প্রতিনিধি ১৩ জুলাই ২০২২ , ২:১৭:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ
বেসরকারি শিক্ষক নীতিমালায় প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের কিছু ক্লাস নেওয়ার বিধান থাকলে দুঃখজনক হলেও বাস্তব সত্য যে দেশের বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তারা ক্লাস না নিয়ে রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। বিশেষ করে প্রধান শিক্ষক / অধ্যক্ষ। বেশিরভাগ প্রধান শিক্ষক/ অধ্যক্ষ নিজের ব্যাক্তিগত কাকে অফিসের কাজ বলে চালিয়ে দিয়ে প্রতিষ্ঠানের বাহিরে থাকেন। খুব কম দিনই তাদেরকে সময়মতো প্রতিষ্ঠানে আসতে ও ছুটির পর যেতে দেখা যায়। প্রধান শিক্ষক/অধ্যক্ষ ও সংশ্লিষ্টরা মিলে প্রতিষ্ঠানকে তাদের পৈতৃক সম্পতি মনে করে প্রতিষ্ঠানের সকল আয় সাধারণ শিক্ষকদের না দিয়ে নিজেরাই ভোগ তছরুপ করে খায়
অথচ সরকার তাঁদের এইজন্য বাড়ি ভাড়া দেয়না কারণ সরকার মনে করে প্রতিষ্ঠান থেকে তারা কমপক্ষে ৩০থেকে ৪০% মূল বেতনের অংশ পায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় অনেক প্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষকদের কোনো টাকাই দেওয়া হয় না। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা শুধু নামে বেনামে বিভিন্ন অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যাস্ত থাকেন কারণ প্রতিষ্ঠানে কোনো ফাংশন হলেই তাদের পোয়াবারো। আর তারা সহকারী শিক্ষকদের কাছে নীতি নৈতিকতার বয়ান ছাড়ে। তারা বুঝতে চেষ্টা করেনা একজন শিক্ষকের আন্তরিক প্রচেষ্টার উপর প্রতিষ্ঠানের উন্নতি নির্ভর করে।
সাধারণ শিক্ষকদের হক মেরে তাঁরা যে ভোগবিলাসিতায় জীবন যাপন করছে এর জন্য কী তাদেরকে আল্লাহর দরবারে জবাবদিহিতা করতে হবে নাপ্রতিষ্ঠানের_আয় কিন্তু তাদের অধিকার ও হক। এজন্য নবাগত সব শিক্ষককে এসব দূর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ও সত্যের পক্ষে আওয়াজ তুলতে চায় । মনে রাখতে হবে সত্যই সুন্দর এবং সুন্দরই সত্য। কারণ প্রতিবাদ হলেই সমস্যার সমাধান বের হয়ে আসবে।
আল্লাহ এসব সকল দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষকদের হেদায়েত দান করুন এ কথা গুলো এনটিআরসি এর মাধ্যমে নিয়োগ প্রাপ্ত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষকের সাথে বরগুনা জেলা প্রতিনিধি । মোঃ সরোয়ার। দক্ষিণ বাংলা সংবাদের সাথে আলাপ কালে বলেন। (বিঃ দ্রঃ সব প্রতিষ্টান প্রধান এরকম না। যেসব প্রতিষ্ঠান প্রধান ভালো, সৎ এবং প্রতিষ্ঠানকে সময় দেন এবং সকল শিক্ষকদের যথাযথ সম্মান করেন তাদের জন্য এ পোষ্ট নয়।)