• আইন ও আদালত

    ষষ্ঠ শ্রেণিপড়ুয়া বোনের বিয়ে ঠেকাতে থানায় ভাই

      প্রতিনিধি ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৮:৪০:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    শান্ত সরকার-মোহনপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি:

    জানে আলম জনির ১১ বছর বয়সী ছোট্ট বোনটি পড়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে। এই বয়সে বোনের বিয়ের প্রাথমিক কথাবার্তা হয়ে গেছে। জনি কোনোমতেই মা-বাবাকে বোঝাতে পারেননি বাল্যবিবাহ দেওয়া ঠিক নয়। আজ শুক্রবার বরপক্ষের বাড়ি থেকে মেহমান এসে বিয়ের আনুষ্ঠানিক কথাবার্তা পাকা করবে। তাদের আপ্যায়নের পুরো প্রস্তুতিও নেওয়া শেষ। উপায় না পেয়ে জনি হাজির হয়েছেন থানায়। রাজশাহীর দুর্গাপুর পৌর এলাকার চৌবাড়ীয়া মাঝিপাড়া গ্রামের ঘটনা এটি।

    জনি জানান, মা-বাবাকে নানাভাবে বুঝিয়েও বোনের বাল্যবিবাহের প্রস্তুতি ঠেকাতে পারছেন না তিনি। ঘটকের সঙ্গে যোগসাজশে তাঁর বোনকে ৩২ বছর বয়সী এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাই নিজেই বোনের বিয়ে ঠেকাতে আজ সকালে থানায় এসেছেন।

    থানায় অভিযোগ করতে আসা জনি বলেন, ‘আমার বোনের বয়স মাত্র ১১ বছর। এবার পঞ্চম শ্রেণি পাস করে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করে দিয়েছি। আমার একটাই বোন। প্রতিবেশী শফিকুল ইসলাম নামের ঘটকের প্রলোভনে মা ও বাবা আমার ছোট্ট বোনকে একটা বয়স্ক মানুষের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। আমি ভাই হয়ে কিছুতেই এ বিয়ে ঠেকাতে পারছি না। তাই বাধ্য হয়ে বোনের বাল্যবিয়ে ঠেকাতে থানায় হাজির হয়েছি।’

    জনি আরও বলেন, ‘আজ শুক্রবার দুপুরের পর আমার বোনকে নাকফুল পরাতে আসবে বরপক্ষ। বরপক্ষের লোকজনদের খাওয়া–দাওয়ারও আয়োজন করা হয়েছে। এত অল্প বয়সে বোনের বিয়ে দেওয়া যাবে না। এটা কিছুতেই বোঝাতে পারছি না মা–বাবাকে। আমি আমার বোনকে লেখাপড়া করাতে চাই।’

    এ বিষয়ে জানতে পৌর এলাকার চৌবাড়ী গ্রামের ঘটক শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি। দুর্গাপুর থানার ডিউটি অফিসার খুরশীদা বেগম বলেন, বোনের বাল্যবিয়ে দেওয়া হচ্ছে—এমন অভিযোগ নিয়ে থানায় এসেছেন তার ভাই। অভিযোগটি নেওয়া হচ্ছে। অভিযোগের প্রক্রিয়া শেষ হলে বাল্যবিয়ে ঠেকাতে সেখানে পুলিশ পাঠানো হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ