প্রতিনিধি ৩১ জুলাই ২০২২ , ৫:৪৮:০১ প্রিন্ট সংস্করণ
সরকারে গেজেটেড আদেশ অমান্য করে বরগুনার বেশীর ভাগ বিদ্যালয় গুলোতে চলছে রমরমা ব্যবসা। শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। সেই মেরুদন্ড বিনির্মাণ করে শিক্ষকরা। শিক্ষকরাই জাতি গড়ার কারিগর। জনসাধারণের বুকে লালিত এই বিশ্বাসটুকু আজ ধুলোয় মিশে যেতে বসেছে খুব দ্রুতই।
একজন শিক্ষক হিসেবে তাঁর দায়িত্বের জায়গা অনেক। ক্লাসে নিয়মিত ও প্রাণবন্ত পাঠদান করা একজন শিক্ষকের যোগ্যতা ও দক্ষতার মাপকাঠি।
কিন্তু সেই শিক্ষকরা আজ দায়িত্বের যায়গা ভুলে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে প্রাইভেট পড়ানোর নামে একটি লাভজনক ব্যবসায় নেমে পড়েছে। এমনই কিছু অভিযোগ উঠে এসেছে গ্রামীণ জনপদ সহ শহুরে এলাকা থেকেও। বরগুনা জেলার সকল উপজেলার শহরগুলোর স্কুলেও চলছে এই ব্যবসা। বেতাগির কাউনিয়া এমদাদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বরগুনা সদরের, বরগুনার পৌর শহরের, বামনা, পাথরঘাটার তাসলিমা মেমোরিয়াল, আমতলীর নামীদামি স্কুলসহ প্রায়
প্রত্যেকটি স্কুলেই ক্লাস শুরুর আগে এবং ক্লাসের পরে কোচিং এর নামে চলছে রমরমা ব্যবসা। স্কুলের শিক্ষকদের কাছে না পড়লে ফেল করিয়ে দেয়া হবে -এমন হুমকির কথাও উঠে এসেছে এইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে এমন অভিযোগ উঠে এসেছে।
অথচ সরকারি গেজেটে বলা হয়েছে – কোনো শিক্ষক তার নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না,
অন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াতে পারবেন তবে তাও দশজনের বেশি নয়। সরকারের শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বার বার হুশিয়ার করার পরেও প্রায় প্রতিদিনই এমন অভিযোগ সত্যিই অবাক করার মত। এই প্রাইভেট কোচিংয়ের ব্যাপারে স্কুলের অভ্যন্তরে শক্তিশালী সিন্ডিকেটও রয়েছে।
সরকারি সব আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে করছেন প্রতারণা আর শিক্ষা আজ প্রায় তলানীতে।
এমন অবস্থা থেকে উত্তোরণে আইনের যথাযথ প্রয়োগে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তাদেরকে অনুরোধ জানিয়েছেন অভিভাবকরা এবং এ ব্যাপারে দক্ষিণ বাংলা সংবাদের বরগুনা জেলা প্রতিনিধি, বরগুনার প্রশাসন শিক্ষা এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন শিক্ষা কে নিয়ে যারা ব্যবসা করে দোষীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্হা নেওয়া হবে।