মো,রাশেদুল ইসলাম (রাশেদ)-চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধিঃ
লাকসাম পৌরসভার ০৮ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ লাকসামে বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার মিলের বিপরীত পাশে একটি পুকুর প্রকাশ্য দিবালোকে ভরাট করছে মজির আহমেদ। পৌরসভার মধ্যে পুকুর ভরাটে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা অমান্য করেই প্রকাশ্য দিবালোকে পুকুর ভরাট করে যাচ্ছে।
২০১৭ সালের ২০ই জানুয়ারি রোজ শুক্রবার রাতে লাকসাম বাজারে সৃষ্ট হয় এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ইতিহাস। যার ফলে নিঃস্ব হয়ে পড়ে শত মানুষ। এই বহাল অগ্নিকাণ্ডের পরেও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা না করে পুকুর ভরাট চলছে। সারাদেশে একের পর এক পুকুর, জলাশয়, নদী, খাল ইত্যাদি ভরাট করে গড়ে উঠছে স্থাপনা যার ফলে অগ্নিসংযোগ হলে পানির সংকট এবং বর্ষায় সৃষ্ট হয় জলাবদ্ধতা। তাই সরকার প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন ২০০০ জারি করে।
প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন ২০০০ অনুযায়ী পুকুর, জলাশয়, নদী, খাল ইত্যাদি ভরাট করা বেআইনি। আইনের ৫ ধারা অনুযায়ী প্রাকৃতিক জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গার শ্রেণি পরিবর্তন বা অন্য কোনোভাবে ব্যবহার, ভাড়া, ইজারা বা হস্তান্তর বেআইনি। কোনো ব্যক্তি এই বিধান লঙ্ঘন করলে আইনের ৮ ও ১২ ধারা অনুযায়ী পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
এই বিষয়ে লাকসাম উপজেলার ভূমি কর্মকর্তা উজালা রাণী চাকমার সাথে কথা বললে তিনি লাকসাম জার্নাল কে জানান, লাকসাম ভূমি অফিস ও দৌলতগঞ্জ তহসিল অফিসের একাধিক কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় দুটি অফিসে লকডাউন জারি করা হয়, যার ফলে তিনি এই বিষয়ে কোন তথ্য পায়নি। তিনি আরো বলেন এই বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবেন।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত গণমাধ্যম দৈনিক আলোকিত ৭১ সংবাদ
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.