প্রতিনিধি ২২ নভেম্বর ২০২৩ , ৯:৩৫:২২ প্রিন্ট সংস্করণ
মু,হেলাল আহম্মেদ-পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
স্বামীর বসত ভিটা হতে উচ্ছেদ করতে মিথ্যা ধর্ষণ মামলাসহ নানান হয়রানী ও নির্যাতনের প্রতিবাদে লোহালিয়া ইউপির কুরিপাইকা এলাকার বিধাব নারী জাহানারা বেগম সংবাদ সম্মেলন করেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পটুয়াখারী জেলা প্রেসক্লাবের হল রুমে সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগী জাহানারা বেগমের পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাহানারা বলেন, স্বামীর আমরা দুই স্ত্রী, আমার বড় সতীনছবুরা বেগম, ২য় স্ত্রী আমি জাহানারা। আমার স্বামীর সংসার চালাতে আমাকে ২য় বিবাহ করলে, আমার ঘরে একটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। কিছুদিন পরে আমার স্বামী মৃত্যু হয়। পরে অতি কষ্টে মেয়ে শাহানাজ কে বিবাহ দেই। এরপর আমি একাকি অসহায় ভাবে স্বামীর একই বাড়িতে অন্য ঘরে থাকি।
অপরদিকে আমার স্বামীর ১ম স্ত্রী তথা আমার সতীনের ঘরেআমার স্বামীর ঔরশজাত এক ছেলে, তাছাড়া তারা আত্মীয়-স্বজন নিয়ে জোটবদ্ধ হয়ে বসবাস করে এবং আমাকে স্বামীর ভিটা তথা বাড়ি থেকে আমাকে উচ্ছেদ করার পায়তারা চালায়।
এদিকে গত নির্বাচনে লোহালিয়া ইউনিয়নে কুড়িপাইকা গ্রামের ৭,৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে মহিলা সংরক্ষিত ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দিতা করে আমার দুই চাচাত জ্যা (জাল) জেসমনি ও ডলি। এই নির্বাচনে জেসমিন নির্বাচিত হয়। জেসমিন ধরে নেয়, আসি তাকে ভোট দেইনি। পরে জেসমিনের সমর্থক ছফুরা বেগমকে দিয়ে একটি ধর্ষণ মামলার নাটক সাজিয়ে গত ১৪ অক্টোবর পটুয়াখালী সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে। যেখানে আমাকে ধর্ষণের সহায়তাকারী হিসেবে ২নং অভিযুক্ত করা হয়। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। ঐ জেসমিন বেগম আমার উপর প্রতিশোধ আমার বড় সতীনের নাতনী স্বপ্না আকতারকে ব্যবহার কওে মিথ্যাধর্ষণের নাটক সাজিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক ও শত্রুতার আক্রোশে, বড়সতীন কে সবুরা বেগম নাতীর পক্ষে বাদী হয়ে মামলা করে।
এই দুষ্ট চক্রের অহেতুক হয়রানী, নির্যাতন ও অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিটক আশ্রয় চাই। আমি পটুয়াখালীর জেলা প্রসাশক ও পুলিশ সুপারের কাছে সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার চেয়ে আবেদন করছি। আমি শান্তিতে স্বামীর ভিটায় থেকে মরতে চাই। ওরা আমাকে যে কোন সময় মেরে ফেলতে পারে। আমি জীবন ঝুকিতে আছি। আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের নিকট আকুল আবেদন করছি এমনটাই জানান।