প্রতিনিধি ৬ জানুয়ারি ২০২১ , ১২:৪৪:২০ প্রিন্ট সংস্করণ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ বাংলাদেশ আ’লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন,বাংলাদেশে এক সময় একটি রাস্তা বা একটি কালভার্ট নির্মাণে বিদেশিদের সাহায্যের প্রয়োজন ছিল।
সেই বাংলাদেশ এখন ১২ মিলিয়ন ডলারে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করছে। সেই বাংলাদেশ ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মাতার বাড়ীর মত গভীর সমুদ্র বন্দর করছে। হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়ে পায়রাবন্দর করছে।এবং আমাদের স্বপ্নের সেতু যে সেতু নিয়ে খালেদা ড.ইউনুসরা ষড়যন্ত্র করেছেলি। বিশ্বব্যাংক ষড়যন্ত্র করেছিল।
সেই পদ্মা সেতু এখন দৃশ্যমান হয়েছে। এই দৃশ্যমান শুধু আমাদের চোখে নয় এই পদ্মা সেতুর মধ্যে দিয়ে এই উন্নয়নগুলোর মধ্যে দিয়ে সারা দুনিয়া এখন বাংলাদেশকে দেখছে।সেই জায়গায়টায় নিয়ে গেছেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরন্ত শেখ হাসিনা।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবো।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরো বলেন, অতীতে অনেক সরকার এসেছে গেছে জিয়া,এরশাদ খালেদা সরকারেরা তারা মানুষের জন্য কিছু করেনি দেশের জন্য কিছু করেনি। দেশটাকে লুটপাট করে দূনীর্তির আড্ডা খানায় পরিণত করেছে, মাদক দিয়ে যুবক তরুণদেরকে বিকলাঙ্গ করার চেষ্টা করেছে। এই ছিল বাংলাদেশ, আজকে সেই বাংলাদেশ ঘুরে দাড়িয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দেশে কোন গৃহহীন থাকবে না। এক সময় মানুষের খাদ্য বস্ত্র চিকিৎসার অভাব ছিল এখন এই অভাবগুলো নেয়। বিনামুল্য বই বিতরণ হয়,এমন কোন শিশু নেই যারা স্কুলে যায় না। মন্ত্রী প্রতিবন্দীদের উন্নয়ন নিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার যখন ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেছিল তখন প্রতিবন্দীদের জন্য ভাতা শুরু করেছিল।
সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে প্রতিবন্দীর নিয়ে এসেছিল। প্রতিবন্দীদের উন্নয়নে তিনি বলেন, এক সময় প্রতিবন্দীরা ঘরে ঢুকে থাকতো এখন তারা বাইরে বের হচ্ছে পড়াশুনা করছে। প্রতিবন্দীদের সবচেয়ে বেশি প্রধান্য দিয়ে দেশরন্ত শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ কাজ করছেন। তিনি প্রথম প্রতিবন্ধীর উন্নয়নে একটি জাগরণ সৃষ্টি করেছেন।
সেই কারণে প্রতিবন্দীরা এখন বের হয়ে আসছে। গতকাল বুধবার বেলা তিনটায় ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল আলী আকবর এমপি অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী স্কুল কর্তৃক আয়োজিত অভিভাবক সমাবেশে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি রাণীশংকৈল উপজেলার বিপুল উন্নয়নের চিত্র দেখতে পেয়েছেন জানিয়ে বলেন, এই রাণীশংকৈল এক সময় কি ছিল, সেই রাণীশংকৈল কত উন্নত হয়েছে এমনভাবে সমগ্রহ দেশ উন্নয়নে ভরে গেছে। আপনারা জানেন আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ পালন করছি।
ও স্বাধীনতার ৫০ বছর আমরা পালন করবো। আমরা যেই প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিয়েছিলাম দেশরন্ত শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুজিব শতবর্ষে এবং স্বাধীনতা ৫০ বছরে বাংলাদেশ মাথা উচু করে দাড়াবে। আমরা আজ গর্ব করে বলতে পারি অহংকার করে বলতে পারি বাংলাদেশ মাথা উচু করে দাড়িয়েছে।
সাবেক সাংসদ সেলিনা জাহান লিটার সভাপতিত্বে এ সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) নুর কতুবুল আলম সহকারী পুলিশ সুপার কামাল হোসেন,উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবীর স্টিভ, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আসলাম জুয়েল,এসএসপি রাণীশংকৈল সার্কেল তোফাজ্জল হোসেন ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা,শেফালী বেগম,প্রেসক্লাব সভাপতি ফারুক আহাম্মদ সরকার,সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আকাশ,অফিসার ইনর্চাজ এস এম জাহিদ ইকবাল প্রমূখ।
এদিকে নৌ পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী রাণীশংকৈল খেলোয়ার কল্যাণ সমিতি কর্তৃক রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজ মাঠে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুণামেন্টের ফাইনাল খেলার উদ্ভোধক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সাবেক সাংসদ অধ্যাপক ইয়াসিন আলীর সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দেন।