প্রতিনিধি ১ আগস্ট ২০২৩ , ৭:১৮:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ
আরিফুল ইসলাম কারীমী-স্টাফ রিপোর্টারঃ
পাহাড়ের একটি এলাকায় একসময় অনেকগুলো পরিবার কা.দিয়ানীতে কনভার্ট হয়ে গিয়েছিলো যা রীতিমতো উদ্বেগের কারণ হয়েছিলো। পরবর্তীতে দ্বীনের অনেক দ্বাঈয়ের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে বেশীর ভাগ কা.দিয়ানী আবার ইসলাম ধর্মে ফিরে আসেন। এগুলো ২০১২ সালের দিকের কথা।
এরপরও তাদের অপতৎপরতা থেমে থাকে না। তারা আবারও পাহাড়ের আরো গহীনে গিয়ে অপেক্ষাকৃত দরিদ্র মানুষদের টার্গেট করে তাদের দল ভারী করতে থাকে। এমন একটি জায়গা হচ্ছে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার লংগদু উপজেলার উত্তর ইয়ারিংছড়ি গ্রামে। এটি অত্যন্ত দূর্গম এবং পাহাড়ি অঞ্চল। রাঙ্গামাটি থেকে এখানে যেতে হলে ৪ ঘন্টা লঞ্চে যাবার পর বাইকে ৪৫/৫০ মিনিট যেতে হবে। এরপর আরো প্রায় ৪ কিলোমিটার পাহাড়ি পথে হাটতে হবে( বৃষ্টি না থাকলে সেটুকু পথও বাইকে যাওয়া যাবে।
বক্তারা বলেন,এখানে গত ২০১৪ সালের পর থেকে কয়েকটি পরিবার কা.দিয়ানী ধর্ম গ্রহণ করার ফলে বাকী মুসলিম পরিবারগুলো ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়। সেখানে বেশ কিছু মুসলিম পরিবার বসতি স্থাপন করলেও তাদের জন্য সেখানে এতোদিন কোন মসজিদ এবং মাদ্রাসা ছিলো না। তারা আরও বলেন,ইসলাম এমন একটি ধর্ম যা চর্চা না করলে ধীরে ধীরে মামুষ গাফেল হয়ে যায়। এমতাবস্থায় কেউ টাকা পয়সার লোভ দেখালে সহজেই ধরা দেয়। এটি পাহাড়ের প্রায় ৭০০ ফুট উপরে।
মসজিদ টি সাদকায়ে জারিয়া প্রজেক্ট, খতমে নবুয়ত পরিষদসহ অন্যান্য ইসলাম প্রিয় জনতা এই মুসলিম পল্লিতে একটি নতুন মসজিদ নির্মাণ করেছেন। এটি মূলত ‘সাদকায়ে জারিয়া’র ২০৬ নং প্রজেক্ট। তবে এতে গাঁথাছড়া বায়তুশ শরফ এর খতিব মাওলানা আমিনুর রশিদ সাহেবসহ আরো অনেকের জোরালো ভুমিকা ছিল। উক্ত নতুন মসজিদ আজকে জোহরের নামাজের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয়। এবং মসজিদটির নাম দেয়া হয়, রাজধানীটিলা খতমে নবুওয়াত জামে মসজিদ
মসজিদটির অবস্থান, রাজধানীটিলা, মুসলিম পাড়া, উত্তর ইয়াংছড়ি, আটারকছড়া, লংগদু, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জনাব মেজর রিফাতুজ জাকের, হাফেজ মাওলানা ফোরকান আহমেদ, মাওলানা আমিনুর রশিদ পটিয়াবী,হাফেজ মতিন আহমেদ, মাওলানা এমদাদ বিন সাদেক,মাওলানা আজিজুল হক্ব এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ সহ ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।