প্রতিনিধি ১১ মে ২০২২ , ৮:২৭:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ইসলাম ডেস্ক:
ইসলামী শরীয়তের যে পাচটি রোকন রয়েছে, তন্মধ্যে উল্যেখযোগ্য একটি রোকন হলো হজ। হজ শব্দের আভিধানিক অর্থ সংকল্প করা, ইচ্ছা করা। শরিয়তের পরিভাষায় হজ বলা হয়, নির্দিষ্ট মাসে নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে কতগুলি কাজ নির্দেশিত পন্থা ও পদ্ধতি অনুযায়ী আন্জাম দেয়াকে। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রাযিঃ থেকে বর্নিত আছে। রাসুল সাঃ ইরশাদ করেন ; ইসলামের ভিত্তি পাচটি বস্তুর উপর প্রতিষ্ঠিত। যথা ১। কালিমা, আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নাই, মুহাম্মাদ সাঃ আল্লাহর রাসুল।
২।নামাজ কায়েম করা।
৩।যাকাত দেয়া।
৪। হজ আদায় করা।
৫। রমজান মাসে রোজা রাখা।
এ হাদিস অনিযায়ী ইসলামের যে পাচটি ভিত্তি তা মূলত দুই ভাগে বিভক্ত। যথাঃ
১,ইতিকাদ বা বিশ্বাস।
২, আমল বা ইবাদত।
ইতিকাদ হচ্ছে, অন্তরে কালিমার বিশ্বাস এবং মুখে তার স্বীকৃতি। আমল আবার তিন ভাগে বিভক্ত। যথাঃ
১,শারীরিক ইবাদত। যেমনঃ নামাজ ও রোজা।
আর্থিক ইবাদত। যেমনঃ যাকাত প্রদান।
শরীর ও অর্থ উভয়ের সমন্বিত ইবাদত। যেমনঃ হজ।
এজন্য হজের ফজিলত ও মহত্ত্ব অনেক বেশি। আল্লাহ প্রদত্ত সম্পদ ও সুস্বাস্থ্যের কৃতজ্ঞতা আদায় করা হয় এ হজের দারা। তাই হজ না করা খোদা প্রদত্ত নিয়ামতের অকৃতজ্ঞার নামান্তর।
এক ব্যক্তির উপর নামাজ ফরজ হয়েছে, তার জন্য সময়মত নামাজ আদায় করা যেমন গুরুত্বপূর্ণ ফরজ, ঠিক তেমনি ভাবে যার উপর হজ ফরজ হয়েছে, তার উপর তা যথাযথ সময় আদায় করা একই রকম গুরুত্বপূর্ণ ফরজ। বরং ক্ষেত্র বিশেষ এর চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেননা নামাজ ইচ্ছা করলেই কাযা আদায় করা যায়, কিন্তু হজ ছুটে গেলে ইচ্ছা করলেই আদায় করা যায়না এই হিসাবে হজের গুরুত্ব নামাযের চেয়েও বেশি।