প্রতিনিধি ২৯ নভেম্বর ২০২২ , ৪:০৫:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ
এইচ.এম.আল আমিন-লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরে পরীক্ষার হলে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। লক্ষ্মীপুর দারুল উলুম কামিল মাদরাসার বাংলা বিভাগের শিক্ষক সালমা আক্তারের কাছে প্রাইভেট পড়ে টাকা না দেওয়ায় তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। এর আগে সকালে মাদরাসায় পরীক্ষা চলাকালীন ওই শিক্ষক দুই ছাত্রীকে মারধর করা হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা হলেন, ফাতেমা আক্তার মীম ও নুহা আক্তার। ফাতেমা মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী ও নুহা ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। ফাতেমা সদর উপজেলার পার্বতীনগর গ্রামের দুলাল হোসেনের মেয়ে। তার মুখে শিক্ষকের খামছি দেওয়া আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নুহাকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। একাধিক সূত্র জানায়, ফাতেমা এক সময় শিক্ষক সালমার কাছে বাংলা বিষয়ে প্রাইভেট পড়তো। ১০ দিন পড়েই ফাতেমা আর পড়তে যায়নি।
তবে ওই ১০ দিনের টাকা দিতে চাইলেও তিনি নেননি। মঙ্গলবার সকালে ফাতেমা হাদিস বিষয়ে দিতে যায়। পরীক্ষার হলে সালমা ও আরেক শিক্ষক আবদুল জলিল দায়িত্বে ছিলেন। সেখানে দুই শিক্ষকের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। হঠাৎ করে সালমার দৃষ্টি পড়ে ফাতেমার দিকে। এ সময় রাগান্বিত হয়ে তার উদ্দেশে সালমা বলেন, ‘তুই তো আমার টাকা দিলি না।’ পরে গালাগালি করে একপর্যায়ে তাকে এলাপাতাড়ি চড় থাপ্পড় দিতে থাকে। এ সময় পাশে থাকা নুহাকেও তিনি মারধর করেন। তখন ফাতেমার মুখে খামছি দিয়ে জখম করেন শিক্ষক সালমা।
অভিযুক্ত শিক্ষক সালমা বলেন, ‘সে আমার কাছে পাঁচ মাস প্রাইভেট পড়েছে। হঠাৎ করে প্রাইভেট পড়া বন্ধ করে দেয়। আমাকে টাকাও দেয়নি। উল্টো আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছিল। এ জন্য তাকে চড়-থাপ্পড় দিয়েছি।’ মাদরাসার অধ্যক্ষ মাও. নেছার উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনাটি ন্যাক্কারজনক। শিক্ষকের এ কাণ্ড মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সঙ্গে কথা বলে কার্যকরি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ‘আহত ছাত্রী ফাতেমা লিখিত অভিযোগ করেছে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’মাদরাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) আনোয়ার হোছাইন আকন্দ জানান, ঘটনাটি দুঃখজনক। বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।