প্রতিনিধি ৫ অক্টোবর ২০২২ , ৭:৪৯:০২ প্রিন্ট সংস্করণ
নাটোর জেলা প্রতিনিধি:
নাটোরের লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন অ্যাম্বুলেন্স চালক আমজাদ হোসেন। কানে স্টেথিস্কোপ দিয়ে প্রেশার মাপছেন তিনি। এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। সূত্র জানায়, আমজাদের বাড়ি উপজেলার রামকৃষ্ণপুর এলাকায়। স্থানীয় হওয়ায় হাসপাতাল জুড়ে ব্যাপক প্রভাব রয়েছে তার। অ্যাম্বুলেন্স চালানোর পাশাপাশি তিনি সক্রিয় দালাল চক্রের একজন সদস্য।
কোনো রোগী আসলে তিনি আগ বাড়িয়ে তাদের সঙ্গে পরিচিত হয়ে বেসরকারি ক্লিনিকে রোগি ভাগিয়ে নিয়ে যান। আবার হাসপাতালের স্টাফদের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকায় রোগীর সমস্যা সমাধান করিয়ে স্বজনদের থেকে টাকা আদায় করেন। সব কিছু জেনেও অদৃশ্য কারণে এসব দালাল চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না হাসপাতাল কতৃপক্ষ। এ বিষয়ে জানতে অ্যাম্বুলেন্স ডাইভার আমজাদ বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে পাশের মোমিনপুর এলাকার মারামারিতে আহত এক রোগী আসে।
ওই সময়ে রোগীর চাপ থাকায় ইয়াসমিন আপা (স্টাফ) আমাকে একটা রোগীর প্রেসার মাপতে বলেছিলেন তাই তিনি ওই রোগীর প্রেসার মেপেছেন শুধু। সে সময় কেউ একজন জানালা দিয়ে ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়েছে। আমজাদ সঠিক ভাবে প্রেশার মাপতে পারে না বলে জানিয়ে হাসপাতালের আরএমও ডাঃ সুরুজ্জামান শামীম বলেন, সে বেসরকারী অ্যাম্বুলেন্স চালায় এবং হাসপাতাল চত্বরে রোগীর দালালি করে। তাই মাঝে মাঝে নিজ স্বার্থেই কোনো রোগী আসলে তিনি আগ বাড়িয়ে তাদের সঙ্গে পরিচিত হন।
এবং তাদের সমস্যা সমাধান করিয়ে রোগীর স্বজনদের থেকে কিছু আর্থিক সুবিধা নিতে চায়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ একেএম শাহাবুদ্দিন বলেন, বাইরের কোনো লোক কোনো ক্রমেই জরুরি বিভাগে কাজ করতে পারে না। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবিষয়ে নাটোর সিভিল সার্জন ডাঃ রোজি আরা বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। পরবর্তীতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেবিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।