• কৃষি

    বৃষ্টি নির্ভর আমন ধান চাষে খরচ বাড়ছে কৃষকদের!

      প্রতিনিধি ১৩ জুলাই ২০২২ , ১১:৫৬:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    আমন ধান রোপনের জন্য সাধারণত ৪০০ মিলিমিটার বৃষ্টির প্রয়োজন হয়। তবে এ বছর সেই পরিমাণ বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকদের সেচ দিয়েই ধান রোপন করতে হচ্ছে। এতে উৎপাদন খরচ বাড়ছে কৃষকদের বৃষ্টি নির্ভর আমন ধান রোপনের জন্য খ্যাতনামা প্রবচক খনার বচনে বলেছেন আষাঢ় মাসে বান্দে আইল তবে খায় বহু শাইল আষাঢ়ের ১৫ শ্রাবণের পুরো ধান লাগাও যত পারো। উল্লেখিত খনার বচনে আষাঢ় মাসে জমির আইল বেঁধে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে শ্রাবণ মাস পর্যন্ত ধান লাগানোর কথা বলেছেন।

    আশানুরূপ বৃষ্টি নির্ভর আমন ধান রোপনে কৃষকদের বিঘা প্রতি এক হাজার টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে। পোরশা উপজেলার সদর ইউনিয়ন সহ তেতুলিয়া গাঙ্গুরিয়া ঘাট নগর মুর্শিদপুর সকল ইউনিয়নে একই অবস্থা বিরাজমান। সেই সাথে পার্শ্ববর্তী উপজেলা সাপাহার ও পত্নীতলা কিছু জমিতে সেচের ব্যবস্থা থাকলেও সকল জমিতে সেচের আওতায় আসবেনা। ফলে একমাত্র প্রকৃতির উপর নির্ভর করেই থাকতে হচ্ছে কৃষকদের। কিছুদিন আগে থেকে সাপাহার ও পোরশা উপজেলায় এক ফশলি জমি গুলোতে আম চাষের আওতায় আশায় কিছুটা হলেও শান্তিতে আছে আম চাষি গন।

    বাকি জমি গভীর নলকূপ দিয়ে সেচ দিয়ে আমন চাষ করলে কৃষকের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে ধান চাষের জন্য ডিজেলের দাম বাড়তি থাকায় আরো বেশি হুমকির মধ্যে রয়েছে। পোরশা সাপাহার পত্নীতলা উপজেলা সমূহে এক চতুর্থাংশ জমিতে ধান লাগানো সম্ভব হয়নি। সেই সাথে কৃষক এখনো অপেক্ষা করে আছে প্রকৃতির উপর। পোরশা উপজেলার কৃষি অফিস সূত্র থেকে জানা যায় উপজেলাতে ১৮০০ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও সেটি বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় পোষণ করছেন কৃষি কর্মকর্তা গন।

    যদি বাকি সব জমিতে সেচের মাধ্যমে ধান চাষ করেও থাকে তারপরে বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে বন্যা হবার ভাবনাকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না তাতে করে আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা কৃষি অফিসের এই কর্মকর্তা। সেচ নির্ভর আমন চাষ সময় মত ধান রোপনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সময় শেষ হয়ে গেলে উৎপাদিত ফসলের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা। উক্ত এলাকার বেশ কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে তারা আমাদের প্রতিনিধিকে জানান গভীর নলকুপ হতে।

    পানি সেচ দিয়ে আবাদ করায় আবার ধানের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় আক্ষেপের সরেই জানান সরকার কিছু পরিমাণ ভর্তুকি দেওয়ার পরেও প্রান্তিক কৃষক এই সুযোগ-সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছে। যার কারণ স্বজন প্রীতি এর মূল কারণ এর পাশাপাশি যাদের একটু জমি বেশি পরিমাণে থাকার কারণে আর্থিক দিক হতে অনেকটাই সচ্ছল কিন্তু প্রান্তিক চাষী বা বর্গা চাষীগণ এই সুযোগ সুবিধাগুলো না পাওয়ার আক্ষেপের কথা জানায়।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ