প্রতিনিধি ১৯ নভেম্বর ২০২২ , ১১:৪৩:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার ১ নং আমখোলা ইউনিয়নের,আমখোলা হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকসহ ৬ পদে নিয়োগে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমখোলা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মনিরের বিরুদ্ধে আর্থীক লেনদেন ও অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। গত ১০ নভেম্বর ২০২২ ইং তারিখ বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান মনিরের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন সহকারী শিক্ষক পদে আবেদন কৃত জাহাঙ্গীর আলম, সহ একাধিক প্রার্থী।
এবিষয় গত ১২ই অক্টোবর ২০২২ ইং তারিখ সমকাল পএিকার ১৫ পৃষ্ঠার নিন্মে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় ও স্হানীয়ও গনকন্ঠ পএিকায় একই নিয়োগ দেওয়া হয় ঐ তারিখে। সেখানে নিয়োগ পদ উল্লেখ থাকে যে সহকারী শিক্ষক পদে ১জন, ল্যাব টেকনিসিয়ান ১জন, নিরাপত্তা কর্মী ১জন, অফিস সহায়ক ২ জন, সহ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কর্মী ১জন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, আমখোলা হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে ৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সহকারী শিক্ষক পদে উপস্থিতি ভাবে ৫জন, ল্যাব টেকনিশিয়ান পদে ৩জন,নিরাপত্তা কর্মী পদে ৬জন, অফিস সহায়ক পদে ৬জন,পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মী ৩জন। এরা সবাই রিটার্ন ও মৌখিকভাবে পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করে।
উল্লখ্য, নিয়োগ পরিক্ষা বোর্ডের দায়িত্বে থাকেন আমখোলা হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমখোলা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মনির, ও আমখোলা হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, মো,খলিলুর রহমান,এবং গজালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহিন গাজি সহ পটুয়াখালী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
উক্ত নিয়োগ পরিক্ষায় ১১ই নভেম্বর সকাল ১০.০০ ঘটিকায় অনুষ্ঠিত হয়। এবং পরিক্ষা শেষ হওয়ার পর পর তৎকালীন সময় পটুয়াখালী জেলা প্রেস ক্লাবের কিছু সাংবাদিক উপস্থিত হয় এরপর পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের আরো কিছু গণমাধ্যম কর্মী খবর পেয়ে আসেন। এবং তারা উল্লেখ করে বলেন এখানে নাকি টাকার বিনিময়ে নিয়োগ বানিজ্য চলছে। এই খবর পেয়ে তৎপরতা শুরু করেন কমিটি। এবং সেখানে গলাচিপা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো,গোলাম মোস্তফা নিয়োগ পরিক্ষায় উপস্থিত ছিলেন। এক পর্যায় আমখোলা হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তার রেজুলেশন খাতা দেখিয়ে বলেন এখানে পাচ জনের উপস্থিত সাক্ষর আছে বাকী চারজনের সাক্ষর নেই। তাদের ফোনে কার্ড নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
উক্ত নিয়োগ পরিক্ষার শেষে কানাঘুষা চলে কিছু বোঝার আগে শোনা যায় সবার পরিক্ষার রেজাল্ট দেওয়া হবে বলে সবাইকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় এবং একে একে সবাইকে রিটার্ন ও মৌখিক পরিক্ষার রেজাল্ট ঘোষণা দেওয়া হয়। রেজাল্টের আগে থেকেই নিয়োগ কমিটির কাছে নিরাপত্তা কর্মী মোঃ মিরাজ হাওলাদার প্রার্থীর বিরুদ্ধে জাল সার্টিফিকেট ও ১৯৭১ সালের রাজাকার মোঃ সুলতানের ভাতিজা উওরসূরী বলে অভিযোগ করে এই বলে তাদের কে অবগতি করেন অন্য নিরাপত্তা কর্মী প্রার্থী মোঃ পারভেজ হাওলাদার।১১ নভেম্বর নিয়োগ প্রাপ্ত মিরাজ হাং আমখোলা হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ভাগ্নে,এবং একই পদে অভিযোগকারী মো,পারভেজ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মনির আপন চাচাতো ভাই। এবং অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন মোঃ মিরাজ হাং তার জাতীয় পরিচয় পএে বয়স ৩৮ বছর ৪ মাস। এবং অষ্টম শ্রেণির সার্টিফিকেটে তার বয়স ৩৩ বছর দেখিয়ে তারিখ বিহীন এবং ঐ সার্টিফিকেট দেখে অনৈতিক ভাবে আমখোলা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্মনিবন্ধন করা হয়। তারই পরিপেক্ষিতে মিরাজ কে নিয়োগ দেওয়া হয় প্রতিষ্ঠানে। যা উক্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি বিপদগ্রস্ত মনে করেন ঐ স্কুলের অন্য শিক্ষকরা ও সাধারণ শিক্ষার্থীগন সহ অবিভাবকগন।
এ সকল অভিযোগ থাকা সত্যেও নিয়োগ কমিটি কোন অভিযোগ আমলে না নিয়ে তৎনগত নিয়োগ দেন মিরাজকে। এই সকল অভিযোগ পটুয়াখালী জেলা সাংবাদিকগন হাতে পেয়ে ১৩ই নভেম্বরে ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হন এবং অএ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করতে চেষ্টা করলে প্রধান শিক্ষক গা ডাকা দেন।
উক্ত প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ এর ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির একজন সদস্য কে জিঞ্জেস করলে অনেক অভিযোগ সহ প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি কে দায়ি করে বলেন। অএ এলাকায় অনেক বড় একটি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার সার্থে যাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সে এমন একজন ব্যাক্তি যা এই বাজারে আপনি খোঁজ খবর নিয়ে যানতে পারেন। আমি বলতে গেলে পরে আমার পরিবারসহ আমার সমস্যা হবে। আমি বলতে গেলে আমাকে সমস্যায় ফেলবে বলেন তিনি। এবং তার নাম ঠিকানা গোপন রাখার জন্য অনুরোধ করে।তবে এই জালিয়াতি ও অর্থ লেনদেনের ব্যাপারে নিয়োগের ব্যাপারে উচ্চ আদালতে মামলা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছেও বলে জানান।
এব্যপারে আমখোলা হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তৎকালীন সময়ের শিক্ষক এবং ১১ নভেম্বরের নিয়োগ পরিক্ষায় অংশগ্রহণ কারী ইংরেজি টির্চার আবু জাফর দৈনিক বাংলাদেশ কন্ঠ ও দৈনিক বরিশাল সমাচার পত্রিকার প্রতিনিধির মুখোমুখি হলে তিনি বলেন, অত্র স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের অনুরোধে আমি নিয়োগ পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করি। কিন্তুু আগে থেকেই অত্র প্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক পদে মো,জসিম উদ্দিনকে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ম্যানেজিং কমিটি। এই জসিম উদ্দিনের বড়ভাই বারেক মৃর্ধা আমাকে ফোনে হুমকি ধামকি দিয়েছে যাতে আমি পরিক্ষা না দেই। এ সময় তিনি আরো বলেন, নিয়োগ পরিক্ষা প্যানেল ভিত্তিক হয়েছে এই জসিম উদ্দিনের ভায়রা গাজীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কর্মরত শিক্ষক, তিনিও এই পরিক্ষায় অংশগ্রহন করেন।
হুমকি ধামকির ব্যপারে আমখোলা কলেজের তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষক বারেক মৃর্ধার মুঠোফোন (০১৭২৬-৮০০৫৩০) এ ফোন করলে তিনি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সংবাদ কর্মীর সাথে অসদ্ আচরন করেন।
এব্যপারে আমখোলা হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো,খলিলুর রহমান’র মুঠোফোন (০১৭৩৪-০৮৩৯৩৯) নাম্বারে ফোন করলে অসুস্থতার কথা বলে গলাচিপা ডাক্তার দেখাতে গিয়েছেন বলে এরিয়ে যান। যাকিনা স্কুল চলাকালীন সময়ে।এসময় স্কুলের সহকারী শিক্ষক মো,আলী হোসেন’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এ ব্যপারে আমি কিছু জানিনা,প্রধান শিক্ষক ভাল বলতে পারবেন।
অত্র প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, কামরুজ্জামান মনির বলেন, এটা কারো ব্যক্তিগত অভিযোগ ক্ষোপ হতে পারে। এখানে কোন অনিয়ম হয়নি,আমরা কোন প্রকার টাকার লেনদেন করিনি বলে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন তিনি।
এ বিষয় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন,আমার অভিযোগের বিষয় এই মুহুর্তে মনে পড়ছে না। পরে কি হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে কমিটিতে কারা ছিল জানতে চাইলে বলা হয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মনির,ও প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান, এসময় তিনি বলেন দেখে ব্যবস্থ নেয়া হবে।