প্রতিনিধি ২৭ জুন ২০২২ , ১২:১৫:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ
‘সংগ্রামী’
লেখায়-আরিন
বাড়ি;সে যে দহন সহনকারী!
সে ঢাল,সে বলয়,
সে সহে যায় মহাপ্রলয়,
সে সংগ্রামী;সে মোদের রক্ষাকারী।
সে নির্ভীক;বুকে বিঁধে ধারালো বৃষ্টিফোঁটা!
রুখে বজ্র,সহে ঝড়ে,
সে সুনামির সাথে লড়ে!
ক্লান্তিতে কভু শ্বাস নিলে শোনে কর্তার শ্লেষ-খোঁটা।
সে ধারক;ধৃত হয় সৃষ্টিকূলের সৃষ্টি সকলে!
আশ্রিতা নয়,সে আশ্রয়দাত্রী,
তার বুকে ঠাঁই জোটে,সেই চির ধাত্রী।
রাত ঘুঁচে তারই তলে শত অমঙ্গলে।
সে ভেতরে রাখা মানুষগুলোকে বড়ই ভালোবাসে!
স্বার্থ নেই তার,বিনিময়ে নেই বায়না,
অবহেলা,শত অনাদর বিনা প্রতিদান কোন পায়না,
রাতের আড়ালে শীতল দেয়ালে শিশির গড়িয়ে আসে..
তার না জানা সব যাতনা মিশে ধুপের সুবাসি ঘ্রাণে।
অনুভূতির প্রকাশ নেই..তবে অনুভূতিহীন নয়,
আছে অপমানবোধ,আছে চিরবিচ্ছেদ ভয়,
সেতো জানে..সবকজনে ছাড়বে তাকে নতুন ভিটের টানে..
দামী;হীরের ন্যয় দামী সে’যে..অনেকেই জানে দাম!
মাথার ওপর দেবীর দুহাত আঁকড়ে রাখে,আগলে রাখেনা..
স্বার্থের টানে ছুটে-ছু্টে আসে..কার্যের শেষে থাকেনা।
তবে রেখে দেয়..তবু দাম শুধেনা।ঋণ বাড়ে অবিরাম।
দহনজ্বালা বোঝেনা ওরা..বুঝবে বা কি করে!..
রোদ তাদের স্পর্শ পায়না,সে পুড়ে ছাড়খাড়!
বৈশাখী এসে চাবুক পেটায়,সে’ই সহে বারবার।
বর্ষায়ও তাকে ভিজতে দিয়ে তারা রয় অন্দরে!
তার উতলা মন শান্ত হয়..দুখের ভাগী অনেকজন!
ওরা স্বার্থহীনেরা স্বার্থপরের দাস..
ওরা পরের তরে স্বার্থ বিলিয়ে স্বয়ং হয় নাশ!
দুখতো তার একার নয়..একই দশায় বাড়ির স্ত্রী-মা-বোন।।