প্রতিনিধি ১ আগস্ট ২০২২ , ১১:৪৬:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে হত্যা মামলার এক আসামি মো. সেলিমকে (৪৫) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার (১ আগষ্ট) সকাল ১১টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার।
নিহত ব্যক্তি উপজেলার সদকী ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের গ্রামের মৃত সেকেন আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন শ্রমিক ছিলেন। তিনি একই এলাকার হুমায়ন মন্ডল (৪৪) হত্যা মামলার আসামী ছিলেন। পুলিশ ও নিহতের পরিবার সুত্রে জানা গেছে, সেলিম একজন ভাটা শ্রমিক। সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ভাটায় কাজে যাচ্ছিলেন।
এসময় প্রতিপক্ষের সাইদুল ইসলাম (৩৫), আসলাম হোসেন (৪০), রাজু আহমেদ (২৫) সহ বেশ কয়েকজন ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে তার চিৎকার চেঁচামিচিতে প্রতিপক্ষরা দ্রুত চলে যায় এবং স্বজন ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তার অবস্থা আশঙ্খাজনক হওয়ায় সেখানকার চিকিৎসক তাকে দ্রুত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। এরপর কুষ্টিয়া হাসপাতালে পৌছানোর আগেই তিনি মারা যান।
আরও জানা গেছে, ২০২০ সালের ৬ মে জমি সংক্রমান্ত জেরে চরপাড়া জামে মসজিদ থেকে তারাবির নামাজ আদায় করে বাড়ির ফেরার পথে পূর্বশত্রুতার জেরে হুমায়ন মন্ডলকে (৪৪) কুপিয়ে করেছিল প্রতিপক্ষরা ।পরের দিন ৭মে নিহতের ছোট ভাই সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৩৬ জনের নামের কুমারখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিল। মামলা নম্বর ৯। সেই মামলায় নিহত সেলিমকে আসামী করা হয়েছিল।
নিহতের ভাই শাহিন বলেন, ভাইকে পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের সাইদুল ইসলাম, আসলাম হোসেন, রাজু আহমেদ সহ বেশ কয়েকজন ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি এ হত্যার সুষ্ঠ বিচার চাই।
সদকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাজুল আবেদীন দ্বীপ বলেন, জমি সংক্রান্ত জেরে ২০২০ সালে একজন খুন হয়েছিল। সেলিম সেই মামলার আসামী ছিল। আজ প্রতিপক্ষরা কুপিয়ে তাকে হত্যা করেছে বলে জানতে পেরেছি। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকায় আইন শঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।