প্রতিনিধি ১২ অক্টোবর ২০২০ , ৯:৩২:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ
প্রাণের শহর বগুড়া
✍?ছাব্বির খাঁন
প্রাণের শহর বগুড়া আমার
সুন্দর্যের ভরা –
এই শহরের পরিবেশ’টা সুন্দর অনেক এ যেনো
প্রকৃতির এক নীলাখেলা।
শহরে গেলে শান্তি লাগে
আছে অনেক মায়া,
পৌর পার্কে ঘুরে ফিরে কেটে যায় বেলা।
চান্দু স্টেডিয়ামে হয় খেলা
সন্ধ্যা বেলাতে।
বন্ধুদের নিয়ে যাই আমরা দেখতে।
ওয়ান্ডারল্যান্ডের পাশে দেখি
অনেক কিছু,
নাচগার্ডেনে আছে ভালোবাসার মধু!
প্রাণের শহর বগুড়া আমার
সুন্দর্যে ভরা –
‘বগরা ‘খাঁর নামানুসারে হয় বগুড়া জেলা।
করতোয়া নদীর তীরে যে ভূমি’টি ছিল প্রাচীনকালের
রাজধানী পুন্ড্রবর্ধন নামে ডাকা হতো।
শাহ্ সুলতান বলখীর পায়ের
চরণে হয় মহাস্থানগড়,
একদা সময় ধন্য হয়ে
উঠেছিল এই ছোট্ট জনপদ।
মুক্তিযোদ্ধের সময় রেখেছিল
অবদান মেজর জিয়াউর রহমান।
পাকিস্থান আমলের প্রধানমন্ত্রী তার নামে নামকরণ করেন একটি হাসপাতাল মোহাম্মাদ আলী।
আজিজুল হক নামে প্রতিষ্ঠিত হয় একটি প্রতিষ্ঠান,
তরুণ- তরুণীরা পড়ে দিয়েছেন এর সমাধান।
মুশফিকুর রহিম জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়
বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম
ডাবল সেঞ্চুরি তারি অবদান।
দেশ নেত্রী খালেদা সেবা করতে গরীবদের তৈরী
করেছেন জিয়া মেডিকেল।
প্রাণের শহর বগুড়া আমার
সুন্দর্যে ভরা –
এই শহরের দইয়ের স্বাদ সব দেশ থেকে সেরা।
শহরে গেলে শান্তি লাগে
সাত মাথায় গেলে মাথা ঘোরে মানুষের ভিড়ে।
প্রেম যমুনার ঘাটে গানের আসর বসে,
সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে।
বেহুলা লক্ষিন্দরের বাসর ঘর
রুপকথার আরেক নাম -!
ইতিহাসে প্রচলিত আছে,
বেহুলা কখনো হয় না বিধবা
এটাই ভাগ্যর রেখা।
রাজা পরশুরাম পানির পিপাসা মিটাতে –
খনন করেছিলেন এক কূপ,
ভালোবেসে পান করালে পানি ফিরে পেতো মৃত মানুষগুলো প্রাণ।
প্রাণের শহর বগুড়া আমার
সুন্দর্যে ভরা –
৯ বিঘা জমির উপর প্রতিষ্ঠিত নওয়াববাড়িটি ইতিহাসে সাক্ষী হয়ে আছে দাঁড়িয়ে।
প্রাণের শহর বগুড়া আমার
সুন্দর্যে ভরা –
এই শহরের মত হয় না শহর
ইতিহাসে আছে লেখা।