প্রতিনিধি ২ ডিসেম্বর ২০২১ , ৯:৩০:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ
এমএ কাইয়ুম মাইজভান্ডারি শ্রীনগর(৷মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে কামারগাঁও আল আমিন ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাফর ইকবালকে দাড়ি ধরে মারধর করে, মোবাইলসেট ছিনিয়ে নেওয়াসহ অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।বুধবার(১লা ডিসেম্বর) দুপুর আড়াই টার দিকে উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের কামারগাঁও আল আমিন ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষের কার্যালয়ে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। এব্যাপারে অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাফর ইকবাল বাদী হয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য নূরুল আমিন মোড়লসহ ১১ জনকে বিবাদী করে থানা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অধ্যক্ষের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শ্রীনগর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বিজয় দিবসের প্রস্তুতি সভা শেষ ঘটনার সময় অধ্যক্ষ স্টাফদের সাথে নিয়ে মাদ্রাসার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নিজ কার্যালয়ে একটি জরুরী মিটিং করছিলেন। এসময় ভাগ্যকুল ইউনিয়নের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য নূরুল আমিন মোড়লের নেতৃত্বে একই এলাকার মৃত এছাক মোড়লের ছেলের বারেক মোড়ল(৬০), বারেক মোড়লের ছেলে বিপুল মোড়ল(৩৫),
রিফাত মোড়ল(৩০), হারুন মোড়লের ছেলে দ্বীন ইসলাম মোড়ল(২৮), মৃত দিলু মোড়লের ছেলে হারুন মোড়ল(৬০), মৃত আঃ সাত্তারের ছেলে আরিফ বিল্লাহ(৪০), মৃত হামেদের ছেলে হারুন মুন্সী(৫৫), রিয়াজ হোসেন(৩৯) ও স্বপন (২১)সহ ২০ জনের একটি উচ্ছৃঙ্খল দল অধ্যক্ষের কার্য্যালয়ে প্রবেশ করে তাকে দাড়ি ধরে মারধর করে। তার মোবাইল সেট ছিনিয়ে নিয়ে যায় মোবাইলে থাকা মাদ্রাসার গুরুত্বপূর্ন অনেক ফাইল সরিয়ে ফেলে ডিলিট করে দেয়। প্রায় দুই ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে শিক্ষকদের প্রচেষ্টায় অধ্যক্ষকে উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা আরো জানায়, এই গ্রুপটিই দীর্ঘদিন থেকে অধ্যক্ষকে হুমকি দিয়ে আসছিল। এছাড়া কিছুদিন পূর্বে এরাই অধ্যক্ষের রুমে একরাউন্ড গুলি বর্ষণ করেছিল। নিরাপত্তাহীনতায় থেকে অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠান আসতে পারছেন না।এব্যাপারে কামারগাঁও আল আমিন ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,
নুরুল আমিন মোড়ল মেম্বার নির্বাচিত হয়ে শফত নেওয়ার আগেই মাদ্রাসার ঢুকে অধ্যক্ষকে আটক রেখে মারধর করে মোবাইল ছিনিয়ে মাদ্রাসার ফাইল ডিলিট করে দেয়। এই গ্রুপটিই দীর্ঘদিন থেকে এ অধ্যক্ষকে হুমকি দিয়ে আসছিল। এছাড়া কিছুদিন পূর্বে এরাই অধ্যক্ষের রুমে একরাউন্ড গুলি বর্ষণ করেছিল। নুরুল আমিন বলে
মাদ্রাসার হিসাব নাকি তাকে দিতে হবে। তার উপরে এখানে কারো মাতাব্বরী চলবে না। কোন ছাত্রছাত্রীর বেতন নিতে পারবে না।
এব্যাপারে ভাগ্যকুল ইউনিয়নের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য নূরুল আমিন মোড়লের কাছে জানতে তার ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি কল রিসিভি করেননি।এবিষয়ে শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষকে ডেকেছি। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করতেছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।