প্রতিনিধি ৫ অক্টোবর ২০২০ , ৭:৫৬:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ
ওসমান গনি রাজন, হবিগঞ্জঃ
নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সর্বত্র চলছে তোলপাড়। এছাড়া সংবাদ মাধ্যম ও পুলিশের কাছে ভিকটিমের ভিন্নধর্মী বক্তব্যের কারণে ঘটনাটি নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের কালাভরপুর গ্রামের জনৈক গৃহবধু দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার সৈয়দপুর বাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিল। কয়েক দিন আগে সে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়।
ভিকটিম গৃহবধু জানায়, রোববার (৫ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় সে শেরপুর থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশা করে আত্মীয়ের বাড়ীতে ফেরার পথে অজ্ঞাত অটো চালকসহ ৩ জন যুবক তাকে হাত পা বেঁধে নিয়ে যায়। এরপর গভীর রাতে আউশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের একটি পরিত্যক্ত ভবনে নিয়ে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা আরো ৬/৭জন মিলে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। সকালে সিএনজি যোগে আবার তাকে আত্মীয়ের বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এরপর স্থানীয় কিছু মাতব্বর ও জনপ্রতিনিধিরা আপস রফার চেষ্টা চালায়।
ইতোমধ্যে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়ে যায় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে গণধর্ষণের ঘটনাটি ভাইরাল হলে নবীগঞ্জ-বাহুবলের সার্কেল এএসপি পারভেজ আলম চৌধুরী ও নবীগঞ্জ থানার ওসি মো. আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের দুইটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছে ভিকটিম গৃহবধুকে উদ্ধারসহ তার বক্তব্য সংগ্রহ করেন। এ সময় সংবাদকর্মী ও পুলিশের সামনে ধর্ষিতা গৃহবধু একেক সময় একেক ধরণের বক্তব্য দেন। কখনও বলেন ৭ জন তাকে ধর্ষণ করেছে আবার কখনও বলেন ৩ জন তাকে ধর্ষণ করেছে। ফলে তার বক্তব্য নিয়ে পুলিশ ও উপস্থিত জনসাধারণ ও সংবাদকর্মীদের মধ্যে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে আউশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান হারুন জানান, ওই মহিলার অসংলগ্ন বক্তব্যে আমরা বিষয়টি নিয়ে ধুম্রজালের মধ্যে পড়েছি।
বিষয়টি নিয়ে নবীগঞ্জ-বাহুবলের সার্কেল এ এসপি পারভেজ আলম চৌধুরী বলেন, ‘ওই গৃহবধূর ভিন্নধর্মী বক্তব্যের জন্য মূল ঘটনাটি উদঘাটন করতে আমাদের বিলম্ব হচ্ছে। আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষন করে মূল ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা করছি। রাতের মধ্যেই মূল ঘটনা উদঘাটন হবে বলে আমরা আশাবাদী।