প্রতিনিধি ১২ অক্টোবর ২০২০ , ৯:৫১:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
হোন্ডা মেকার থেকে সাংবাদিক বনে যাওয়া পটুয়াখালী যুগান্তর প্রতিনিধি(দক্ষিন) এবং বরিশাল টাইমস পটুয়াখালী প্রতিনিধির প্রচারিত সংবাদে, পটুয়াখালী সাংবাদিক মহলে ক্ষোপ।
গত ১০ অক্টোবর বরিশাল টাইমসে পটুয়াখালীতে মেয়ে জামাতাকে আটকে টাকা আদায় শীর্ষক সংবাদ প্রচারিত হয়। এবং জনৈক সংবাদ কর্মীর নাম ও মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করেন তিনি।
প্রকাশিত সংবাদসূত্রে জানাযায়,পটুয়াখালীতে গোপন সংবাদের ভিক্তিতে গোয়েন্দা সাখার ডিবি পুলিশের একটি চৌকস দল শহরের ফৌজদারি পুল এলাকা থেকে মলিন সিকদার (৩৫) নামের এক যুবক’কে ৭ বোতল ফেন্সিডিল সহ আটক করে ডিবি পুলিশ।।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ৫ অক্টোবর দুপুর আনুমানিক ০১.২০ মিনিটের সময় পটুয়াখালীর সাকিনস্থ পুরানো ফৌজদারিপুল সাতক্ষীরা দধি ঘড় মিষ্টান্য দোকানে।
মামলাসূএে জানাযায়,পুরাতন ফৌজদারিপুল সাকিনস্থ নিউ সাতক্ষীরা দধি ঘর প্রোঃ শিবুপদ ঘোসের দোকানে কতিপয় ব্যক্তিরা মাদকদ্রব্য ক্রয় বিক্রয় করিতেছে। বিষয়টি তৎক্ষনাৎ উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করে, রাত ০৯ঃ২০ ঘটিকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধারের অভিযান পরিচালনা করতে।
মটরসাইকেল যোগে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে মাদক ব্যবসায়ীরা গোয়েন্দা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা কারিলে এস আই (নিঃ) রফিকুল ইসলাম ও সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় মাদক ব্যবসায়ী মোঃ মলিন সিকদার (৩৫) পিতাঃ মৃত খলিল সিকদার সাং শিমুলবাগ ৩ নং ওয়ার্ড থানা ও জেলা পটুয়াখালী’কে ভারতীয় ৭ বোতল ফেনসিডিল সহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এবং আসামি মলিনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গোয়েন্দা শাখায় এজাহার ভুক্ত হয়, যার ডায়রি নং-৪০। এব্যপারে গোয়েন্দা শাখার এসআই রফিকুল ইসলাম বলেন,আমরা মাদকের অভিযান পরিচালনা করি বিভিন্ন ধরনে সোর্সের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে। মলিন ছাড়াও অন্য একজন এর সাথে জড়িত আছে।
এসময় এসআই রফিক গণমাধ্যমকে জানায়, এস,আই রফিকুল ইসলাম ঘটনার বিবরন দিয়ে বলেন,শুভ মাদকের সাথে সংযুক্ত থাকায় তাকে ডিবি পুলিশ তাদের সোর্সের সাহায্য শুভোর মোবাইলে নগদ ১২ হাজার টাকা বিকাশ করে,যার সত্যতায় আটককৃত মলিন সিকদারের মোবাইলে ইনবক্সের ম্যাসেজে পাওয়া যায়।
ঐ ঘটনার সূত্র ধরে ডিবি পুলিশের সদস্য ইব্রাহীম শুভকে ফোন করলে ।শুভ জানায় আমি বনানী এলাকায় আছি। ফোনালাপে এসআই রফিক তাকে লঞ্চঘাট এলাকায় আসতে বলে। এসময় রাস্তায় অগনিত লোকের ভিড়ে আলোচনা না করে কিসমত হোটেলের একটি কক্ষে কথোপকথন হয়।
শুভোর মোবাইলে পাঠানো টাকা চাইলে অস্বীকার করে বসে। এবং এসআই রফিকুল ইসলামের পা ধরে কাদদেঁ শুরু করে শুভ। আমার দুটো বাচ্চা আছে আমি আর কখনো এসবের সাথে যুক্ত হবোনা বলে জানায়। বিগত দিনে মাদকের সাথে জড়িত থাকার কথাও শ্বিকার করে শুভ।
এব্যপারে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে বিষয়টি অবহিত করলে গত ৫ অক্টোবর রাএ ৮ টার সময় ফোনালাপে জানানো হয় ভাইয়া আমার অনেক বিপদ আমাকে বাচান, উক্ত ব্যপারে ডিবি পুলিশের সাথে আলাপ করলে, জানানো হয় ফেন্সিডিল সংক্রান্ত বিষয় এ,এস,আই ইব্রাহীম আমাকে ধরে লঞ্চঘাট নিয়ে যায় এবং মোবাইলে পাঠানো ১২ হাজার টাকা চায়।
পুরো বিষয়টি বোঝারজন্য জানতে চাইলে শুভ বলে আমি পটুয়াখালী প্রেস ক্লাবের সভাপতিকে জানিয়েছি মোবাঃ রেকর্ড ও তার কাছে দিয়েছি এবং বরিশাল টাইমস,ও যুগান্তর দক্ষিণ পটুয়াখালী প্রতিনিধি বিলাস দাসকে সকল তথ্য দিয়েছি। শুভোর কথায় ডিবি পুলিশের সাথে কথা বলতে গত ৮ অক্টোবর সন্ধা ৮ টা নাগাদ শহরস্থ তিতাস মোড়ে ফোন করে এসআই রফিকের সাথে আলোচনা করি উক্ত বিষয় আলাপকালে বলা হয় এবারের মত কক্ষা করেদিন। ঐ সময় শুভোর মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বল হয় ডিবির পাঠানো ১২ হাজার টাকা বিকাশে তা ফেরৎ দিতে অপরসাইডে থাকাশুভ ফোনালাপ রেকর্ড করে বসে।
এবং যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রেকর্ডটি ভাইরাল করা হয় ইনফরমেশন রেভেল্ট আইডি থেকে।অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে আইডিটি গলাচিপা মাচ ব্যবসায়ী মোঃ ইমন ব্যবহার করে।আরো জানাযায় তার নিজনামে আরো একটি আইডি রয়েছে। এই চক্রটি পটুয়াখালী সদর উপজেলা সহ পটুয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলায় এই মাদক ব্যবসায়ী চক্রটি গোটা পটুয়াখালী জেলায় বিস্তৃত। এরা কিছু সাংবাদিকদের ছত্রছায়ায় রয়েছে বটে। ।
প্রশ্নবিদ্ধ এখানে বরিশাল টাইমসে প্রকাশিত সংবাদে মানহানী করশব্দ ব্যবহার করে তথ্য উপাত্ত ছাড়াই মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রচার করায় কারো বক্তব্য ছাড়াই কিভাবে সংবাদ প্রকাশ করতে পারেন এমন প্রশ্ন সাংবাদিক মহলে।।
এব্যাপারে বরিশাল টাইমস, ও যুগান্তর এর দক্ষিন পটুয়াখালী প্রতিনিধি বিলাস দাস এর মুঠোফোন (০১৭১১-৩৮৯৭২২) নাম্বারে ফোন করে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, রেকর্ড এর ভিক্তিতে নিউজ করেছি বক্তব্য লাগেনা, আমি এখন প্রোগ্রামে আছি পরে কথা বলব এছাড়া বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব এড়েয়ে ফোন লাইনটি কেটে দেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ইংরেজি ১১ অক্টোবর বরিশাল অনলাইন পোর্টাল বরিশাল টাইমস এ সংবাদ প্রচার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করতে বরিশাল টাইমস এর অফিসের নাম্বারে ফোন করা হয় যার নাম্বার ০৪২১-৬৭৯৯৯ অপরদিক থেকে ফোন রিসিভ করলে পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন,অফিসের নির্দেস আছে বলা যাবেনা। কি বিষয় ফোন করা হয়েছে জবাবে তাকে অবহিত করলে তিনি বলেন, বরিশাল টাইমস এর পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি বিলাস দাস।
সরেজমিন অনুসন্ধানে আরো জানাযায়, শশুর,জামাই মাদক মামলায় জড়িত থাকার সন্ধান। গত ২০১৭সাল ১০ অক্টোবর সদর থানায় এফ,আই নং ১৭/৪৯৫ ৯.০৫ ঘটিকার ধারা ১৯(১) এর ৯(ক)১৯(৪)/২৫ ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রনে এই মামলায় সে এজাহারে অভিযুক্ত হয় সহিদুল ইসলান (সহিদ) শশুর এছাড়াও জামাতা নিয়াজ মোর্সেদ শুভ গ্রাম ইদ্রাকপুর জেলা পটুয়াখালী।
সদর থানায় এফ আই আর নং ৩০/৪৬২ তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সময় ৩. ৫০ ঘটিকায় ধারা এই মামলায় সে এজাহার অভিযুক্ত অবৈধ মাদক ব্যবসায় জড়িত ।২০২০ সালেও নিয়াজ মোর্সেদ শুভ ফেন্সিডিল ও ইয়াবা সেবনসহ কারবারীর সাথে জড়িত। এবং শশুর সহিদুল ইসলাম সহীদ)একাধিক মাদক মামলায় জেলহাজতে যান এবং জামিনে বেড়িয়ে আসেন।
এ ব্যাপারে তদন্তকারী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান প্রতিবেদ’কে বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান তিনি।
হোন্ডা মেকার থেকে সাংবাদিক বনে যাওয়া পটুয়াখালী যুগান্তর প্রতিনিধি(দক্ষিন) এবং বরিশাল টাইমস পটুয়াখালী প্রতিনিধির প্রচারিত সংবাদে, পটুয়াখালী সাংবাদিক মহলে ক্ষোপ।