প্রতিনিধি ২৯ জুন ২০২০ , ১০:২৮:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃসাদ্দাম হোসাইন সোহান-স্টাফ রিপোর্টার:
ফরিদপুর জেলা শহরের মাচ্চর ইউনিয়ন এলাকায় সরকারী জায়গার উপড় থাকা পয়নিক্সাশনের নালা দকল করে সেখানে ইটভাটার মালামাল আনা নেওয়ার জন্য পাকা রাস্তা ও স্থায়ীভাবে পাকা স্থপনা নির্মান করেছে এম এম জেট ইট ভাটা কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে সেখানে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। এম এম জেট ইট ভাটার মুল ফটকেই রয়েছে সরকারী হালটে পয়নিস্কাশনের জন্য একটি নালা।।অত্র এলাকার বৃষ্টির পানি এই নালা দিয়ে বেরিয়ে যেতো। নালার উপর মাটি দিয়ে ভরাট করে সেখানে এম এম জেট ইট ভাটার মাটি , কয়লা, ইট, খোয়া আনা নেওয়ার জন্য পাকা ইটের রাস্তা নির্মান করা হয়েছে। এবং নালার উপড়েই ইটের গাথুনী দিয়ে অফিস ঘড় নির্মান করা হয়েছে। দেখা যায় ইটভাটার পাশে রয়েছে ফসলী জমি।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা অনেকেই সাংবাদিকদের জানান, বৃষ্টির পানি এখন আনাচে কানাচে জমে থাকে। পানি সরে যাওয়ার সরকারী নালা ভরাট করায় আমরা এলাকাবাসী সমস্যায় ভুগছি।
এ বিষয়ে এলাকার সচেতন মহল ফরিদপুর জেলা প্রশাসনকে অবগত করলে গত ১৮ জুন ২০ইং তারিখে ভ্রাম্যমান আদালত এম এম জেট ইট ভাটায় অভিযান চালায়। ঘটনার সত্যতা পেয়ে ইট ভাটাকে জড়িমানা করে এবং ৭ দিনের সময় ধার্য করে দেয় সরকারী জায়গার স্থপনা ভেঙ্গে ফেলতে এবং নালার মাটি সরিয়ে পানি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করতে। কিন্তু ভ্রাম্যমান আদালতের নির্দেশ দেওয়ার ১০ দিন অতিবাহিত হলেও এম এম জেট ইট ভাটা কর্তৃপক্ষ কোনো সমাধান করে নাই। তারা আইনের প্রতিবৃদ্ধাঙ্গল দেখিয়ে নালা আটকানো মাটি বহাল রেখেছে।
কে এই রাজ্জাক মাষ্টার ? সরকারী জায়গায় পানিনিস্কাশনের নালা মাটি ভরাট কওে ইট ভাটার পথ তৈরী করেছে। সরকারী নির্দেশনা পেয়েও তা মানছে না ।
এই প্রশ্নের উত্তর পেতে ইট ভাটার পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক মাষ্টারের সাথে তার বক্তব্য নেওয়ার জন্য কথা বলতে মোবাইল নম্বর ০১৭২১৯০৪৮৮৩ এ কল দিলে মোবাইল রিসিভ না করায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নাই।
স্থানীয়দের দাবী অবৈধভাবে সরকারী জায়গা ভরাট করে পয়নিস্কাশনের নালা বন্ধ করার বিষয়টি কর্তৃপক্ষ বিশেষ ভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।