , ৪:০৬:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    জুনায়েদ কামাল-স্টাফ রিপোর্টার:

    নোয়াখালী সদর উপজেলাধীন ২০নং আন্ডার চর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড পশ্চিম মাইজচরা গ্রামে সরকারি বন্দোবস্ত করা জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ২৮নং পশ্চিম মাইজচরা মৌজার ১১২০ নং খতিয়ানের ৪২৭৭ দাগে ৭৫ শতাংশ ও ৪২৭৮ দাগে ১.০০ একর মোট ১.৭৫ একর ভূমি সরকার বাহাদুরের ১নং খাস খতিয়ান ভুক্ত সম্পত্তি হয়, শাহে আলম (৬২) ও আমেনা খাতুন (৫০) দম্পতি ভূমিহীন হিসেবে উক্ত ভূমি বন্দোবস্তের আবেদন করিলে তাদের নামে ১৯৮৯-১৯৯০ ইং সনের ২১৯১ নং বন্দোবস্তির নথি চালু করা হয়। এবং শাহে আলমের অনুকূলে কবুলিয়ত সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি এর মাধ্যমে শাহে আলম দম্পতিকে সরেজমিনে দখল দেওয়া হয়। শাহে আলম দম্পতি বন্দোবস্তকৃত ৭৫ শতাংশ ভূমিতে বাড়িঘর নির্মাণ করেন এবং অবশিষ্ট ১.০০ একর ভূমিতে চাষাবাদ করিয়া বন্দোবস্তীয় ভূমি ভোগ দখল করিয়া আসছেন।

    শাহে আলম তার মাতা মৃত অজিফা খাতুনের কাছ থেকে লক্ষ্মীপুর কমলনগর উপজেলার চর শামসুদ্দিন গ্রামে হেবা ভূমি দান স্বরুপ ২৪/০৪/২০০৭ ইং সনে ৩২ শতাংশ ভূমির মালিক হন। পরে সাংসারিক অভাব অনটন দেখা দিলে মায়ের কাছ থেকে প্রাপ্ত ৩২ শতাংশ ভূমি ১৪/০২/২০১১ ইং সনে একই গ্রামের মৃত মারফত উল্যার ছেলে মো. শেকান্তরের নিকট ৬৩০০০/- (তেষট্টি হাজার) টাকায় বিক্রি করেন।

    পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে সুজায়েত উল্লাহ (৬০) (সুজা মিয়া) পিতা: মৃত মজিবুল হক, শাহে আলম ভূমিহীন নয়, এবং ভোগ দখলে নাই, বরং সুজা মিয়া নিজে ভোগ দখলে আছেন বলে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে শাহে আলম সাজিয়ে আইনের সাথে প্রতারণা করে শাহে আলমের দখলকৃত বন্দোস্ত বাতিল করে। পরবর্তীতে ১০/১০/২০০৮ ইং সনে শাহে আলম তহসিল অফিসে খাজনা পরিশোধ করতে গেলে সুজায়েত উল্লাহর সম্পূর্ণ ভূয়া ও বানোয়াট দরখাস্তের প্রেক্ষিতে ০১/০৩/২০০৪ ইং তারিখে বন্দোবস্ত বাতিল হয়েছে বলে জানতে পারেন।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুজায়েত উল্লাহ (সুজা মিয়া) তার বাবা মারা যাওয়ার পর পৈতৃক সম্পত্তি হিসেবে ১.৫০ একর ভূমির মালিক হয়, ১.৫০ একর ভূমির মালিক হওয়া সত্ত্বেও সুজা মিয়া নিজেকে ভূমিহীন বলে দাবি করেন মর্মে শাহে আলমের বন্দোবস্তকৃত ভূমি সরকারের সাথে প্রতারণা করে বন্দোবস্ত বাতিল করেন।

    সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, দীর্ঘ পঁয়ত্রিশ বছর যাবত শাহে আলম ও আমেনা খাতুন দম্পতি সরকার থেকে বন্দোবস্ত নেয়া ভূমিতে বসত ঘর নির্মাণ করে স্ত্রী ও ৭ ছেলে মেয়ে নিয়ে জীবন অতিবাহিত করে আসছেন। সুজা মিয়া উক্ত বাড়িতে কখনো ছিলেন না বলে স্থানীয় ফয়েজ আহমদ (৭০) মফিজুল্লাহ (৬৫) মো. শফিকুর রহমান (৬৩) বকুল মাঝি (৫৫) বাহার (৩২) প্রমুখ জানান, বরং সুজা মিয়া নিজ পরিবারসহ ৯নং কালাদরাপ ইউনিয়নে বসবাস করেন।

    এই বিষয়ে জানতে সুজা মিয়ার মুঠো ফোনে জিজ্ঞাসা করলে, প্রথমে তিনি বন্দোবস্তকৃত বাড়িতে থাকেন বলে জানান, পরবর্তীতে সাংবাদিক পরিচয় দিলে বন্দোবস্তকৃত ভূমিতে তার কোনো বসতঘর নাই বলে স্বীকার করেন। যাহার প্রমাণ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রেকর্ড করা হয়েছে। শাহে আলমের দাবি, যেন সুজা মিয়ার নথির রায় বাতিল করে তার বন্দোবস্তকৃত ১.৭৫ একর ভূমি পূনর্বহাল রাখা হয় মর্মে মাননীয় যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালতের নিকট করজোড়ে প্রার্থনা করেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ