প্রতিনিধি ১২ এপ্রিল ২০২২ , ৫:৪৫:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ
মোস্তফা প্রামানিক সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধিঃ
নাটোরের সিংড়ায় পরকীয়া প্রেমের টানে স্বামীর সংসার ফেলে উধাও হয়েছেন মীম বেগম নামে এক গৃহবধূ। ০৮(এপ্রিল) শুক্রবার সকাল আনুমানিক দশটায় সিংড়া চলনবিলের তিশিখালী মেলার দিন থেকে তার খোঁজ মিলছে না। গৃহবধু মোছাঃ মীম বেগম সে উপজেলার ডাহিয়া ইউনিয়নের আয়েশ গ্রামের গ্রামের রমিজুল ইসলামের স্ত্রী। স্থানীয়রা জানান, প্রায় তিন মাস ধরে উপজেলার ডাহিয়া ইউনিয়নের কুঞ্চি (গয়না পুকুর) গ্রামের মৃত জয়নাল আলীর ছেলে মোঃ রনির সাথে তাহার মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
পরে ০৯ (এপ্রিল) শনিবারে রনি তাহার প্রেমিকা মীম বেগম কে নিয়ে কুঞ্চি (গয়না পুকুর) গ্রামে আসে, গ্রামের লোকজন জিজ্ঞেস করলে উত্তরে রনি গ্রামবাসীদের বলেন আমার বিবাহিত স্ত্রী। পরে দ্রুত গ্রাম থেকে দুজন পালিয়ে যায়। গ্রামবাসী জানায় এই রনির চরিত্র আগে থেকেই খুবই খারাপ,
আমাদের একটাই দাবি অন্যর সংসার ভেঙ্গে তাহার স্ত্রী কে নিয়ে ফুর্তি করবে আর তাহার স্ত্রী সন্তান পড়ে থাকবে তাহা কখনো সম্ভব না।চুরান্ত বিচারের দাবি জানাই,তাহার এই বিচারের দ্বারা অন্য ছেলেরাও যেন কাহারও স্ত্রী বা মেয়েদের নিয়ে এমন ফুর্তি করার সাহস না পায়।
মোছাঃ মীম বেগম এর স্বামী রমিজুল ইসলাম বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে জানান, রনি আমার সাজানো সংসার ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। তারপরও বুঝিয়ে-সুঝিয়ে বাড়ি আনার জন্য বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে ফিরছি, কিন্তু পাচ্ছি না। পরে জানতে পাই আমার শশুর এর আয়তায় আছে তাহারা।আমি আমার স্ত্রী কে ফিরিয়ে নিতে চাইলে আমার শশুর আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি, প্রশাসনের, ও মামলার ভয় দেখিয়ে বলে আমার মেয়ে সংসার করবে না, আমার মেয়ের দেনমহর এর টাকা দ্রুত সমাধান করো।
রমিজুল ইসলাম আরো বলেন, আমার স্ত্রী আমার নিজ বাড়ি থেকে ৮ আনী পরিমাণ এর সর্ণের কানের দুল ও নগদ ও নগদ ৬৫ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় আমি সিংড়া থানায় উপস্থিত হইয়া লিখিত অভিযোগ করেছি। জানা যায়, রমিজুল ইসলাম প্রায় দেড় বছর আগে সিরাজগঞ্জ জেলার তারাশ উপজেলার দিঘড়ীয়া গ্রামের জিল্লুর রহমানের মেয়ে মীম কে বিয়ে করে ঘরসংসার করিতে থাকে।
ডাহিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল মজিদ মামুন বলেন,
বিষয় টি শুনেছি রমিজুল ইসলাম তাহার স্ত্রীর শত অপরাধ কে মেনে নিয়ে সংসার করতে প্রস্তুত,এবিষয়ে দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করবো। এ বিষয়ে সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিক বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে বেবস্থা নেওয়া হবে।