প্রতিনিধি ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ৮:২৫:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম এর হঠাৎ অভিযানে বিভিন্ন স্থানের মাটিকাটা বন্ধ করে দিয়েছে। শুক্রবার ১২ ফেব্রুয়ারী বিকালে উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের খিদিরপুরের কয়েক স্থানে হঠাৎ অভিযান চালিয়ে মাটির কাইট বন্ধ করে দেয়। এ-সময় মাটিকাটায় জরিতরা পালিয়ে যায়। নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম মাটিকাটার স্থান থেকে বেকু ও মাটি বহনকারী মাহিন্দ্র সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। অপরদিকে সকালে একই গ্রামে অবৈধ ভাবে ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলনের সময় উত্তেজিত হয়ে এলাকাবাসী ড্রেজার সহ পাইপ ভেঙে দিয়েছে।
সরকারি নির্দেশ অমান্য করে অসাধু ব্যক্তিরা ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি করে দিচ্ছে ইটেরভাটায়। ৩ ফসলি জমির মাটিকাটার সাথে জরিত একাধিক ব্যক্তি বেকু দিয়ে মাটিকাটার দ্বায় এড়াতে একে অন্যের নাম প্রকাশ করছে কিন্তু তাহারা সবাই মাটিকাটার সাথে জরিত এ কারনে এলাকাবাসী তাদের প্রতি ক্ষুব্ধ। মাটিকাটার চক্রটি উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের খিদিপুর গ্রামের পশ্চিম পাশে অবস্থিত জাতীয় পাওয়া গ্রিড বিদুতের টাওয়ারের নিচ থেকে ও পুর্ব পাশের পল্লী বিদুতের খুটির নিচ থেকে মাটি কেটে নেওয়ায় যে কোন মুহূর্তে ধসে পরার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
এবিষয়ে অভিযুক্তদের কাছে জানতে চাইলে উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের খিদিরপুর গ্রামের শামিম জানান আমি কয়েক বছর আগেই মাটির ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছি এখন এই মাটির ব্যবসা করিনা। মজনু মিয়া বলেন আমি কোন মাটিকাটার সাথে জরিত নই আর আমি কখনোই মাটিকাটি নাই কয়েক বছর ধরে শামিম মাটিকেটে আসছে। খিদিরপুর গ্রামের মৃত রসিদ শেখের ছেলে মনোয়ার হোসেন বলেন আমি আমার ড্রেজার ৩ দিন যাবত ইসমাইল এর কাছে ভাড়া দিয়েছি শুক্রবার ১২ ফেব্রুয়ারী সকাল ১১ টায় এলাকাবাসী এসে পাইপ ও ড্রেজার ভেঙে দিয়েছে।
খিদিরপুর গ্রামের মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মুজাম্মেল হোসেন,হাবিবুর রহমান, মাহাবুব হোসেন,আস্রাফ হোসেন,পলাশ সরকার সহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, শামিম, ফরমান জনি সহ একাধিক ব্যক্তির নেতৃত্ব ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন খিদিরপুর গ্রামের পুর্ব ও পশ্চিম পাশের বিলে বেকু ও ড্রেজার দিয়ে ৩ ফসলি জমির মাটি কেটে ইটেরভাটায় বিক্রি করে দিচ্ছে। এতে করে জাতীয় পাওয়া গ্রিড বিদুতের টাওয়ারের নিচ থেকে ও পুর্ব পাশের পল্লী বিদুতের খুটির নিচ থেকে শামিম ও জনি মাটি কেটে নেওয়ায় যে কোন মুহূর্তে ধসে পরার আশঙ্কা করছি। ভোক্তভোগীরা আরো জানান এই মাটিকাটার চক্রটি আমাদের জমির মাটি জবরদস্তি কেটে নিয়ে ইটেরভাটায় বিক্রি করে দিচ্ছে ভবিষ্যতে কৃষি জমি বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছি। সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন মাটিকাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি এই আদেশ অমান্য করলে আইন আনুক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।