প্রতিনিধি ৮ মে ২০২১ , ২:৪৪:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ
শাকিল হোসেন-স্টাফ রিপোর্টার:
আসন্ন পবিত্র ঈদের দিন ঘনিয়ে আসতে শুরু করেছে মাত্র কয়েক দিন বাঁকী। ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে নওগাঁর সীমান্তবর্তী সাপাহার উপজেলার বাজারগুলো ক্রেতাসাধারণের সমাগমে তার চেয়ে অধিক পরিপূর্ণ পরিলক্ষিত হচ্ছে,জমে উঠেছে পবিত্র ঈদের বাজার।
উপজেলা সদরের বিভিন্ন মার্কেটের শপিং মল থেকে শুরু করে ফুট পাতের দোকান গুলোতে তিল ধরনের ঠাঁই নেই। ঈদে চাই নতুন পোশাক, নতুন জামা। তাইতো সাধ আর সাধ্যের মধ্যে না থাকলেও প্রিয় জনকে উপহার দিতে ধনী ও মধ্যবিত্তদের পাশাপাশি কেনা কাটায় ব্যস্থ সময় পার করছে নিম্নবিত্তের মানুষ গুলোও।
উপজেলা শহরে বসবাসকারী জনসাধারণ ছাড়াও বিভিন্ন গ্রাম সহ পাশ্ববর্তী উপজেলা হতে দলে দলে লোকজন প্রতিদিন ঈদের বাজার করতে আসছে এই উপজেলায়। সাপাহার উপজেলা শহরের নিউমার্কেট, লাবনী সুপার মার্কেট, চৌধুরী মার্কেট, গিয়াস মার্কেট, ভাইবোন মার্কেট, হক সুপার মার্কেট, সোনার বাংলা মার্কেট, জনতা মার্কেট সহ বিভিন্ন মার্কেটের প্রথম পছন্দের তরুণ তরুণীদের কসমেটিক,ছোট বড় দেড় শতাধীক কাপড়ের বিপনী বিতানগুলোতে এবারের ঈদের কালেকশনে নজর কাড়া বাহারী পোশাকের ঝলকের মধ্যে আগের বছরের পোশাক গুলোই বেশি বেশি নজর কাড়ছে ক্রেতাদের।
এগুলোর মধ্যে বাহুবলী, ঋষিকা, সেলফি, কুলফি, পাহাড়পুরি, আনারকলি, ডিভাইডার গাওন, জিপসী সহ হরেক রকমের বাহারী থ্রী-পিস, লেহেঙ্গা, ফতোয়া, সেলোয়ার, কামিজ, রাখিবন্ধন, পটল কুমার, বজরাঙ্গি ভাইজান, ফ্লোর টার্চ, লাসা, লং স্কট, আকৃষ্ট করেছে দেশীয় পণ্য টাঙ্গাইল শাড়ি, জামদানী, খদ্দর, মনীপুরী, রাজগুরু, বালুচুরী, জর্জেট শাড়িনছেলেদের জন্য রয়েছে, টি শার্ট, গেঞ্জী, পাঞ্জাবী, জিন্সপেন্ট, শর্ট পেন্ট ইত্যাদি।
লাবনী সুপার মার্কেটের মাসুম ক্লথ ষ্টোর এর দোকান মালিক মজিবর রহমান ও জাহাঙ্গীর আলম এর সাথে কথা হলে তারা জানান যে, এবারের ঈদে তারা সেরা ডিজাইনগুলিই তাদের দোকানে এনেছেন এবং মেয়েদের একটি পোশাক সর্বোচ্চ প্রায় ১০০০০-১২০০০ টাকায় বিক্রি করেছেন। প্রতিদিন তারা কেনাবেচা করতে হিমশিম খাচ্ছেন। গতবারের তুলনায় প্রতিদিন দ্বিগুন বেচা-কেনা হচ্ছে। তারা দুই জন সহ ৮/১০ জন কর্মচারী এখন দিন রাত সমান তালে কেনা-বেচায় মত্ত রয়েছেন।
এছাড়াও ক্রেতা সমাগম দেখা গেছে মাসুম গার্মেন্টস, সখ শপিং সেন্টার, অহনা,নিউ লুক,মৌ ফ্যাশন,সুলতান ক্লথ ষ্টোর, বয়েজ ওয়াল্ড, জুয়েল ক্লথ ষ্টোর,রুবেল ক্লথ ষ্টোর,আলভী ক্লথ ষ্টোর,নাজমা ক্লথ ষ্টোর,হক ক্লোথ ষ্টোর গুলোতে,আশা গার্মেন্টস,বস ক্লোথ ষ্টোর, বর্ষা ক্লথ ষ্টোর, এ্যালিগ্যান্ট ফ্যাশন, জান্নাত লেডিস কর্ণার সহ প্রতিটি দোকানে প্রায় নজড় কাড়া কেনাকাটা চলছে।
এ ছাড়াও সাধারণ খেটে খাওয়া গরীব মানুষদের কেনা কাটা করার জন্য সাপাহারে রয়েছে ফুটপাত বা জনতা মার্কেট নামে সেটের দোকান সেখানেও রয়েছে প্রচুর রকমের বাহারী পোষাক।
এখানকার খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ সে সব সেটের দোকানে গিয়ে তাদের ও তাদের সন্তানদের জন্য পছন্দের পোষাক কিনছে।বিপনি বিতান গুলোতে সব সময় জনতার ভিড় লেগেই আছে।নাজমা কসমেটিকের পরিচালক আজিজের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এবার আমাদের কসমেটিকস এ ছোটদের কেনাকাটা বেশি হচ্ছে যেমন হাতের চুড়ি, গার্ডার, কাকড়া, মাথার ব্যন্ড, মেহেদী, লিপস্টিক নেইলপালিশ ইত্যাদি।
ঈদ মার্কেট করতে আসা আব্দুল বারীকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, করোনার মধ্যে এবার ঈদ বাজারে আসার সেরকম কোন পরিকল্পনা ছিলো না পাশের বাড়ির ছোট ছেলে মেয়েদের ঈদ বাজার করতে দেখায় আমার ছেলে কান্না কাটি ধরলে বাধ্য হয়ে ছেলেকে নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে আসতে হলো। এবং ছেলেকে জামা কিনে দিলাম।
এবারে উপজেলা সদর ছাড়া গ্রামের লোকজন বেশী আসছে ঈদের কেনা-কাটা করতে। সাপাহার উপজেলা ছাড়া পার্শ্ববর্তী পত্নীতলা, পোরশা ও ধামইরহাট উপজেলা হতে অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন ঈদের বাজার করতে সাপাহারে আসছে। সাপাহারে এখন জমজমাট ভাবে প্রতিটি মার্কেটে ঈদের কেনা-বেচা চলছে।