প্রতিনিধি ৩০ মার্চ ২০২১ , ৪:৪৯:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়ে চর আগোস্তী গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক’ই পরিবারের তিন জন আহত হলে একজন গুরুতর আহত একজন বলে জানিয়েছেন আহতের পরিবার।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গুরুতর আহত মৃত কাশেম শরিফের স্ত্রী জাহানারা বেগমের ছেলের একটি মামলায় পানি সেচ দেয়ার পাম্প মেশিন আছে। এ পাওয়ার পাম্পযন্ত্র মেশিন দিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গার জমিতে পানি সেচ দেয়ার কাজে ব্যবহার করা হয়।
উক্ত পানির পাওয়ার পাম্পযন্ত্র মেশিনটি কিছু দিন পূর্বে মৃতঃ মুজাফ্ফর আলী চৌকিদারের ছেলে নাসির পাওয়ার পাম্পযন্ত্র মেশিনটি ব্যবহার করার জন্য নেয়। নিজ প্রয়োজনে নিজের কষ্টার্জিত টাকার কেনা পাওয়ার পাম্পযন্ত্রটি আমার ছেলে জাকারিয়া আনার জন্য গত ২২’শে মার্চ রোজ সোমবার সন্ধা আনুমানি পৌনে আট’টার দিকে আসামী নাসির চৌকিদারের বাড়িতে গেলে বিশ হাজার টাকা দাবী করে এবং পাওয়ার পাম্প মেশিন না দিয়েই ফিরিয়ে দেয় ।
বিষটি আমার ছেলে জাকারিয়া স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তি বর্গকে জানালেই সৃষ্টি হয় অদৃশ্য ষড়যন্ত্র। মামলায় জাহানারা বেগম আরো উল্লেখ করেন, ২২’শে মার্চ সোমবার সন্ধার পরে চর আগস্তি গ্রামের শহীদুল চৌকিদারের ছেলে বিল্লাল, মোঃ বিপ্লব চৌধুরীর ছেলে সিপলু, দক্ষিণ চর বিশ্বাস এলাকার সাহেব আলীর ছেলে হাসান খান, মৃতঃ উজ্জত আলী চৌকিদারের দুই ছেলে ( বর্তমান চাকুরী জীবি) খলিল চৌকিদার ও বিপ্লব চৌকিদার , মৃতঃ মুজাফ্ফর আলী চৌকিদারের তিন ছেলে নাসির চৌকিদার, শহীদুল, ইদ্রিস ও আঃ লতিফ চৌকিদার, হানিফ রাঢ়ীর ছেলে মোঃ সামছু এবং খলিল চৌকিদারের ছেলে শাহ আলম সহ নাসির চৌকিদারের ছেলে হাবিব, জসিম চৌকিদারের ছেলে রিফাত, মৃতঃ কাদের হাওলাদারের ছেলে ইব্রাহিম একত্রিত হয়ে আমার বাড়িতে গিয়ে অতর্কিতভাবে আমার ছেলে জাকারিয়ার উপর হামলা চালায়।
সরজমিন ২৪ মার্চ গলাচিপা উপজেলা সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গিয়ে জানা যায় হামলায় জাহানারা বেগমের মাথায় দা’য়ের কোপের আঘাতে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন। ঘটনার বিষয়ে আহত পরিবারের জাকারিয়া ও হোসনে আরা গনমাধ্যমকে জানান, আমাদের উপর হামলা করে তরমুজ বিক্রির টাকা পয়সা পরনের স্বর্ন আংকার নিয়া গেছে, আমরা শেষ হইয়্যা গেছি বলে আইনের কাছে ন্যায্য বিচার দাবী করে জাহানারা বেগম উল্লেখিত ব্যাক্তিদের ২৫’শে মার্চ বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ দ্রুত বিচার আইনে ৪/৫ ধারায় মোকাম পটুয়াখালী ( দ্রুত বিচার) আদালতে মামলা করেন যার মামলা নম্বর ৬৭/২০২১ইং
এ দিকে গুরুতর আহত জাহানারা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে জানান।
ঘটনা ও হামলার বিষয়ে বর্তমান গ্রাম পুলিশ চাকুরী জীবী খলিল চৌকিদারের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে, তিনি বলেন বর্তমান চেয়াপ বিষয়টি জানেন, এবং তার নির্দেশেই ২০ হাজার টাকা নিয়ে ঘটনার মিমাংশা করার জন্য গলাচিপা উপজেলায় মুমূর্ষু অবস্থায় আহত পরিবারের কাছে এসেছিলেন বলে জানান, এবং ঘটনার সাজানো ও মিথ্যে বলে দাবী করেন। উল্লেখ এ মামলার ১২ নম্বর আসামী এবং বর্তমান খলিল চৌকিদারের ছেলে একজন মাদক মামলার আসামী বলেও তিনি স্বীকার করেন।
সার্বিক ঘটনার বিষয়ে চরবিশ্বাস ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ বাবুল মুন্সীর ব্যাবহারকৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করে তার কোন মতামত পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে জজ কোর্ট পটুয়াখালী, এ্যাডভোকেট মোঃ ওমর ফারুক মুঠোফোনে জানান,
মামলাটি মাননীয় আদালত আমলে নিয়ে গলাচিপা থানা রেগুলার মামলা নেয়ার আদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত,এমনটাই তথ্য জানাযায়।