• Uncategorized

    বিশ্বনাথে চাউলধনীর হাওর বাঁচাতে ১০ দফা দাবি নিয়ে মানববন্ধন পালন:

      প্রতিনিধি ২০ জানুয়ারি ২০২১ , ৪:৩৯:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    বিশ্বনাথে চাউলধনীর হাওর বাঁচাতে ১০ দফা দাবি নিয়ে মানববন্ধন পালন:

    সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চাউলধনী হাওরের ইজারা বাতিল, সীমানা নির্ধারণ, বেড়িবাঁধ ও প্রয়োজনীয় স্লুইস গেট নির্মাণ, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক, মৎস্যজীবি ও খামারিদের ক্ষতিপূরণ প্রদান, টেকসই হাওর উন্নয়ন এবং পানি ব্যবস্থাপনা ও ব্যবহারে শৃঙ্খলা আনয়নে প্রকল্প গ্রহণসহ ১০ দফা দাবিসহ মানববন্ধন পালন করা হয়েছে।

    বুধবার ২০ জানুয়ারী স্হানীয় উপজেলার বাসিয়া সেতুর ওপর “ চাউলধনী হাওর ও কৃষক বাঁচাও” আন্দোলনের ব্যানারে এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।
    মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

    চাউলধনী হাওর ও কৃষক বাঁচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক আবুল কালামের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব বাবুল মিয়ার পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির আলী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এএইচএম ফিরোজ আলী, দৌলতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফ উল্লাহ সিতাব, সাবেক ইউপি সদস্য শামসুদ্দিন, চাউলধনী হাওর ও কৃষক বাঁচাও আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক নজির আহমদ, বিএনপি নেতা আরব খান, ইউপি সদস্য ইরন মিয়া, শাহিন আহমদ, আনোয়ার হোসেন ধন মিয়া, সংগঠক রুহেল আহমদ কালু, রাসেল মিয়া ও শফিক আহমদ পিয়ারসহ অনেকেই।
    মানববন্ধনে হাওর পাড়ের কয়েক হাজার কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহন করেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ

    খেলাধুলার বিকল্প নেই-আলহাজ্ব রৌশন আলী

    পত্নীতলায় সাংবাদিক কাওছার এর দাদার ইন্তেকাল

    পলাশবাড়ীতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও কটুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

    নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়কে বাঁচাতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন

    জীবননগর বাসস্ট্যান্ডে থানা পুলিশের মাদক বিরোধী প্রচারণা-দৈনিক অালোকিত ৭১ সংবাদ

    পুরুষশূন্য মাশিকাড়া গ্রাম কাটছে না আতঙ্ক প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার দাবি নারীদের কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি কুমিল্লা দেবীদ্বার উপজেলা মাশিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ, হামলা, অগ্নিসংযোগ ও গুলিবিদ্ধ হয়ে পুলিশসহ অর্ধশত গ্রামবাসী আহত হওয়ার ঘটনার ৪ দিন পর গতকাল শনিবার দুপুরেও ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। দুপুরের পরও ওই এলাকায় মানুষজনের তেমন উপস্থিতি ছিলনা। খুলেনি দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। মাশিকাড়া বাজার ও মাশিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় ছিল পুলিশি টহল এবং সাংবাদিক ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কড়া নজরদারি। এ ছাড়া গত বুধবারের ওই সহিংসতার পর থেকে এখন পর্যন্ত হওয়া দুইটি মামলায় গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যৌন হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক দেবীদ্বার উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক মোক্তল হোসেনকে উদ্ধারের ঘটনায় অভিযান চালাতে গিয়ে এ তা-ব চালানোর অভিযোগ উঠল দেবীদ্বার থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই অভিযুক্ত শিক্ষকের পক্ষের একটি প্রভাবশালী চক্রের প্ররোচনায় এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে পুলিশ এই কাজ করেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তবে উদ্বেগ আর আতঙ্ক কাটেনি নির্যাতনে শিকার ছাত্রীর পরিবার ও স্থানীয়দের। মাশিকাড়া গ্রামের সাথে আশপাশের আরো দুটি গ্রামে কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। যাদের প্রায় সবাই গত বুধবারের সহিংসতায় হতবাক। আতঙ্কিত শিশুরাও। কোনকিছুর শব্দ ও আগুন দেখলে অনেকেই চমকে উঠছেন। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন যাপন করছে মাশিকাড়া গ্রামসহ আশপাশের আরো অন্তত দুই গ্রামের নারী, পুরুষ ও শিশুরা। সবার মধ্যে একটাই আতঙ্ক, আর তা হলো যদি আবার এসে পুলিশ হামলা ও গুলি করে। বাড়িতে থাকতে নিরাপদ বোধ করছে না কেউই। অবশ্য মামলা ও পুলিশি অভিযানের কারণে বাড়িতে থাকার মতো পরিস্থিতিও নেই। অনেকেই নিজেদের বাড়ি ছেড়ে স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত নির্যাতিতা স্কুলছাত্রীর পরিবার কারও সাহায্য-সহযোগিতা চান না। তারা শুধু নিরাপদে বসবাসের নিশ্চয়তা চান, নিজেদের জানমালের নিরাপত্তা চায় তারা। গতকাল সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে তাদের কাছে এমন দাবি জানান তারা। সাংবাদিকদের কাছে তারা সহিংসতায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারেরও দাবি জানান। সরেজমিনে দেখা গেছে, মাশিকাড়া ও শাকতলা গ্রামের প্রায় সব বাসিন্দার চোখে-মুখে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার ছাপ। মাশিকাড়া বাজারে দুধ বিক্রি করতে আসা মো. মনু মিয়া (৬০) বলেন, ‘আমরা এতো বছর ধরে সম্প্রীতির সঙ্গে সবাই বসবাস করে আসছি। আমরাও এখানে স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করেছি, একই সঙ্গে খেলাধুলা করেছি। কখনো কারো সাথে কোনো বিরোধ হয়নি। এক শিক্ষকের অনৈতিক আচরনের জন্য তার পক্ষের বহিরাগত কিছু লোক এসে এখানের মানুষজনকে উসকে দিয়ে এই কাজগুলো করাচ্ছে। এই মূলহোতাদের আইনের আওতায় আনা উচিত।’ গত বুধবার বিকেলে থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার মাশিকাড়া উচ্চ ববিদ্যালয় এলাকায় স্থানীয় জনতা-ছাত্র ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এই সহিংসতায় সাত পুলিশসহ স্থানীয় অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন। শাকতলা গ্রামের রাজিয়া বেগম বলেন, ‘সেদিনের হামলার বীভৎসতায় আমার সাত বছরের ছেলে এখনো আঁতকে ওঠে। পুলিশ দেখলে ভয়ে কেঁদে ফেলে। এমন অবস্থা আমাদের প্রত্যেক পরিবারের। আমরা সরকারের কাছে নিরাপত্তা চাই।’ ওই ঘটনায় নির্যাতিতা স্কুলছাত্রীর বাবা ণারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলার বাদী মো. শফিউল্ল্যাহ বলেন, ‘আমরা কারও সাহায্য-সহযোগিতা চাই না। আমরা শুধু নিরাপদে বসবাস করতে চাই। নিজেদের জানমালের নিরাপত্তা চাই।’ মামলা ও গ্রেপ্তার- বুধবারের সহিংসতার ঘটনায় আলাদা দুইটি মামলা করা হয়েছে। দেবীদ্বার থানায় হামলা ভাঙচুর, লুটপাট, সরকারি কাজে বাধাদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি ও যৌন হয়নরানীর শিকার ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে ণারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি একটি মামলা করা হয়। এ দুই মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ওই ঘটনায় অভিযুক্ত যৌন নিপীড়ক প্রধান শিক্ষক মোক্তল হোসেনসহ এ পর্যন্ত ১৭জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইিম এন্ড অপস্) খন্দকার আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘বিভিন্ন অভিযোগে দুইটি মামলা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। ওখানকার দায়িত্বরত পুলিশের কোন গাফলতি ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’