প্রতিনিধি ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ , ১২:২৮:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ
আঃ কাদের কারিমী-বরিশাল জেলা প্রতিনিধি:
বরিশালের হিজলা উপজেলায় বড়জালিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ঝন্টু বেপারী ও তার একদল সন্ত্রাসী গ্রুপ ঈগল মার্কার নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে এবং যুবলীগ নেতা অহিদ সরদারকে এলোপাথাড়ি মারধর করে বিভিন্ন স্থানে নিলা ফুলা জখম করে মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং দাঁত ভেঙে ফেলেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । অহিদ সরদারের চিৎকারের শব্দ শুনে আশপাশের লোক ছুটে আসলে তাৎক্ষণিক তারা পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় নাকি বলে গেছেন, ঈগল মার্কার কোন নির্বাচনী কার্যক্রম হিজলা উপজেলায় চলতে পারবে না। হিজলা উপজেলায় শুধু নৌকা মার্কার নির্বাচনী প্রচারণা চলবে।
তারা আরও বলেন, যদি ঈগল মার্কার নির্বাচনী প্রচারণা চলে তাহলে তোদের সবাই কে একটা একটা করে ধরে মেরে ফেলবো,দেখব তোদের পঙ্কজনাথ বাবা তোদেরকে কিভাবে বাচায়।এই ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ছুটে আসেন এবং অহিদ সরদারকে সাময়িক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার জানান, ওহিদ সরদারের অবস্থা তেমন একটা ভালো নয়, মাথায় বড় ধরনের জখম হয়েছে। এবং দাঁত ভেঙে গিয়েছে। তাই তাকে অত্র হাসপাতালে রাখা যাবেনা।তাকে উন্নতমানের চিকিৎসা করাতে হবে।
আর আমাদের হাসপাতালে ভালোমানের মেশিন ও যন্ত্রপাতি নেই, তাই তাকে বরিশাল নিয়ে যেতে হবে। তা না হলে ওর ব্রেন্টের সমস্যা হতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন ইউপি সদস্য ঝন্টু বেপারী গং একটি আতঙ্ক একটি সঙ্ঘবদ্ধ সন্ত্রাসী গ্রুপ। এদের এই জঘন্য হামলা মোটেও ভালো হয়নি। ঈগল মার্কার নির্বাচনী প্রচারণায় ওদের সমস্যা কোথায়?পঙ্কজ দেবনাথ এর সমর্থিত কর্মীকে ওরা কার ইন্দনে এত বড় হামলা চালায়, আমাদের বুঝে আসে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতাকর্মীরা আরও বলেন, আমরা খুব দ্রুত এই নেক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলার বিচার চাই। তা না হলে সাধারণ জনগণ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে যেতে পারে। আর যদি সাধারণ জনগণ ভোট দিতে না আসে তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিএনপি জামাত বদনাম ছড়াবে।এবং বহির বিশ্বের কাছে তাতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। এই ঘটনার বিষয়ে বড়জালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হিজলা উপজেলার সাধারণ সম্পাদক, আলহাজ্ব মোঃ এনায়েত হোসেন হাওলাদার বলেন, ইউপি সদস্য ঝন্টু বেপারী একটি সঙ্ঘবদ্ধ সন্ত্রাসী গ্রুপ। ওরা সমাজে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
তিনি আরো বলেন ড. শাম্মী আহমেদ দ্বৈত নাগরিকত্বের জন্য মনোনয়ন বাতিল করেছেন নির্বাচন কমিশন। সে যদি আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে আমাদের মাঝে ফিরে আসতে পারে তখন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন মিলে ঠিক করবে কিভাবে নৌকা মার্কাকে নির্বাচিত করা যায়। আর আমি হলাম হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কিন্তু ঝন্টু বেপারী আওয়ামী লীগের কে? তাকে ঈগল মার্কার নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ করতে হবে কেন? সেটা আমার বুঝে আসেনা।
এই ঘটনার বিষয়ে থানা পুলিশের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমরা ঘটনার সংবাদ পেয়ে সাথে সাথে ছুটে আসি, এবং আমরা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার ব্যবস্থা করবো। হিজলা উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এবং খুব দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন।