প্রতিনিধি ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৮:৩৩:২২ প্রিন্ট সংস্করণ
আঃ কাদের কারিমী-বরিশাল জেলা প্রতিনিধি:
বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার নদী ও খালের পারে অবৈধ ইটবাটার লীলাখেলা, সব মিলিয়ে প্রায় ৭০ বা ৭৫ টার মত রয়েছে ইটবাটা।যার ৬০ থেকে ৬৫ টাই অবৈধ বলে জানা গেছে।পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে এসব বাটার কোন অনুমতি নাই। দেশের সব অবৈধ ইটবাটা বন্ধ করা হাইকোর্টের নির্দেশ হলেও হিজলার অবৈধ ইটবাটা যেন ধরা ছোয়ার বাইরে।
গত ২৪ জানুয়ারী রহস্যজনক ভাবে রিয়াজ তালুকদারের ইটবাটা ভেঙে দিলেও বাকি অবৈধ বাটার ব্যাপারে প্রশাসনের ভূমিকা রহস্য জনক।নাই কোন ভূমিকা। যা সাধারণ জনগণের মাঝে দ্বিধা সৃষ্টি করছে। এসমস্ত অবৈধ ইটবাটায় ইট পোড়াতে ব্যবহার করা হচ্ছে কয়লার পরিবর্তে কাঠ,এলাকার ফসলি কৃষিজমির মাটি দিয়ে ইট তৈরি করা হচ্ছে। জ্বালানি হিসেবে পোড়ানো হচ্ছে বিভিন্ন গাছের কাঠ। মাটি বহন করতে ট্রাক্টরের চলাচলে গ্রামীণ সড়কগুলো বেহাল হয়ে পড়েছে। ক্ষেতে ধুলার স্তর পড়ে নষ্ট হচ্ছে ফসল। কিন্তু কেউ যেন দেখার মত নেই।
ইটভাটার ১০০ গজ এলাকার মধ্যে বসবাস করা কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, ইটবোঝাই গাড়ি সারাদিন-রাত চলাচল করে। গাড়ি যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধুলা উড়ে ঘর-বাড়িতে পড়ছে। ভাতের সঙ্গে ধুলাও খেতে হচ্ছে। বাড়ির গাছের পাতায় ধুলা পড়ে জমে রয়েছে। অনেকসময় শ্বাসকষ্ট নিয়ে দিন কাটাতে হয়।তা ছাড়াও বাচ্চাদের স্কুলে যেতে আসতে কষ্ট হয়, রয়েছে স্বাস্থ্যের ঝুকি।
অনতি বিলম্বে যদি এই অবৈধ ইট বাটার লাগাম টেনে ধরা না যায় তাহলে ভবিষ্যতে আরো খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে বলে ধারণা করেছেন বিজ্ঞ জনরা।