• রংপুর বিভাগ

    সুন্দরগঞ্জে সড়কের মাঝে খুঁটি ঝুকি নিয়ে পথচলা

      প্রতিনিধি ৩ আগস্ট ২০২২ , ১২:৪৬:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের থানা পাড়া মহল্লার সড়কের মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটি থাকায় দীর্ঘদিন থেকে ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে পৌরবাসি। প্রশাসনসহ জনপ্রতিনিধি প্রতিনিয়ত দৃশ্যটি দেখার পর আজও পর্যন্ত কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্যোগ নেয়নি। যার কারনে প্রতিদিন ঘটছে দূর্ঘটনা। ওই সড়কটি নির্মাণের পর থেকে বন্ধ রয়েছে আটোবাইক, ভ্যান, রিকসাসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল। ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে মোরসাইকেল।

    বাইসাইকেল ও পথচারি। রাতের আধারে পথচারী ও শিক্ষার্থীরা দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন প্রতিদিন। গত বছর স্কাউট অফিস কার্যালয় হতে সুন্দরগঞ্জ আব্দুল মজিদ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ফুটবল খেলার মাঠ ভায়া নুরানি হাফিজিয়া এতিমখান পর্যন্ত প্রায় ৭০০ মিটার দৈর্ঘ্য সড়কটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকারের সড়ক বিভাগ। ওই এলাকার কমপক্ষে ৫ হাজার মানুষজন প্রতিদিন ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করে।

    থানা পাড়ার স্কুল শিক্ষক লিচু মিয়া জানান, সড়ক নির্মাণের পর যদি, তার উপর দিয়ে চলাচল করা না যায়, তাহলে সড়ক নির্মাণ করে লাভ কি। স্থানীয় ভাবে বিষয়টি বহুবার মেয়র ও কাউন্সিলরকে অবগত করা হয়েছে। তারপর কোন সুরাহা করা হয়নি। ওই সড়ক দিয়ে মোটরসাইক ও বাইসাইকেল ছাড়া অন্য কোন যানবাহন চলাচলা করতে পারছে না। এছাড়া প্রতিদিন ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা।

    মোটরসাইকেল চালক জুয়েল মিয়া জানান, সড়কের মাঝখানে খুঁটি থাকার কারনে মোটরসাইকেল চালানোও অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়েছে। অত্যন্ত ধীর গতিতে সাবধানতার সহিত ওই স্থানে গাড়ি চালাতে হয়। পৌরবাসির চলাচলের সুবিধার্থে দুরত খুঁটি সরানো একান্ত প্রয়োজন। কাউন্সিলর জামিউল ইসলাম জমু জানান, খুঁটি সরানোর জন্য পৌর মেয়রের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। পৌরসভায় রাজস্ব না থাকায় সরানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে অতিদ্রæত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    সুন্দরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম আব্দুর বারী জানান, বিদ্যুতের খুটি স্থানান্তর করতে হলে পৌরসভাকে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। এরপর সমিতি স্টিমেট তৈরি করে খটি সরানোর খরচ জানানো হবে। ফি জমা দিলে খুটি স্থানান্তর করে দেয়া হবে। পৌরসভা এ সংক্রান্ত কোন আবেদন জমা দেয়নি। আবেদন দিলে দ্রæত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ রেজা সরকার ডাবলু জানান, সড়ক নির্মাণের বরাদ্দে খুটি সরানোর জন্য আলাদা অর্থ বরাদ্দ দেয়নি। সে কারনে ঠিকাদার খুটি না সরিয়ে সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ করেছে। একটি খুটি সরাতে প্রায় ৩০ হাজার টাকা লাগে। পৌরসভায় রাজস্ব না থাকায় খুটি সরানো সম্ভব হয়নি। সে কারনে বিলম্ব হচ্ছে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ