প্রতিনিধি ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ , ১০:০৮:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)-পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী সদর উপজেলার ৮ নং মাদাবুনিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ওবায়দুল মাষ্টারের ছেলে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ানোয় বিয়ের দাবী নিয়ে প্রেমিক শিক্ষক রুহুল আমিনের বাড়িতে অনশন করছে নাজমা বেগম নামে এক স্কুল শিক্ষিকা।শুক্রবার(৩১ শে ডিসেম্বর) সকাল ৯ টা থেকে মাদার বুনিয়া ইউনিয়নের হাজী বাড়ীতে এ অনশন শুরু করেন।খোজ নিয়ে জানাযায়,তারা দুজনেই ২০০৫ সাল থেকে একই স্কুলে শিক্ষকতা করতো বলে জানায় স্থানীয় জনসাধারণ ও ভুক্তভোগী নাজমা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শিক্ষিকা নাজমা বেগম বলেন, তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুল কম্পাউন্ডে দীর্ঘদিন যাবৎ শারীরিক সম্পর্ক করে আসছে।এবং আমার কাছ থেকে কিছুদিন আগেও প্রেমিক রুহুলআমিন পঞ্চাশ হাজার টাকাও নিয়েছে এমনকি পিটিআই ট্রেনিং করার সময় রুহুলআমিনের ছোটভাই আমার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা ধার নেয়। আমি বিয়ের কথা বললে সময় ক্ষেপণ করতো। আজ আমি তার বাড়িতে এসে দেখি সে বিবাহিত। এবং তিন মাসের প্রেগনেট, তাই সে আমাকে মেনে না নিলে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
এদিকে সকাল থেকে প্রেমিকা নাজমা আক্তার রুহুল আমিনের বাড়ীতে অবস্থান কালীন ভিক্টিম রুহুলআমিন বাড়ীথেকে পলাতক রয়েছেন। এ ব্যপারে স্থানীয়রা জানান , রুহুলআমিন এর আগেও এমন একটা ঘটনা ঘটিয়েছে ঐ মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্ক জানাজানি হলে স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ দেনদরবার করে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। টাকাপয়সা দিয়ে তার পরিবার বিষয়টি মিটমাট করেছে।
এনিয়ে ভিক্টিমের পরিবার জানায়,আমাদের ছেলে নির্দোশ, ও একজন স্কুল মাষ্টার এলাকাবাসী যা বলছে তা মিথ্যা বানোয়াট,আমাদের সমাজে হেওপ্রতিপন্ন করার জন্য এ ষড়যন্ত্র চলছে। এ বিষয় বড় বিঘাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো,জাফর হাওলাদার ঘটনাস্থলে মেয়োর ভাই,মাহাবুবের মুফলঠোফোনে ফোন করে জানায়,বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে, এবং টাকা পয়সার একটা লেনদেন হয়েছে এটা সঠীক। আগামী ১লা জানুয়ারি উভয়পক্ষের কথা শুনে সিধান্ত নেয়া হবে।
এব্যপারে মাদার বুনিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো,আমিনুল ইসলাম মাসুম মৃর্ধার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও ফোনটি রিসিভ হয়নি। উক্ত ঘটনার ব্যপারে পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মনিরুজ্জামান বলেন,এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।