প্রতিনিধি ১৮ জুন ২০২২ , ১২:৫৮:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ
এস এম শামীম হাসান-মহাদেবপুর প্রতিনিধি:
হাতে গোনা কয়েকটি ফল মুল ছাড়া আমরা সাধারণত খোসা ছাড়িয়েই ফল বা ফল এর রস খেয়ে থাকি। গ্রীষ্মের ফলমুলগুলো তার মধ্যে অন্যতম। এই সময়ের সবচেয়ে সুস্বাদু ফলের মধ্যে বিভিন্ন জাতের আম অন্যতম। এর মধ্যে আবার রয়েছে বাহারি জাতের সব আম। এর শাঁসের বা খোসার স্বাদ এতই বেশি যে, আমরা খোসার দিকে তাকাইও না। অথচ আমের শাঁসের চেয়ে খোসার গুণ অনেক বেশি! বিভিন্ন জাতের আমের খোসার মতো গুণ খুব কম ফলের খোসাতেই রয়েছে
বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ তো আছেই, তার সঙ্গে রয়েছে ফাইবার ও নানার ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। ফলে নিয়মিত আমের খোসা খেলে দূরে থাকে ক্যানসারের মতো কঠিন অসুখও।বিভিন্ন জাতের আমের খোসার ফাইবারও খুব কার্যকর। এতে শরীরের হজম শক্তি বাড়ে। আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণাপত্রে বলা হচ্ছে, এই খোসা নিয়মিত খেলে পুরুষদের হৃদরোগের ঝুকি প্রায় ৪০ শতাংশ কমে যায়। তবে আমের শাঁসে শর্করা বেশি থাকায়, ডায়াবেটিস রোগীদের খেতে নিষেধ করা হয়।
কিন্তু খোসার কাজ ঠিক উলটো। আমের খোসা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা কীভাবে খেতে হয় আমের খোসা।তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে আমের খোসা খেলে মিলবে উপকারিতা—বিভিন্ন জাতের আমের শাঁসের স্বাদ যত বেশি, খোসা ততোটাই স্বাদহীন। ফলে হুট করেই খোসা খাওয়া সম্ভব না। কিন্তু আমের স্মুদি বা জুস বানানোর সময় অনায়াসে কয়েকটি খোসা টুকরো করে ব্লেন্ডারে দিতে পারেন। এ ছাড়াও খোসাতে লবন, তেল, চিনি মাখিয়ে রোদে শুকিয়ে তারপর খেতে পারেন।