এম.এম জুনায়েদ কামাল-নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল হাসানের (৩৯) উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (১৭ অক্টোবর) রাত সোয়া ৮টার দিকে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন শহীদ মিনারের সামনের সড়কে দুর্বৃত্তরা এ হামলা চালায়। হামলার শিকার শিক্ষা কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ করে সাখাওয়াত হোসেন। সে অনেক বিষয়ে অনিয়ম করে। গত রোববার প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণকারী প্রত্যেক শিক্ষকের সম্মানী ভাতার ৫০০ টাকা থেকে সে চাঁদা দাবি করে।
দক্ষিণ রাজের হাওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মফিজ উদ্দিনসহ কয়েকজন শিক্ষক তাকে সম্মানী ভাতা থেকে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষক মফিজ উদ্দিনকে মারধর করে। এ ঘটনায় সকল শিক্ষক তীব্র প্রতিবাদ করে তার বিরুদ্ধে স্মারকলিপি দেয়। তখন ওই গুলো আমরা উপর মহলে প্রেরণ করি। সম্ভত এ ঘটনার জের ধরে সাখাওয়াতের যোগসাজশে আমার ওপর হামলা চালানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যার দিকে দোকান থেকে নাস্তা করে মোটরসাইকেল যোগে বাসায় ফিরছিলেন শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল। শহীদ মিনার এলাকায় পৌঁছালে ৮-১০ জনের মুখোশধারী তাকে অপর একটি মোটরসাইকেল দিয়ে ধাক্কা দিয়ে সড়কে পেলে দেয়। এরপর মুখোশধারীরা তাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তিনি হাতিয়া থানায় গিয়ে মৌখিক অভিযোগ করেন। বর্তমানে তিনি নিজ বাসায় রয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে সাখাওয়াত হোসেনকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সাখাওয়াত ঘটনার পর পরই গা ঢাকা দিয়েছেন। হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন জানান, তথ্য পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে হামলাকারিদের গ্রেপ্তার করা হবে।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত গণমাধ্যম দৈনিক আলোকিত ৭১ সংবাদ
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.