প্রতিনিধি ২৬ জানুয়ারি ২০২১ , ১১:০৩:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ
শ্রীনগর ভাগ্যকুল কামারগাও এলাকায় প্রতিবেশির সীমানা দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।নির্মাণাধীন ভবনে মানা হয়নি কোন নিয়ম নীতি। ন্যায় বিচারের আশায় আদালতে মামলা করেন সাথী আক্তার, মামলা তুলে নিতে মাহবুব ও তার বড় ভাই ফারুক প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়,কামারগাও মৌজার ২০৩ নং খতিয়ানভূক্ত ৩৪২ দাগে মোট জমির পরিমান ৩৭ শতক হতে ৯.২৫ শতক জমির ওয়ারিশ সুত্রে মালিক ও দখলকার মনির হোসেন,আমির হোসেন ও ছানু বেগম। তারই প্রতিবেশি আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে কথিত মাওলানা শেখ মাহবুব হোসেন ৪ তলা ভবন নির্মানের সিদ্ধান্ত নিলে আমির হোসেনের স্ত্রী সাথী আক্তার (৩৩) জমির মালিকানা নির্দিষ্ট করে ভবন নির্মাণের পরামর্শ দিলেও মাহবুব তার কথায় কর্ণপাত না করে ভবন নির্মাণ শুরু করেন। সাথী আক্তারের আবেদনে কয়েক দফায় স্হানীয় সালিশের মাধ্যমে আপোষ -মিমাংসার চেস্টা হলেও তা আমলে না নিয়ে জোর-জবর দস্তিমূলক নির্মান কাজ অব্যহত রাখে মাহবুব।
সাথী আক্তারের স্বামী আমির হোসেন বিদেশ প্রবাসী ও তার ভাশুর মনির হোসেন গাজিপুরে বসবাস করছেন। সাথী তার ননদ ছানু বেগম ও শিশু পুত্রদের নিয়ে একাই বাড়িতে বাস করছেন। এ সুযোগে মাহবুব সাথী ও স্হানীয় সালিশ মীমাংসা কে অবজ্ঞা করার পাশাপাশি বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি অব্যহত রাখে।কয়েক দফায় বিভিন্ন লোক মারফত সাথীদের বস- বাসের জমি ক্রয় করার চেস্টা করে ব্যর্থ হয়ে এখন ক্রমাগত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে,মামলা তুলে না নিলে তার ও তার পরিবারের ক্ষতি করার কথা বলে যাচ্ছে প্রকাশ্যেই ।
এমন কি সাথীদের যে সীমানা মাহবুবের ভবনে পড়েছে তার মূল্য হিসেবে ১০ লাখ টাকা দেওয়ারও প্রস্তাব করেন কিন্তু সাথীর বসতবাড়ীর সীমানা অল্প পরিমান হওয়ায় তার জমি ফিরত চাইলে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়া মাহবুব তড়িঘড়ি করে তার কাজ চালিয়ে যেতে থাকে। নির্মাধীন ভবনে ইটের খোসা পড়ে সাথীর বসত ঘরের টিনের চালা দেবে যায়। ক্ষতিপূরন বাবদ ৫০ হাজার টাকা দিতে চাইলে তা নেননি সাথী আক্তার। কোন উপায়ন্তর না দেখে তিনি মুন্সিগন্জ জেলা আদালতে পিটিশন মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-৩২১।
আদালতের নির্দেশে শ্রীনগর থানার এসআই খলিলুর রহমান নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। শুরুতে ৪ তলা ভবন নির্মাণের কথা বললেও মাহবুব ৫ তলা ভবন নির্মান কাজ শুরু করেন।ভবন নির্মাণে মানা হয়নি কোন নীতিমালা। অবগত নয় স্হানীয় ইউনিয়ন পরিষদ। এ ব্যপারে সাথী আক্তার বলেন, আমরা বার বার তাকে মাপ-ঝোক করে সীমানা নির্ধারণ করে ভবন নির্মাণের কথা বলি সে তাতে কর্নপাত না করে প্রভাব খাটিয়ে কাজ শুরু করেন। বিভিন্ন সালিশে দেওয়া কোন সিদান্ত সে মানেনি। উপায়ন্তর না পেয়ে ন্যায় বিচারের আশায় আদালতের দারস্হ হয়েছি।শেখ মাহবুবুর রহমান বলেন।
গ্রামে নিজের জমিতে ভবন নির্মাণ করছি এতে পারমিশান নেওয়া লাগবে কেন,আপনারা জমি মেপে দেখেন যদি সাথীরা জমি পায় আমি নিজে বিল্ডিং ভেঙ্গে দিবো। তাছাড়া আমার পীর সাহেবের বিশ্রামের জন্য এ ভবন নির্মাণ করছি। স্হানীয় মেম্বার রতন সাহার সাথে যোগাযোগ করলে এ ব্যপারে কোন কথা বলতে রাজি হনননি। এস আই খলিলুর রহমান জানান, আদালতের নির্দেশে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। উভয় পক্ষ কে আইন মেনে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলা হয়েছে।