বিদ্যুৎ চন্দ্র বর্মন-স্টাফ রিপোর্টারঃ
শীতকালেও তিস্তায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। অব্যাহত ভাঙনে যেন দিশেহারা হয়ে পড়েছে তিস্তা পাড়ের মানুষ। তিস্তার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি, রাস্তাঘাটসহ ফসলি জমি। উপজেলার হরিপুর, চন্ডিপুর, কাপাসিয়া ও শ্রীপুর ইউনিয়নের উজানের বিভিন্ন চরে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। একদিকে কনকনে ঠান্ডা, অন্যদিকে করোনার থাবা এরপর তিস্তার ভাঙনে কাহিল চরবাসি। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী।
চন্ডিপুর ইউপি চেয়ার্যান ফুল মিয়া জানান, গত ৩ বছর ধরে সারা বছরেই নদী ভাঙছে। যা এর আগে কখনো হয়নি। বিশেষ করে উপজেলার চরচরিতাবাড়ি, চর মাদারীপাড়া, মাদারী পাড়া, কাশিমবাজার, লালচামার, কেরানির চর, ফকিরের চর, কালাইসোতার চর এলাকায় তীব্র আকার ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত ১০ দিনের ব্যবধানে তিস্তা সেতু পয়েন্ট উজান বোচাগাড়ি এলাকায় ১৫টি পরিবারের বসতভিটা, ফসলি জমি, রাস্তাঘাট নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে শতাধিক বসতবাড়ি।
চর মাদারী পাড়া গ্রামের এন্তাজ আলী জানান, এর আগে মাঘ-ফাল্গুন মাসে কখনো নদী ভাঙতে দেখি নাই। গত ৩ বছর ধরে তা হচ্ছে। অসময়ে নদী ভাঙন চরবাসির জন্য অত্যন্ত ক্ষতির কারন হয়ে দাড়িয়েছে। হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, বেশ কয়েকটি চরেনদী ভাঙন এখনও চলছে। আধা-পাকা ফসল এবং তরিতরকারির আবাদসহ নদীগর্ভে বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তরায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল জানান, পানি কমে যাওয়ায় উজানে কিছু এলাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত গণমাধ্যম দৈনিক আলোকিত ৭১ সংবাদ
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.