• বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

    স্মার্টফোনে Internet Speed বাড়ানোর সহজ উপায়

      প্রতিনিধি ১২ জানুয়ারি ২০২২ , ৫:০৬:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক:

    মোবাইল ফোনগুলো এখন আর কেবল যোগাযোগের মাধ্যম নয়। স্মার্টফোন এত দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে যে সাধারণ মানুষের কল্পনারও বাইরে। আর প্রযুক্তির উন্নতি এবং সহজলভ্যতার কারণে এখন সবার হাতেই স্মার্টফোন। প্রায় সব বয়সী মানুষেরই প্রথম পছন্দ স্মার্টফোন। কেননা স্মার্টফোনে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে পুরো দুনিয়ার খবর পাবেন এক ক্লিকেই।

    আর মোবাইল ডাটা কিংবা ওয়াইফাইয়ের ইন্টারনেট যেটাই ব্যবহার করুন না কেন, ট্রাফিকের সমস্যায় পড়েন না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কোনো প্রয়জনীয় কিছু ডাউনলোড দিচ্ছেন কিংবা অনলাইন ক্লাস। আবার ধরুন প্রয়োজনীয় মিটিংয়ে জয়েন করেছেন নেট ঠিকমতো কাজ করছে না। এমন সময় মেজাজ ঠিক রাখা কিন্তু খুবই মুশকিল।

    কেবল অপারেটরদের কাছে অনেক সময় সঠিক স্পিড পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ করেন অনেকে। কিন্তু এই সমস্যার জন্য শুধু যে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা দায়ী, এমনটা নয়। আপনার স্মার্টফোনের বেশ কিছু সমস্যার কারণেও ইন্টারনেট স্পিড কম হতে পারে।

    চলুন জেনে নেওয়া যাক সেসব সমস্যা এবং সমাধানগুলো:

    ইন্টারনেট স্পিড কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ কিন্তু ফোনের ক্যাশ মেমরি ভর্তি হওয়া। এজন্য নির্দিষ্ট সময় অন্তর ফোনের ক্যাশ মেমরি ক্লিয়ার করুন। প্রতিদিন ক্লিয়ার করতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। মূলত ব্রাউজ হিস্ট্রি জমে থাকে এই মেমরির মধ্যে। তাই নিয়মিত এই মেমরি ক্লিয়ার করা দরকার।

    ফোনের ইন্টারনেট স্লো হলে আরেকটি কাজ করতে পারেন। আপনার স্মার্টফোনে থাকা প্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো আনইন্সটল করে দিন। ফোনের মধ্যে বেশ কিছু অ্যাপ থাকে যেগুলো সর্বদা চলতে থাকে। ফলে ইন্টারনেট ব্য়ান্ডউইদের বেশ কিছুটা সেই সব অ্যাপ নিয়ে নেয়। এতে ইন্টারনেট স্লো হয়ে যায়।

    স্পিড বৃদ্ধি করে এমন কিছু অ্যাপ ফোনে ইন্সটল করে নিতে পারেন। এই অ্যাপগুলো ব্যবহার করলে ফোনের ইন্টারনেট স্পিড অনেকটাই বাড়ে। Google Play Store অথবা App Store -এ সহজেই সেগুলো পেয়ে যাবেন।

    নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন বিভিন্ন ওয়েবসাইট খুললেই একাধিক পপ আপ অ্যাড স্ক্রিনে ভেসে ওঠে। সেই সব অ্যাডগুলোর কারণে ইন্টারনেট স্পিড কম হতে পারে। তাই ফোনে কোনো একটি অ্যাড ব্লকার অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। এতে ইন্টারনেট স্পিড বাড়বে খানিকটা হলেও।

    ব্রাউজার পরিবর্তন করে দেখতে পারেন। অনেকসময় ব্রাউজারের কারণেও কোনো ওয়েবপেজ খুলতে দেরি হয়। শুধু তাই নয় বিশেষ বিশেষ ওয়েবসাইটও বিভিন্ন ব্রাউজারে খোলে না। তাই কোনো একটি ওয়েবপেজ একটি ব্রাউজারে খুলতে দীর্ঘ সময় লাগলে তা পরিবর্তন করে অন্য কোনো ব্রাউজারে খোলার চেষ্টা করতে পারেন।

    নেটওয়ার্ক টাইপ পরিবর্তন করতে পারেন। বর্তমানে প্রতিটি ফোনেই 2G, 3G, 4G অপশন থাকে। যদি আপনার ফোনে 3G বা 4G-র বদলে 2G করা থাকে তাহলে আপনি সঠিক স্পিড নাও পেতে পারেন। সেকারণে ফোনের নেটওয়ার্ক সেটিংসে গিয়ে একবার দেখে নিন। 2G করা থাকলে তা বদলে 4G করে দিন।

    ফোন রিস্টার্ট দিয়ে দেখুন। অনেক সময় ফোনের ইন্টারন্যাল সমস্যার কারণেও সঠিক স্পিড নাও পেতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনার ফোনটির সুইচ অফ করে অন করুন। এতে ফোনটি রিবুট হওয়ার ফলে সেটিংস সঠিক হবে এবং কনফিগারেশন সঠিক হবে। ফলে ইন্টারনেট স্পিড বেশি হবে খানিকটা। সূত্র: অ্যাসিস্ট ওয়ারলেস

    স্মার্টফোন দ্রুত চার্জ করার নিয়ম

    স্মার্টফোন দ্রুত চার্জ করার জন্য এরই মধ্যে চলে এসেছে নানা ফিচার। তারপরও ব্যস্ত জীবনে তিন-চার ঘণ্টা ধরে ফোনে চার্জ দেওয়ার সময় যেন কারও কাছে নেই। বিশেষ করে পুরনো ফোনগুলো চার্জ হতে অনেকটা বেশি সময় নেয়। নতুন ফোনেও কিছুদিন পর থেকে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। আজ আপনাকে জানাবো স্মার্টফোন দ্রুত চার্জ করার ৭ উপায়।
    জিপিএস, ওয়াই-ফাই অফ রাখুন
    জিপিএস, ওয়াই-ফাই এবং ব্লুটুথ অন থাকলে প্রচুর ব্যাটারি অপচয় হয়। তাই ফোন চার্জ দেওয়ার সময় ওই অপশনগুলো অন থাকলে চার্জ হতে অনেক বেশি সময় লাগে। সেই কারণে ফোন চার্জে বসানোর আগে জিপিএস, ওয়াই-ফাই এবং ব্লুটুথ অপশনগুলো টার্ন অফ করে দিন।

    চার্জিংয়ের সময় স্মার্টফোন ব্যবহার এড়িয়ে চলুন
    ফোন চার্জে বসিয়ে ব্যবহার করা একদমই উচিত নয়। কল, মেসেজ, বিভিন্ন শপিং অ্যাপের ব্যবহার, এমন কি ক্রমাগত গেমও খেলে থাকেন অনেকেই। চার্জে থাকাকালীন ফোন ব্যবহার করলে খুব স্বাভাবিকভাবেই ফোনের চার্জ হতে সময় বেশি লাগে। এমনকি ফোন তাড়াতাড়ি খারাপ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই চার্জ দেওয়ার সময় ফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

    অরিজিনাল কেবল ও অ্যাডাপ্টার ব্যবহার করুন
    স্মার্টফোন কেনার সময় তার সঙ্গে যে কেবল এবং অ্যাডাপ্টার দেওয়া হয়, সবসময় সেটি দিয়েই ফোন চার্জ করা উচিত। আপনি যদি অন্য কোনো ব্র্যান্ডের চার্জার ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার ডিভাইসের ব্যাটারি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং সেই সাথে চার্জিং স্পিডের ওপরেও তার বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। তাই সবসময় অরিজিনাল কেবল ও অ্যাডাপ্টার ব্যবহার করুন।

    ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেসিং অ্যাপগুলো বন্ধ করুন
    ফোনের স্ক্রিন লক করার পরেও কিছু অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে। আপনি ব্যবহার না করলেও সেগুলো আপনার অজান্তেই ফোনের ব্যাটারি ক্ষয় করতে থাকে। তাই আপনি ফোনের সেটিংসে গিয়ে দেখতে পারেন যে কোন কোন অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে চলছে এবং চার্জ দেওয়ার আগে সেই অ্যাপগুলো টার্ন অফ করে দিতে পারেন। এতে আপনার স্মার্টফোনের চার্জিং স্পিড অনেকটাই বেড়ে যাবে।

    এয়ারপ্লেন মোড ব্যবহার করুন
    ফোনের এয়ারপ্লেন মোড অন করে রাখলে ফোনের নেট কানেকশন এবং কলিং ফেসিলিটি বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া এই মোড অন করলে একাধিক অ্যাপও কাজ করা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়। এর ফলে ফোনের ব্যাটারির অপচয় অনেক কম হয়, ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই চার্জিং স্পিড বেড়ে যায়। তাই ফোন চার্জ দেওয়ার সময় অবশ্যই এয়ারপ্লেন মোড অন করে রাখুন।

    ফাস্ট চার্জিং অ্যাডাপ্টার ব্যবহার করবেন না
    মার্কেটে এমন অনেক চার্জার পাওয়া যায় যেগুলো ব্যবহার করলে ফোন অতি দ্রুত চার্জ হয়। আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে যে এই চার্জারগুলো ব্যবহার করলে আপনি খুব লাভবান হবেন। কিন্তু মনে রাখবেন, প্রতিটি ফোনের ব্যাটারির একটি নির্দিষ্ট ক্যাপাসিটি থাকে, এবং সেই ক্যাপাসিটি অনুযায়ী ওই স্মার্টফোনের সাথে উপযুক্ত চার্জারটি সরবরাহ করা হয়। আর স্মার্টফোনের ব্যাটারিকে দীর্ঘস্থায়ী এবং সুস্থ সবল রাখার জন্য বিশেষজ্ঞরা সেই কারণেই সবসময় স্মার্টফোনের সাথে প্রদত্ত চার্জারটি ব্যবহার করতে বলেন। কিন্তু অযথা ফাস্ট চার্জার ব্যবহার করলে আপনার ফোনের ব্যাটারির কার্যক্ষমতা দিন-কে-দিন কমতে থাকে, পাশাপাশি ফোনের চার্জ ধরে রাখার ক্ষমতাও কমে যায় এবং ধীরে ধীরে ফোনটিও খারাপ হয়ে যায়। তাই এই ধরনের চার্জার কখনোই ব্যবহার করবেন না।

    সারারাত ধরে ফোন চার্জে বসিয়ে রাখবেন না
    সারাদিন কাজকর্মের পর অনেকেই রাতে শুতে যাওয়ার আগে ফোন চার্জে বসিয়ে দেন। কারণ সেই সময় যেহেতু ফোনের ব্যবহার হয় না, তাই অনেকেই সেটিকেই চার্জ দেওয়ার উপযুক্ত সময় বলে মনে করেন। এর ফলে ফোনটি ফুল চার্জ হয়ে যাওয়ার পরেও অ্যাডাপ্টারের সাথে সংযুক্ত থাকে। এর ফলে ধীরে ধীরে ব্যাটারির ক্ষতি হতে থাকে, ঠিক যেমন ভরপেট খাওয়ার পর আরও খেলে বিপদ হয়ে যায়, অনেকটা সেরকম সমস্যাই এক্ষেত্রে দেখা যায়। তাই সারারাত ধরে ফোন চার্জে বসিয়ে রাখা কখনোই উচিত নয়।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ