• Uncategorized

    আসুন দ্বিতীয় বা তৃতীয় বা বহু বিবাহ নিয়ে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন কি বলে!

      প্রতিনিধি ৪ এপ্রিল ২০২১ , ৪:৫৩:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    বাংলাদেশ যেহেতু একটি স্বাধীন- সার্বভৌম রাষ্ট্র সুতরাং তাঁর কিছু নিজস্ব আইন আদালত থাকবে এটাই স্বাভাবিক সেই অনুযায়ী বাংলাদেশের মুসলিম বিবাহ আইন রয়েছে তার কিছু ধারা-উপধারা রয়েছে আমরা সেগুলো একটু দেখার চেষ্টা করি।

    সালিশ পরিষদের অনুমতি ব্যতিত বহু বিবাহের শাস্তিঃ
    মুসলিম পারিবারিক আইন, ১৯৬১ ধারা ৬(৫) অনুযায়ী,
    সালিশ পরিষদের অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় (বহু) বিবাহ করলে
    ক- বর্তমান স্ত্রীদের সম্পুর্ণ দেনমোহর তাৎক্ষণিক পরিশোধ করতে বাধ্য থাকবে এবং
    খ- ১ বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।

    বিবাহ রেজিষ্ট্রেশন না করার শাস্তিঃ
    মুসলিম বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন আইন, ১৯৭৪ ধারা ৫(৪) অনুযায়ী,বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে এই আইন অনুযায়ী নিবন্ধিত না হলে
    স্বামী ২ বছর কারাদণ্ড অথবা ৩ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।

    ★ প্রথমতঃ মুসলিম পারিবারিক আইন, ১৯৬১ ধারা ৬(৫) অনুযায়ী, তিনি
    সালিশ পরিষদের অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় (বহু) বিবাহ করেছেন। কারণ সালিশ পরিষদের সদস্য হিসাবে যারা দায়িত্ব পালন করেন তারা নির্বাচিত প্রতিনিধি হয়ে থাকেন সেটা ইউনিয়ন পরিষদ হলে চেয়ারম্যান কর্তৃক গঠিত সালিশ পরিষদের লিখিত অনুমতি প্রয়োজন আর যদি পৌরসভা বা সিটি করপোরেশ হয় তাহলে মেয়র কর্তৃক গঠিত সালিশ পরিষদের লিখিত অনুমতি প্রয়োজন যেহেতু তিনি এমন অনুমতি নেননি তিনি বাংলাদেশের প্রচলিত আইন লঙ্ঘন করেছেন সেহেতু আইন অনুযায়ী ১ বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে হবে

    ★দ্বিতীয়তঃ
    বিবাহ রেজিষ্ট্রেশন না করার শাস্তিঃ
    মুসলিম বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন আইন, ১৯৭৪ ধারা ৫(৪) অনুযায়ী উনি বিবাহের রেজিষ্ট্রেশন করেননি তিনি এখানেও বাংলাদেশের প্রচলিত আইন লঙ্ঘন করেছেন এজন্য তাকে আইন অনুযায়ী স্বামী ২ বছর কারাদণ্ড অথবা ৩ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে

    আমরা একটা বিষয় বিস্ময়ের সাথে লক্ষ করেছি, মামুনুর হক সাহেব তার দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম বলেছেন আমেনা তয়্যেবা বাড়ি খুলনা অথচ ঐ মহিলা তার নিজের নাম বলেছেন জান্নাত আরা ঝর্না এবং বাড়ি ফরিদপুর! আমার একজন খুব কাছের বন্ধু তার পরিবারের কাছ থেকে অনেক আগেই জেনেছেন মামুনুর হক সাহেব তার দ্বিতীয় স্ত্রী হিসাবে যাকে পরিচয় করে দিতে চেয়েছেন উনি মূলত তার স্ত্রী ই নহে বরং অন্য কিছু! কারণ তার দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়ি মুলত গাজীপুর যে তথ্য হেফাজতি পাড়ায় বিরাজমান

    সুতরাং তিনি তার দ্বিতীয় বা তৃতীয় বিবাহ নিয়ে যে মিথ্যাচার করছেন সেজন্য সে হেফাজতি কায়দায় ছাড় পেলেও বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তি পেতেই হবে।

    লেখকঃ- তুহিন রেজা
    ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক
    বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদ।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ