• আইন ও আদালত

    তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আট লাখ টাকা চুরির ঘটনা চাপা দিতে তৎপর হয়ে উঠেছে

      প্রতিনিধি ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ , ৫:০২:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ লুৎফর রহমান লিটন-সলঙ্গা সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:

    সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আট লাখ টাকা মূল্যমানের ওষুধ গায়েবের অভিযোগ ওঠে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ওষুধ চুরির সত্যতা মিলেছে। ইতিমধ্যেই একটি মহল চুরির ঘটনা চাপা দিতে তৎপর হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সরবরাহকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। ২০২১-২২ অর্থ বছরে হাসপাতালের জন্য ওষুধ, সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি, গজ ব্যান্ডেজ তুলা ও আসবাবপত্র সরবরাহের জন্য ৪৩ লাখ টাকার কার্যাদেশ পায় চার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সে অনুযায়ী ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে মালামাল সরবরাহ করে যথারীতি বিল উত্তোলন করে নিয়ে যায়। এর মধ্যে আমেনা ট্রেডার্স ও এ এ এন্টারপ্রাইজ কর্তৃক সরবরাহকৃত মন্টিলুকাস্ট গ্রুপের ৫২ হাজার পিস ওষুধ হাসপাতালের স্টোর থেকে গায়েব হয়ে যায়। যায় বাজার মূল্য আট লাখ ৩২ হাজার টাকা।

    সম্প্রতি হাসপাতালের স্টোর স্থানান্তরিত হলে সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. মোনোয়ার হোসেনের দৃষ্টিতে ওষুধ গায়েবের বিষয়টি দেখতে পারেন। এ তথ্য নিশ্চিত করে ওই কর্মকর্তা জানান, এ ঘটনায় ডা. জহুরুল ইসলাম তালুকদারকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি স্টোর রুম থেকে ওষুধ গায়েবের প্রমাণ পেয়েছে।
    স্টোরকিপার শাহাদৎ হোসেন বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এখনো মালামাল দেয়নি। তবে দুই এক সপ্তাহের মধ্যে তারা ওষুধ সরবরাহ করবে।

    তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আবিদ হাসানের দাবি, তারা মালামাল সরবরাহ করা পর স্টোরকিপার শাহাদৎ হোসেন একটি ওষুধ প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে স্বাক্ষর করে দেন। যা তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়ার পরই বিল প্রদান করে। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোনোয়ার হোসেনে বলেন, তদন্ত কমিটি স্টোরকিপারকে এক মাস সময় দিয়েছে বিষয়টি সুরাহা করার জন্য। সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. রামপদ রায় কালের কণ্ঠক বলেন, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর বেশি আমি মন্তব্য করতে পারব না।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ