প্রতিনিধি ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ , ১১:২৪:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ লুৎফর রহমান লিটন-সলংগা সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তা আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা বলে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, র্যাবের কতিপয় কর্মকর্তার ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা বিব্রতকর, উদ্বেগজনক ও লজ্জাজনক। তবে এ উদ্যোগ অবশ্যম্ভাবী। র্যাবের ওপরে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সব দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।
রাজধানীর গুলশানে বুধবার, ডিসেম্বর ১৫, ২০২১, সকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এ নিষেধাজ্ঞার ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। এটি জাতিসংঘের শান্তি মিশনে আইনশৃঙ্খলা ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাজের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রতিষ্ঠান হিসেবে র্যাব দায়ী নয়। অভিযুক্তদের বিষয়ে উপযুক্ত তদন্ত হওয়া দরকার। তা না হলে এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব রাষ্ট্রের ওপর পড়বে।
মির্জা ফখরুল বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে সেখানে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার এই প্রভাব পড়বে।
তিনি বলেন, রূঢ় শোনালেও এটা অস্বীকার করার সুযোগ নাই, ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক এই নিষেধাজ্ঞা বর্তমান সরকারের জন্য সমগ্র বিশ্ববাসীর পক্ষ থেকে একটি শক্তিশালী বার্তা। আর সেটা হলো কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এ ধরনের বিচারহীন সংস্কৃতি চলতে পারে না। কেবলমাত্র একটা অগণতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদী সরকারের শাসনকালেই এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়। আর বিশ্ববাসীর কাছে বর্তমানে বাংলাদেশে সেরকমই একটি কর্তৃত্ববাদ ও মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দুর্নীতি আশ্রয়ী সরকারব্যবস্থা চালু রয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি মনে করে র্যাবের ওপরে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সব দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করবার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বেআইনিভাবে ব্যবহার করার সব দায়িত্ব তাদেরই।
আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষের সামনে এটা একটা জাতীয় সমস্যা। আর জাতীয় সমস্যা জাতীয়ভাবে সবাইকে নিয়ে সমাধান করতে হয়। তবে সেটা কেবল তখনই সম্ভব, যখন দেশে একটা গণতান্ত্রিক সরকার দ্বারা পরিচালিত হবে। কারণ, গণতন্ত্রবিহীন সমাজে জবাবদিহি প্রতি পদে পদে বিঘ্নিত হয়। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে তা বিদ্যমান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, ইকবাল মাহমুদ টুকু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খান প্রমুখ।