দেশে মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ায় গত বছরের মার্চ মাসে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ কোচিং সেন্টার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। তবে সাম্প্রতিক সময়ে করোনার প্রকোপ কিছুটা কমলেও সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পরিকল্পনা করে। কিন্তু এরই মধ্যে করোনার প্রকোপ আবারো বাড়তে শুরু করায় করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ ও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত ২৯ মার্চ সরকারের পক্ষ থেকে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়।
নির্দেশনায় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পযন্ত আপাতত ২ সাপ্তাহ পযন্ত দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রাক-প্রাথমিক,প্রাথমিক,মাদ্রাসা,মধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,বিশ্ববিদ্যালয় ও কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার আদেশ দেয়া হয়। তবে এমন পরিস্থিতিতেও মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে থেমে নেই কোচিং সেন্টার ও প্রাইভেট প্রোগ্রাম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ছাত্র কোনো প্রকার সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই নতুন কৌশলে কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে উপজেলায় করোনা সংক্রমণের মারাত্মক ঝুঁকির আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে বলে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বয়রাগাদী ইউনিয়নের রায়েরবাগ গ্রামের গ্রামীণ ব্যাংক উত্তর পাশে কোচিং সেন্টার চালাছেন মালখানগর হাই স্কুলের বেশ কয়েক জন শিক্ষক।এছাড়াও স্কুল ও কলেজ এর আশে পাশে রুম নিয়ে ৩০-৪০ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে শিক্ষক ও ছাত্র কোনো প্রকার সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই নতুন কৌশলে কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলার ইছাপুরা,রশুনিয়ান,মধ্যপাড়া, লতব্দী,বালুচর সহ প্রতিটি ইউনিয়নে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশেপাশে কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন কিছু অসাধু শিক্ষক। এতে উপজেলায় করোনা সংক্রমণের মারাত্মক ঝুঁকির আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে বলে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এদিকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কোচিং সেন্টার চালু থাকায় সচেতন মহলে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।চিকিৎসকরা মনে করছেন,এভাবে কোচিং সেন্টার চললে করোনায় আক্রান্তের ঝুঁকি রয়েছে এসব শিক্ষার্থীদের।করোনার ঝুঁকি নিয়ে কোচিং সেন্টারে আসা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। অভিভাবকদের দায়িত্বে অবহেলা ও খামখেয়ালীপনা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে সচেতনমহলে।
প্রশাসনের এমন উদাসীনতা দেখে উপজেলার সচেতন মানুষের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এভাবে প্রাইভেট এবং কোচিং সেন্টার চালানো হলে শিশুরা মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়বে। শিক্ষামন্ত্রী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খোলা পর্যন্ত প্রাইভেট এবং কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখাই উত্তম হবে।
এ বিষয়ে সিরাজদিখান উপজেলা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাজী আব্দুল ওয়াহিদ মোঃ সালেহ বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। বিষয়টি এখন জেনেছি , দ্রুত এসব কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত গণমাধ্যম দৈনিক আলোকিত ৭১ সংবাদ
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.