ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আহমার উজ্জামান এর নির্দেশনায়, ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখার ডিবির ওসি মোঃ শাহ কামাল আকন্দ এর নির্দেশে প্রতিদিন মাদক, জুয়া, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, ইভটিজিং, ধর্ষণ, হত্যা ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে ময়মনসিংহ জেলা ডিবি পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় ময়মনসিংহের তারাকান্দায় অটো চালক ও ফুলপুর উপজেলার ভাইটকান্দি হাইস্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র কিশোর সিয়াম হত্যাকান্ডে দুই ঘাতক কে হত্যার ৪ দিনের মধ্যে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে এ ছাড়াও চোরাইকৃত অটোর মালামাল কিনার দায়ে আরো একজন সহ মোট ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখার ডিবি পুলিশ। এ সময় চোরের কাছ থেকে চোরাইকৃত অটোর মালামাল উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃতদের বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানতে পারি। গ্রেফতাকৃত আসামীরা ডিবি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ও আদালতে হত্যার দায় শিকার করে জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানা যায়।
ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)র, ওসি শাহ্ কামাল আকন্দ জানান, ময়মনসিংহ ফুলপুরের ভাইকান্দি হাইস্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র মারাদেওরা গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে সিয়াম (১৩) লেখাপড়ার পাশাপাশি করোনাকাল থেকেই তার পরিবারের আর্থিক সহযোগীতার জন্য আধাবেলা ভাড়ায় অটো চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। প্রতিদিনের ন্যায় গত ২৯ জানুয়ারী দুপুরে সিয়াম তারাকান্দা উপজেলার কাকনি গ্রামের রিয়াজতের অটো ভ্যান ভাড়ায় নিয়ে চালানোর জন্য বের হয়।
ঠিক ঐ দিন সন্ধ্যায় সে আর বাড়ী ফিরে আসেনি। পরিবারের লোকজন রাত থেকে সিয়ামকে খোঁজাখুজি শুরু করলে। গত ৩০ জানুয়ারী তারাকান্দা উপজেলার কাটলী বাজার ব্রীজের নীচে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয় এবং তার চালিত অটো ভ্যানটি পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় তারাকান্দা থানায় নিহতের পিতা মকবুল হোসেন অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আহমার উজ্জামান, মামলাটি আমলে নিয়ে দ্রুত রহস্য উদঘাটন ও হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য ডিবি পুলিশকে দায়িত্ব দেন। এর আগেই খবর পেয়ে ডিবি'র ওসি শাহ্ কামাল আকন্দ, একটি টিম নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং হত্যার রহস্য উদঘাটনে রাতদিন এলাকায় অবস্থান করে। বিচক্ষণ ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক ডিবি'র ওসি হত্যাকান্ডের ৪ দিনের মধ্যে ২ ঘাতককে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল ০৩ জানুয়ারী২০২১ইং বুধবার ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে আনে।
জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো, ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার বড় শুনই চকহরিরামপুরের আঃ হালিমের ছেলে খাইরুল ইসলাম ও একই গ্রামের উলাস উদ্দিনের ছেলে মিজানুর রহমান মেজু। গ্রেফতারকৃতদের তথ্য মতে, সিয়ামকে হত্যার পর তার কাছ থেকে (লুন্ঠিত অটো) ক্রেতা রতন কুমার সাহাকে ময়মনসিংহ নগরীর র্যালীর মোড় থেকে গ্রেফতার করে হয়।
এ সময় রতনের গ্যারেজ থেকে লুন্ঠিত অটো উদ্ধার করে পুলিশ। অটো চালক সিয়ামের কাছ থেকে অটো ভ্যান ছিনিয়ে নিতে খাইরুল ও মিজানুর রহমান মেজু পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুসারে ঘাতকরা ঘটনার দিন সিয়ামের অটো ভ্যান ২শত টাকা ভাড়া করে তারাকান্দা নিয়ে যায়। সারাদিন তাকে নিয়ে তারাকান্দা এলাকায় ঘুরাঘুরি করে। সন্ধ্যার পর কাটলী বাজার ব্রীজের কাছে নির্জনস্থানে গেলে দুই ঘাতক অটো চালক কিশোর সিয়ামকে নাকে-মুখে ও গলায় চাপ দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরে ব্রীজের নীচে লাশ ফেলে ভ্যান নিয়ে ময়মনসিংহ শহরে চলে আসে এবং পাটগুদাম র্যালির মোড় রতনের গ্যারেজে ৫ হাজার ৯শত টাকায় ভ্যান বিক্রি করে ঢাকায় চলে যায়।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত গণমাধ্যম দৈনিক আলোকিত ৭১ সংবাদ
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.