এম মনিরুজ্জামান, পাবনা:
ছাত্র জনতার উপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে গণহত্যায় সরাসরি নির্দেশদাতা খুনি হাসিনার ও তার দোসরদের ফাঁসির দাবিতে এবং সম্প্রতিক আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় সমাবেশ ও দোয়া অনুষ্ঠানে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন,নতুন কর্মীদের ভীড়ে যেন পুরাতন কর্মীরা পিছিয়ে না পড়ে। বিগত সাড়ে সতর বছর বছর আগের দুই বছরের ওয়ান ইলেভেনের অনৈতিক সরকার মাইনাস টু ফর্মুলা ষড়যন্ত্র করে। প্রকৃত পক্ষে মাইনাস ওয়ান ফর্মুলা করে বেগম খালেদা জিয়া কে মাইনাস করার চেষ্টা করেছিল।
তারপর থেকেই ষড়যন্ত্র চলছে, সেই ষড়যন্ত্র বাংলাদেশে থাকেনি।এই ষড়যন্ত্র ভারতে চলে গিয়েছিল,যে ভারত কোনদিনই আমাদের উন্নতি চায় না। আমরা একটা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ি, সেই ভারতের অধীনে সাড়ে সতর বছর বাংলাদেশের সরকার চলেছে নির্বাচন আসলেই ঐ দেশ থেকে পররাষ্ট্র সচিব, মন্ত্রী এসে যেন ফ্যাসিবাদী, খুনি সরকার থাকতে পারে, সেই তদবিরে বিভিন্ন সংস্থার সাথে মিটিং করেন। সেই ৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর বাংলার মুক্তিকামী মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধারা আপাময় জনসাধারণের সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশ কে স্বাধীন করেছিল। তখন দেখেছেন আপনেরা পাকিস্তানি বাহিনী জেনারেল রা আমাদের সেই সময় মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানীর কাছে সেলেন্ডার করেননি।
ভারতের জেনারেলের কাছে সেলেন্ডার করেছিল, তখন মানুষ বুঝতে পারেনি, পাকিস্তানের দাসত্ব থেকে দিল্লির দাসত্বে চলে গেছে।সেটা সাড়ে ১৭ বছরে বাংলার মানুষ হাড়ে হাড়ে বুঝতে পেরেছে। এদেশের ছাত্র জনতা যে গণ উত্থানে সাড়ে ১৭ বছরে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীদের রক্তের বদলে, গুম, খুনি করে বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ শহীদ জিয়ার সৈনিকদের মামলা,হামলার বিনিময়ে কত মায়ের বুক খালির করে আজকে আমরা যে আন্দোলন সংগ্রামের নাম দিয়েছি নতুন স্বাধীনতা, নতুন বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশকে মুক্তি করেছি, এইবার ৫ আগষ্ট রক্ত সম্বলিত সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে, যুদ্ধে মধ্যে দিয়ে দিল্লি থেকে বাংলাদেশকে মুক্তি করতে পেরেছি।
কয়দিন আগেও যারা বলেছে আমরা নাকি পালিয়ে যাবো।তারাই এখন পালিয়ে গিয়েছে। ওয়ান ইলেভেন এসেছে, আমাদের নেত্রী বাংলাদেশে ছিল। আওয়ামী লীগের নেত্রী পালিয়ে বিদেশে চলে গিয়েছিল। এভাবেই বার বার বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। ওয়ান ইলেভেনে আমাদের নেত্রীর দুই সন্তান কে সেনাবাহিনীর কিছু কুলাঙ্গার সদস্যরা ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে অমানুষিক অত্যাচার, নির্যাতন করে তারেক রহমানের চিৎকার তার মা বেগম খালেদা জিয়া কে শুনানো হয়েছে। তাকে বিদেশে চলে যাওয়ার জন্য। কিন্তু আমাদের নেত্রী বাংলাদেশের কোটি কোটি শহীদ জিয়ার সৈনিক ও বিএনপির নেতাকর্মীদের কথা চিন্তা করে জীবনের মায়া ত্যাগ করে, তার প্রিয় আদরের সন্তানের মায়া ত্যাগ করে বাংলাদেশ ছাড়েনি।
আর আওয়ামী লীগের নেত্রী শুধু নিজের জীবনের কথা চিন্তা করেন।দলের সবাইকে ফেলে শুধু ওনার বোন কে নিয়ে বাংলাদেশ থেকে উড়াল দিয়ে ভারতে চলে গেলেন।আমাদের নেত্রী কোন সময় কোন চাপের মুখে কোন দিন ও বাংলাদেশ ত্যাগ করেনি।১৯৭৫ সালের পরে আওয়ামী লীগের নেত্রী আর বাংলাদেশ আসেনি, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তাকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশে এনেছে।
যেখানে হাজার হাজার নেতাকর্মী গুম,খুন হবার পর ও আমাদের প্রিয় নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ৫ তারিখে থেকে সারারাত ধরে সারা বাংলাদেশে, যেখানে লুটপাট হয়েছে, যেখানেই আগুন সন্ত্রাস হয়েছে, তিনি হুকুম দিয়েছে, সেই অন্যায় কারী আমাদের দলের হোক, তাকে বহিষ্কার করতে। আমরা তাকে বহিষ্কার করে দিয়েছি, নতুন করে স্বাধীন বাংলাদেশে কেউ সন্ত্রাস করতে পারবে না। কোন সন্ত্রাসীর জায়গা বিএনপিতে হবে না, কোন চাঁদাবাজের জায়গা এই বাংলাদেশে হবে না, কোন আগুন সন্ত্রাসের জায়গা এই বাংলাদেশে হবে না। বাংলাদেশ হবে সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।
আমরা প্রত্যাশা করি ডক্টর ইউনুস এর মত একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মানুষ যিনি শিক্ষা-দীক্ষায় পৃথিবীর মধ্যে শত উজ্জ্বল মানুষ, যিনি নোবেল জয়ী তিনি এই সরকারের দায়িত্ব নিয়েছেন, আমরা এই সরকারের সফলতা কামনা করি।
রাষ্ট্রের সংস্কার, দেশ সংস্কার করে একটি নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে মানুষ যদি আমাদের কে ভোট না দেয়, আমরা ক্ষমতায় যাব না। আওয়ামী লীগের মতো ভোট ডাকাতি করে আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই না । আর বাংলাদেশের মানুষ যদি আমাদের কে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনে ,তাহলে প্রিয় নেতা তারেক রহমান বলেছে, বিএনপি এবার ক্ষমতায় যাবে বাংলাদেশকে একটি মানবিক বাংলাদেশ তৈরি করতে, বিএনপি এবার ক্ষমতায় যাবে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ পরিণত করার জন্য, বিএনপি এবার ক্ষমতায় যাবে মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য, বিএনপি এবার ক্ষমতায় যাবে সার্বিক ন্যায় বিচারের জন্য, বিএনপির এবার ক্ষমতায় যাবে শহীদ জিয়ার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে।
শনিবার বিকেলে পাবনার সুজানগর নিজাম উদ্দিন আজগর আলী ডিগ্রি কলেজ মাঠে ছাত্র জনতার উপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে গণহত্যায় সরাসরি নির্দেশদাতা খুনি হাসিনার ও তার দোসরদের ফাঁসির দাবিতে এবং সম্প্রতিক আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় সমাবেশ ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুজানগর উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির আয়োজনে সমাবেশ ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পৌর বিএনপির সভাপতি কামরুল হুদা কামাল বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব শেখ আব্দুর রউফ এর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব এবিএম তৌফিক হাসান।এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন,বেড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল গনি ফকির। এছাড়াও বেড়া, সুজানগর উপজেলা ও পৌর বিএনপি সহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত গণমাধ্যম দৈনিক আলোকিত ৭১ সংবাদ
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.