• ময়মনসিংহ বিভাগ

    সরিষাবাড়ীতে খাল খননে বাধা দেয়ায় ইউপি মেম্বারকে গণধোলাই

      প্রতিনিধি ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ৭:১৩:২১ প্রিন্ট সংস্করণ

    সরিষাবাড়ী(জামালপুর)প্রতিনিধিঃ

    জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে খাল পুনঃখনন কাজে বাধা দেওয়ায় ইউপি মেম্বারকে গণ ধোলাই দিলেন উপ-প্রকল্প এলাকার উপকারভোগী জনতা। রোববার রাতে ভাটারা ইউনিয়নের ভ্যাবলা গ্রামে প্রকল্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    স্থানীয় ও সমিতি সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভাটারা ইউনিয়ন,এবং মহাদান ও জামালপুর সদরের তিতপল্লা ইউনিয়ন এর ভিতর দিয়ে হাসরা বিল থেকে বামনজি বিল পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার খাল পুনঃখনন এর কাজ চলছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে খালটি খননের জন্য এলজিইডি জামালপুর ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প দ্বিতীয় পর্যায় এর আওতায় খালটি পূর্ন:খননের প্রকল্প অনুমোদন দেন। আর এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এলাকার নিবন্ধিত হাসরা বিল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিঃ এর মাধ্যমে।

    সম্প্রতি খালটি পুনর্খননের কাজ শুরু করা হয়েছে। এদিকে তিতপল্ল‍্যা ইউনিয়নের অংশের কাজ শুরু করা হলে ওই এলাকার ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মিলন মিয়া কাজে বাধা দেয়। এ নিয়ে কয়েকদিন যাবত দেন-দরবার চলে আসছে। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। গত রোববার দুপুরে মেম্বার মিলন মিয়া প্রকল্প এলাকায় গিয়ে কাজ বন্ধ করার কথা বলে এবং এক পর্যায়ে কতিপয় লোকজন পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করে। এরপর আবারও কাজ শুরু হয়।

    এদিকে মেম্বার মিলন মিয়া সন্ধার পর প্রকল্প এলাকায় গিয়ে খাল খননের কাজে নিয়োজিত এসকেভেটর (ভেকু) বন্ধ করার হুমকি দেয়।

    এ সময় উভয়ের মাঝে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে এলাকার উপকারভোগী জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে ইউপি মেম্বার মিলন কে গন ধোলাই দেয়।

    ইউপি মেম্বার মিলন বলেন আমি রাত অনুমান নয়টার দিকে জানতে পারলাম বেকু দিয়ে খাল খননের কাজ আবার চলছে।আমি সশরীরে গিয়ে কাজ বন্ধ রাখার কথা বলি এবং পরদিন বসে সমঝোতার মাধ্যমে কাজ করার অনুরোধ জানালে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারপিট করে।

    সমিতির সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন ওই মেম্বার মিলন মিয়া বারবার প্রকল্প কাজে বাধা দিচ্ছে এবং সমঝোতার কথা বলে টাকা দাবি করে আসছে। সরকারি কাজ বাস্তবায়ন করতে বাধা দেয়ায় লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গণধোলাই দিয়েছে।

    প্রকল্পের তত্ত্বাবধানকারী উপসহকারী প্রকৌশলী শাকিল আহমেদ বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নে কৃষি খাতকে আরো গতিশীল করার জন্য নদী খাল খননের কাজ করার নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে। খালটি খনন হলে এক ফসলী জমি তিন ফসল ফলানো সম্ভব হবে।সে ক্ষেত্রে কেউ এ কাজে বাধা দিতে পারে না।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ