আরিফুল ইসলাম কারীমী-স্টাফ রিপোর্টারঃ
কথিত শান্তি সমাবেশের নামে নিরপরাধ নিরীহ মাদরাসা শিক্ষার্থী হাফেজ রেজাউলকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা রাজপথে নির্মমভাবে খুন করেছে। এই খুনের সঙ্গে ছাত্রলীগ যুবলীগের সন্ত্রাসীরা জড়িত তা এখন জাতির কাছে স্পষ্ট। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের পর থেকে এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেশের ছাত্রসমাজ প্রত্যাশীত কোন পদক্ষেপ দেখেনি। যা ছাত্রসমাজের মাঝে উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার জন্ম দিয়েছে। দেশের প্রতিটি নাগরিক রাষ্ট্রের কাছে ন্যায়বিচারের অধিকার রাখে। এ হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক বিবেচনায় না দেখে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে খুনিদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করতে হবে এবং হাফেজ রেজাউলের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। অন্যথায় দেশব্যাপী ছাত্রসমাজ গণ আন্দোলন গড়ে তুলবে।
গত ২৮ জুলাই’২৩ কথিত শান্তি সমাবেশে যুবলীগ-ছাত্রলীগ কর্তৃক নৃশংসভাবে নিহত নিরীহ মাদরাসা শিক্ষার্থী হাফেজ রেজাউল করিম এর হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে আজ ১৮ই আগস্ট'২৩ শুক্রবার বাদ জুমা রাজধানীর বাইতুল মোকাররম উত্তর গেইটে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য-এর প্রধান সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস এর কেন্দ্রীয় সভাপতি পরিষদ এর সদস্য মুহাম্মাদ কামাল উদ্দীন এর সঞ্চালনায় আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের মুখপাত্র ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ এসব কথা বলেন।
হাফেজ রেজাউলের এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডের পরও প্রশাসন তৎপরতা না থাকা এদেশের ছাত্র-জনতা কে হতাশ করেছে। আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থী হত্যার বিচার এই জাতির জন্য চরম লজ্জার। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে এমন হত্যাকাণ্ড মানুষকে আইনের প্রতি আস্থাহীন করে তুলবে। তিনি বলেন ক্যাম্পাসে রাজনীতির সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসসীরা। ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর দর্জি দোকানদার বিশ্বজিৎ দাসকে বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
মাদ্রাসা শিক্ষার্থী রেজাউলকে হত্যা নতুন নয়,গত ২০১৯ সালে ৭ অক্টোবর আলোচিত বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেছিলেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ছাত্রলীগের রাজনীতিকে সন্ত্রাসী রাজনীতি হিসেবে ঘোষণা দিয়ে সারাদেশে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। অন্যথায় সারা দেশের ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে ছাত্রলীগের নৈরাজ্য রুখে দিতে তীব্র গণ আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন নেতৃবৃন্দ। তিনি আরো বলেন, দোষীদের আড়াল করতেই হাফেজ রেজাউল করিম হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে বক্তব্য রাখায় ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাকে গ্রেফতার ও তার বাবাকে হয়রানি করেছে প্রশাসন। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তাকে এবং কারাবন্দী সকল সম্মানিত ওলামায়ে কেরামসহ সকল রাজবন্দিদেরও মুক্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
কর্মসূচি আগামী ২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটায় শাহবাগ চত্ত্বরে ছাত্র সমাবেশ করবে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য।এ সময় বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সভাপতি নিজাম উদ্দিন আল আদনান,বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজ এর মহাসচিব বি এম আমির জিহাদী,বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ খালেদ সাইফুল্লাহ,বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মোল্লা মুহাম্মাদ খালিদ সাইফুল্লাহ, ভাষানী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আহমেদ শাকিল, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাসুদ রানা জুয়েল, কওমী ছাত্র ফোরাম এর সদস্য সচিব জামিল সিদ্দিকীসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত গণমাধ্যম দৈনিক আলোকিত ৭১ সংবাদ
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.