প্রতিনিধি ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ২:০৯:১২ প্রিন্ট সংস্করণ
নাদিম আহমদ সাগর (১৯) মেডিকেল কলেজে ইনর্টানি করছিলেন। মানত আদায়ের নিমিত্তে পরিবারের সাথে ঢাকার ওয়ারী থেকে হযরত শাহজালাল (রহ) ও শাহপরান (রহ) মাজার জিয়ারতের উদ্যেশ্যে আসছিলেন।
সেই সাথে ইচ্ছে ছিল সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখবেন। এই আশা নিয়ে ঢাকা থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে লন্ডন এক্সপ্রেস বাসে রাত সাড়ে ১১টায় উঠেছিলেন।
কিন্তু নাদিম আর সিলেট আসতে পারেনি।
পথিমধ্যে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মারা যান তিনি।
এই ঘটনায় একই পরিবারের আরও ১৩জন আহত হয়েছেন। তারা হলেন- সাগরের মা চান বিবি, বোন-শিমা বেগম,শাম্মা, সুমনা, সেলিনা পারভীন, রিনা বেগম, এমেলি।
ভাইয়েদের মধ্যে-জসিম উদ্দিন, রাজ আহমদ,ডা.জাহিদ হাসান, আকাশ, বোনের জামাতা আলী হোসেন, মিশু আলমগীর।
জসিম উদ্দিন (নিহতের বড় ভাই) বলেন, মা-ভাই-বোন ও বোন জামাতাদের নিয়ে সিলেটে মাজার জিয়ারতে আসছিলাম, ছোট ভাই সাগর ইন্টার্নি শিক্ষার্থী মা-বোনের মানত ছিলো জিয়ারত করা তাই সিলেট আসা।
তিনি আরও বলেন,রাস্তায় বেশ কয়েকবার গাড়ির চালকে ধীরে চালানোর জন্য বলেছিলাম কিন্তু কারো কথা সে শুনেনি। তাছাড়া গাড়িতে উচ্চ আওয়াজে গান বাজিয়েছেন চালক।
উল্লেখ্য- সিলেটের দক্ষিণ সুরমা’র রশিদপুরে দুইবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক।
আজ শুক্রবার ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭ ঘটিকার সময় সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার রশিদপুর বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত বাস দুটি হচ্ছে- ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লন্ডন এক্সপ্রেস (ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-৩১৭৬) ও সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া এনা পরিবহন (ঢাকা মেট্রো ব ১৪-৭৩১১)।
ji
এদিকে, দুর্ঘটনার পরপরই সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। রশিদপুরের দুদিকে প্রায় তিন কিলোমিটার জুড়ে সব ধরণের যানবাহন আটকা পড়ে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযান শেষে সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।