প্রতিনিধি ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ , ৯:২৭:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ লুৎফর রহমান লিটন-সলংগা সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
নির্বাচনের দিন ভোট দেখতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত স্কুল ছাত্র দেলোয়ার হোসেন সাগর হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। একই সাথে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামীরা জামিনে বের হয়ে বাদীকে মামলা তুলে নেয়াসহ বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের সলংগা
থানার মাছিয়াকান্দি গ্রামে নিজ বাড়ীতে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসীর আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।সংবাদ সম্মেলনে নিহত কিশোর স্কুল ছাত্রের মা দেলরুবা খাতুন কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, আমার একমাত্র সন্তান দেলোয়ার হোসেন সাগর এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
সে ভোটারও ছিল না। ২৮ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের পাশে ভোট উৎসব দেখতে গিয়েছিল। দুপুরের দিকে মানিক দিয়ার এলাকার মতিয়ার রহমানের ছেলে ইউপি মেম্বর প্রার্থী হিরা সর্দারের লোকজন মাছুয়াকান্দি গ্রামের ইউপি সদস্যা প্রার্থী সেলিম মোল্লার সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে ভোট উৎসব দেখতে যাওয়া স্কুল ছাত্র সাগরকে একা পেয়ে হিরা মেম্বর, তোতামিয়া ও সালামসহ অন্তত ২০/২৫জন আটক করে এবং রড ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। গুরুত্বর অবস্থায় বগুড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাতে সাগর মারা যায়।
এ ঘটনায় হীরা সর্দারসহ ১৮জনকে আসামী করে সলঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পর প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করা হলেও সে জামিনে মুক্ত হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য আসামীরা হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিনে নিয়েছে। জামিনে মুক্ত হয়েও আসামীরা বাদীসহ সাগরের পরিবারকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। এমনকি মামলা না তুললে একজনকে হত্যা করলেও যা হবে ১০জনকে হত্যা করলেও একই সাজা হবে। তাই আরো হত্যা করা হবে বলে প্রকাশ্য বলে বেড়াচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে একমাত্র সন্তান হত্যাকারীদের ফাঁসিরসহ ন্যায় বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তার মা। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নিহত সাগরের নানা দুলাল হোসেন মির্জা, খালা রঞ্জনা খাতুন, মামা আব্দুস সোবহান ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিম মোল্লা, সিরাজগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোর্শেদ হাসান রাজিব। সংবাদ সম্মেলনে সংবাদকর্মীসহ এলাকার নারী-পুরুষগন বিচারের দাবীতে বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন প্রদর্শন করা হয়।