প্রতিনিধি ২২ নভেম্বর ২০২৩ , ৪:০৬:১২ প্রিন্ট সংস্করণ
আঃ কাদের কারিমী-বরিশাল জেলা প্রতিনিধি:
বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের পূর্ব কোড়ালিয়া গ্রামের মৃত লতিফ সরদারের স্ত্রী মোসাঃরুনা বেগম(৫৫)এর উপর জমি সংক্রান্ত পূর্বের জের ধরে আতর্কিত হামলা করেন প্রতিপক্ষ। এতে আহত হয়ে রুনা বেগম হিজলা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন,রুনা বেগম জানান,প্রায় সারে তিন বছর আগে ৮ শতাংশ জমি ক্রয় করে চাচাতো দেবর মোঃ আনোয়ার সরদার থেকে।জমি ক্রয়ের পর আনোয়ার সরদার মৌখিকভাবে জমি বুঝিয়ে দিলে বার বার বলার পরেও মেপে দেয়নি।
আর সেই ক্রকৃত জমিতে ঘর নির্মাণ করি,কিন্তু ঘর নির্মাণ করলেও ঘরের আশ পাশে ক্রয় কৃত জমির অবশিষ্ট অংশে গাছ পালা লাগাতে পারিনি। হাস, মুরগী, ছাগল ও পালতে না পেরে বিক্রি করে ফেলেছি।সব ক্ষেত্রেই আনোয়ার সরদারের আত্মীয়,বাদশা সরদারের স্ত্রী মোসাঃ হালিমা বেগম(সুর্যা)(৪২) প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। দীর্ঘদিন যাবত এরকম ঝামেলা চলেই আসছে।
সম্প্রতি সময়, গতকাল ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক সারে নয়টার সময়, আমার ঘরের পাশের ক্রয় কৃত জমি থেকে মাটি কেটে নিয় যায় হালিমা বেগম। আমি তার ছেলে মোঃ মানিক (২২)মোঃ আবদুল্লাহ (১৯) কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তারা দুই ভাই এবং তার মা হালিমা আমার উপর আতর্কিত হামলা করে এবং কিল, ঘুসি, লাথি মারতে থাকে।
এর পর আসে আলমগীর সরদারের স্ত্রী, হালিমার বোন রেখসোনা (৩৮)এবং রোখসোনার দুই ছেলে রাকিব(২৪) সাকিব (১৯) তারাও ব্যাপকভাবে মারধর করে। ভুক্তভোগী রুনা বেগম আরো জানান, আমার চিৎকার শুনে আমার ছেলে মোঃ তাজেল সরদার চলে আসলে, তাকে মারার জন্য মানিক একটি ছুরি বের করে, পরে আমার দুই ছেলের বউ এসে আমার ছেলেকে রক্ষা করে। জানা গেছে উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিজলা থানায় একটি ডায়েরি করা হয়।
আহত অবস্থায় রুনা বেগম এখন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন।তিনি প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচারের দাবি জানিয়েছেন। অন্যদিকে প্রতিপক্ষ হালিমা বেগম সহ যারা রুনা বেগমের উপর হামলা করেছেন, তারা নিজেদেরকে বাঁচানোর জন্য ভুক্তভোগী রুনা বেগম থানায় অভিযোগ করার পূর্বেই তারাও থানা একটি ডায়েরি করেন।