প্রতিনিধি ২৩ আগস্ট ২০২২ , ১:০৬:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ
পটুয়াখালী সদর উপজেলার উত্তর বিরাজলা নন্দীপাড়া গ্রামের জাকির সরদারের মেয়ে রোজিনা আক্তার (২৫) পরোকিয়া প্রেমিক বরগুনা জেলা আমতলী উপজেলার পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের বারি হাওলাদারের ছেলে বাকের হাওলাদারের হাত ধরে স্বামী রাসেল গাজী (২৮) এর ১৫ লক্ষ ২০ হার টাকা নিয়ে উধাও। স্বামী রাসেল গাজী পটুয়াখালী সদর উপজেলার বোতল বুনিয়া গ্রামের এনায়েত হোসেন গাজীর ছেলে। রাসেল গাজী স্ত্রী রোজিনা আক্তারের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী জেলা বিজ্ঞ আদালতেে করা মামলার সূত্রে জানা যায়,
গত ২৮ মার্চ ২০২১ ইং তারিখ রাসেল গাজী রোজিনা আক্তাকে বিবাহ করে। এবং বিবাহের পর থেকে রাসেল গাজীর ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান পটুয়াখালী সদর পৌরসভার হেতালিয়া বাধঘাটের মনির সিকদার মার্কেটে অবস্থিত ওয়াল্টন শো-রুম স্বামী স্ত্রী দু’জনে দেখবাল করতেন। এবং ওই শো-রুম থেকে রোজিনার পরোকিয়া প্রেমিক বাকের হাওলাদার প্রায় সময় মালামাল ক্রয় করতে আসতেন। আসা-যাওয়ার মধ্যে বাকেরের সাথে তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুন্ত সম্পর্ক গড়ে উঠে। এবং এই ঘনিষ্ঠতার সূত্রে আসামি বাকের রাসেল গাজীর বসত বাড়ি যাতায়াত শুরু করে।
যার ফলে রোজিনা ও বাকেরের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে। ঘটনার দিন গত ১২ জুলাই ২০২২ ইং তারিখ ব্যবসার কাজে রাসেল গাজী ঢাকায় অবস্থান করে। এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে উল্লেখিত তারিখ রোজ রবিবার সকাল ১০ থেকে বেলা ১২টার মধ্যে ওয়াল্টন শো-রুম থেকে নগদ ৩ লক্ষ টাকা ও শো+রুমে থাকা ২৪ টি ফ্রিজ যার বাজার মূল্য ৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকা, ৮টি এলইডি টিভি যার মূল্য ২ লক্ষ টাকা এবং শো-রুমে থাকা ওয়াল্টনের মোবাইল, আয়রন, ব্যলেন্ডার মেশিন সহ রাইস কুকারের সেট নিয়ে যায়। যার বাজার মূল্য ৩ লক্ষ টাকা। সব মিলিয়ে মোট ১৫ লক্ষ ২০ হার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
এদিকে মামলা সূত্রে আরো জানা যায়, এই ঘটনার পরে রাসেল গাজী তার স্ত্রী রোজিনা ও শো-রুমের মালামাল ফিরে পেতে আসামি বাকেরকে অনুরোধ করে। বাকের উল্টো প্রান নাসের হুমকি দেয়। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মিমাংসার জন্য অপেক্ষা করে কোন প্রতিকার না পেয়ে বিজ্ঞ আদালতের শরণাপন্ন হয় রাসেল।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রোজিনা আক্তার একাধিক বার বিয়ের পিড়িতে বসেন এবং একই ভাবে সর্বশান্ত করে সব লুটে নিয়ে যাওয়ার প্রমান পাওয়া যায়। অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় পটুয়াখালী মির্জাঞ্জ উপজেলায় রোজিনার তালাক প্রাপ্ত স্বামী মোঃ শাহীন বলেন, ঢাকায় একই পোশাক কারখানায় চাকরির সুবাদে রোজিনা সাথে পরিচয় এর পর ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ সালে দু’জনে বিয়ে করি।
বৎসর না পেরুতেই শশুরের কথা ১ লক্ষ টাকা ধার নেয়। এর পর রোজিনার বাবা জাকির হোসেন ট্রাকটা মেশিন ক্রয়ের জন্য ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা ধার নেয়। ধারের টাকা চাইতে গেলে সাংসারিক কোলাহ সৃষ্টি হয়।শেষ পর্যন্ত নারী নির্জাতন মামলা সহ ভূয়া এসিড মামলা দিয়ে আমি ও আমার পরিবারকে পথে বসিয়ে দেয়। এরপর ২০১৪ সালে তার সাথে আমার ডিভোর্স হয়। আমার সাথে ডিভোর্স হওয়ার পর যানতে পারি আমার আগে ঢাকার একটি ছেলে সাজ্জাদ, এর পর মিজান, ফরিদপুরের মনির, বরগুনা আমতলী উপজেলার বাকের এবং সর্ব শেষ পটুয়াখালী সদর উপজেলার রাসেল গাজী নামে একটি ছেলে। এই ভাবে অসংখ্য প্রমান রয়েছে। শাহিন আরো বলেন, রোজিনার বাবা তার মেয়েকে দিয়ে এভাবে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। আমরা এর বিচার চাই।
এবিষয়ে রোজিনার বাবা জাকির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব মিথ্যা অভিযোগ, আপনি কোন পত্রিকার সাংবাদিক, আমি সব দেখে নিবো বলে এরিয়ে যায়।
উক্ত ঘটনার ব্যপারে রাসেল গাজী দৈনিক বাংলাদেশ কন্ঠ ও দৈনিক বরিশাল সমাচারকে বলেন,আমি হুমকির মধ্যে রয়েছি।যে কোন মূহুর্তে আমার বিরুদ্ধে নারী নীর্যাতনের মামলা হতে পারে। তাছাড়া রোজিনা আমার সংসার থেকে চলে যাবার সময় তিন মাসের গর্ববতী ছিলো। এখন আমার আগত সন্তানের কি হবে। আমি বিজ্ঞ আদালতের কাছে বিচার চাই বলে অশ্রুধরা কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।