প্রতিনিধি ৩ অক্টোবর ২০২২ , ১১:০৪:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ
এইচ.এম.আল-আমিন,লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার মেঘনা নদীসংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত রামগতি মাছঘাট, টাংকী মাছঘাট, আলেকজান্ডার মাছঘাট ও শেখ রাসেল ব্রিজ ঘাট। আর কয়েক দিন পর থেকে নদীতে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে। নিষেধাজ্ঞা শুরু আগে বর্তমানে ঘাটগুলোতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমে উঠেছে ইলিশের বেচাবিক্রি। ফলে স্থানীয় বাজার এলাকাগুলোতে এখন জমজমাট অবস্থা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, উপজেলার মধ্যে প্রধান চারটি মাছঘাটের মধ্যে টাংকী ঘাটের অবস্থান প্রথমে। এ ছাড়া অন্যান্য ঘাট থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মাছ ব্যবসায়ীরা মাছ কিনে নিয়ে যান। এ কারণে ঘাটগুলোর পাশেই গড়ে উঠেছে বরফকল এবং মাছের আড়ত। বর্তমানে সাগরে প্রচুর ইলিশসহ বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ ধরা পড়ছে। ঘাটগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ইলিশের পাশাপাশি অন্যান্য সামুদ্রিক মাছও পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে ব্রিজঘাটের মাছ ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বলেন, ‘মেঘনা নদীতে আগের মতো ইলিশ ধরা পড়ছে না বলে ঘাটে কিছুটা ভাটা পড়েছে। তবে ইলিশ ধরা পড়লে এই ঘাট আরও বেশি জমজমাট থাকত। এখন প্রতিটি এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ১০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এ ছাড়া ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রামের ইলিশ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায় কেনা যাচ্ছে।’
টাংকী ঘাটের আড়তদার ফরিদ ব্যাপারী বলেন, ‘প্রতিদিন এই ঘাটে ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকার ইলিশ বেচাকেনা হয়। গত দুই দিন ধরে মোট ৫০ লাখ টাকার মাছ কিনেছি। আমরা শতকরা ১০ টাকা হারে জেলেদের কাছ থেকে কমিশন নিচ্ছি। এই ঘাটকে ঘিরে অনেকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। নদীতে অভিযান শুরুর আগমুহূর্তে ধুম বেচাকেনা নিয়ে আমরা ব্যস্ত সময় পার করছি।’
আলেকজান্ডার মাছঘাটের আরেক আড়তদার হাজি নেছার আলী জানান, কিছুদিন পর নদীতে অভিযান শুরু হওয়ায় অনেকে বাসাবাড়ির জন্যও এই ঘাট থেকে মাছ কিনে নিয়ে যান। ফলে ঘাটটি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমজমাট থাকে। বর্তমানে নদীতে ইলিশের পরিমাণ কিছুটা কমে গেছে। তবে এই ঘাটে বেশির ভাগই সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যায়।
এ নিয়ে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন জানান, মা ইলিশ রক্ষায় আগামী ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ২২ দিন নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা, কেনাবেচা, মজুতকরণ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এ জন্যই রামগতির মাছঘাটগুলোতে শেষ মুহূর্তের বেচাকেনা নিয়ে ব্যস্ততার মধ্যে রয়েছেন সংশ্লিষ্ট লোকজন।